ফ্রান্সে ৩৭ লাখ মানুষের ‘সংহতি মিছিল’
ফ্রান্সজুড়ে
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সংহতি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ৩৭
লাখ মানুষ, যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে। প্যারিসের ব্যাঙ্গাত্মক
সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে সম্পাদকসহ ১২
জনকে হত্যা ও একটি সুপারমার্কেটে সন্ত্রাসী হামলায় আরও ৫ জন নিহতের ঘটনার
প্রতিবাদ জানাতে মিছিলে অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ। রাজধানী প্যারিসে সংহতি
মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন ১৬ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে শার্লি এবদোর হত্যাযজ্ঞে
নিহত ১২ জনের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা মাথায় সাদা কাপড় পরেছিলেন,
যাতে ‘শার্লি’ শব্দটি লেখা ছিল। মিছিলটি ৩ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে। এ
খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে,
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়,
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, ইউক্রেনের
প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকো, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানী
রানিয়াসহ বিশ্বের ৪০টি রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংহতি মিছিলে অংশ
নেন। ম্যাগাজিনটি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পর সারা
বিশ্বের মুসলমানদের তীব্র রোষানলে পড়েছিল। সংহতি মিছিলে যাতে কোন
নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ২,২০০ সদস্যকে
মোতায়েন করা হয়েছিল। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবনের
ছাদগুলোতে ‘স্নাইপার’ বন্দুকধারীরা ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির
নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করে ফ্রান্স যখন স্বাধীন হয়, তখনও এতো মানুষের ঢল
নামেনি প্যারিসের রাজপথে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন
নেতানিয়াহুসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা মিছিলে অংশ নেয়ায় ফ্রান্সের
মুসলমানরা সংহতি মিছিলে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধায় ছিলেন। কারণ, ইসরাইলি
নেতৃবৃন্দকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে মনে করেন তারা। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত
গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে ইসরাইল ২,১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে সারা বিশ্বের
মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ও ঘৃণা উস্কে দেয়।
No comments