মোদির উন্নয়নমন্ত্রে মুগ্ধ জন কেরি
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও তাঁর দেশের বিনিয়োগকারীরা। সপ্তম ‘স্পন্দমান গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনে (ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সামিট) এ অনুভূতি প্রকাশ করেন তাঁরা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি ও জি নিউজের। বিনিয়োগবিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিসহ বিশ্বের শীর্ষ ৩০ কূটনীতিক ও ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এখন ভারতে। গুজরাটে গতকাল রোববার শুরু হয় দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন। দুই বছর অন্তর ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে গুজরাট রাজ্য সরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ২০০৩ সাল থেকে সেখানে এ ধরনের সম্মেলন হয়ে আসছে। নরেন্দ্র মোদি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই উদ্যোগ নেন। গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদির সুষম উন্নয়নের মন্ত্র ‘সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ’ (সব কা সাথ, সব কা বিকাশ) তাঁকে খুব নাড়া দিয়েছে। মোদি গুজরাট নামটিকে এরই মধ্যে সম্ভাবনা ও সুযোগের সঙ্গে সমার্থক করে তুলেছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সম্মেলনের সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী কেরি আরও বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে অভাবনীয় সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে। আর সেটা করার জন্য উপযুক্ত সময় এখনই। সন্ত্রাসবাদ রুখতে এবং স্বাধীনতা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত এশিয়াজুড়ে শান্তি ও প্রবৃদ্ধির যুগ গড়ে তোলায় নেতৃত্ব দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আসন্ন ভারত সফর সামনে রেখে কেরির এসব মন্তব্যকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওবামা চলতি মাসের শেষের দিকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নয়াদিল্লিতে আসছেন। সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, গুজরাটকে বিশ্বের উন্নয়নের চৌরাস্তা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি নেতৃত্ব খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ভাষণের বেশির ভাগই ইংরেজিতে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির নজর ছিল বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার দিকে। ভারতকে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারত আপনাদের সামনে হাজির করেছে তিনটি ডি: চাহিদা, গণতন্ত্র ও জনগোষ্ঠী (ডিমান্ড, ডেমোক্রেসি ও ডেমোগ্রাফি)। বিশ্বের আর কোথাও এমনটা খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
No comments