‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া’
প্রধানমন্ত্রীর
বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অবরুদ্ধ অবস্থায়
মহিলা দল নেত্রীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কার্যালয় থেকে
বেরিয়ে এসে মহিলা দল নেত্রী ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি একথা বলেছেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের সঙ্গে আমাদের দেখা ও কথা হয়েছে।
তিনি টেলিভিশনে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তিনি আমাদের বলেছেন, একদিকে বিরোধীদলকে কুক্ষিগত করেছেন, বিরোধী জোট
নেত্রীকে ইট-বালুর ট্রাক দিয়ে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন; অন্যদিকে
তিনি সমাবেশ করছেন। এটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা
গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যেভাবে আন্দোলন
করা দরকার আমরা সেভাবেই আন্দোলন করব। ২০১৫ সাল হবে গণতন্ত্রের বিজয়ের সাল।
বিজয় আমাদেরই হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে নিলুফার চৌধুরী
মনি বলেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে জাতি
ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি যে বাজে কথা বলেছেন আমরা তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান
করছি। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তার জন্য প্রযোজ্য। নতুন কর্মসূচি নিয়ে
এক প্রশ্নের জবাবে মনি বলেন, আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চলবে। আরেক প্রশ্নের
জবাবে নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, কার্যালয়ের সামনে বালু ও ইটের ট্রাক দাঁড়
করিয়ে রেখে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। সরকারই উনাকে বের হতে দিচ্ছে
না। পেপার স্প্রের পর কয়েকদিনের অসুস্থতা কাটিয়ে এখন তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে
উঠেছেন। এ সময় সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরাসহ কয়েকজন মহিলা দল নেত্রী
ছিলেন। এর আগে দুপুরে মহিলা দল নেত্রীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। এদিকে অন্যান্য দিনের মতো গতকাল প্রায়
অবরুদ্ধ ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়। অবরুদ্ধ অবস্থায় দশম দিন
পার করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল
যথারীতি বহাল। একটি জলকামান ও দুটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়িভাবে রাখা আছে।
কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে লাঠি হাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন একদল
নারী পুলিশ। প্রধান ফটকের তালা খোলা থাকলেও পুলিশের অনুমতি ছাড়া কাউকে ওই
কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে কয়েকটি বালুর ট্রাক ও দাঙ্গা
পুলিশ সরিয়ে নেয়া হয় সকালে। ৮৬ নম্বর ওই সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল
পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এদিকে গতকাল দুপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
যান মহিলা দল নেত্রী ও সাবেক এমপি ফরিদা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন। তারা বিএনপি
চেয়ারপারসনের জন্য খাবার নিয়ে যান। পরে বিকালে সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী
মনি ও রাশেদা বেগম হীরাসহ কয়েকজন যান গুলশান কার্যালয়ে। সন্ধ্যার পর খালেদা
জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি
শামা ওবায়েদ।
ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে: ছাত্রদল
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও অসংলগ্ন আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গতকাল ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, ঢাকাতে যখন সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঠিক সেই মুহূর্তে আজ্ঞাবহ ডিএমপিকে দিয়ে সমাবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করিয়ে সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এতে প্রমাণ হলো এই দেশে গণতন্ত্র এখন শেখ হাসিনার আঁচলের তলায়। দেশবাসী আরও অবাক হলো ওই সমাবেশে হাসিনার মিথ্যাচার এবং খালেদা জিয়া সম্পর্কে অসংলগ্ন ভাষার প্রয়োগ দেখে। বিজ্ঞ আদালত যাকে রং হেডেড বলে আখ্যা দিয়েছেন তার কাছে থেকে অবশ্য জাতি এর চেয়ে ভাল কিছু প্রত্যাশা করে না। কিন্তু জাতি অবাক হয়, যখন দেখে হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। কারও ব্যক্তি জীবন নিয়ে যথেচ্ছা মিথ্যাচার করছে। ছাত্রদল নেতারা বলেন, তিনি কিভাবে একজনের ব্যক্তি জীবন নিয়ে নোংরা কথা বলতে পারেন যেখানে তার ব্যক্তি জীবনের অন্ধকার দিক নিয়ে তারই দলের সাবেক এক সদস্য বই পর্যন্ত বের করেছে। তার মুখের কুৎসিত ও অশ্রবণযোগ্য ভাষা শুনতে তার দলের লোকজন অভ্যস্ত হলেও জাতি সবসময় তার নোংরা বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। তারা বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে জাতি যখন হাসিনার কাছ থেকে মধ?্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে ও শুনতে চায়। তখন তিনি জাতিকে আশার বাণী না শুনিয়ে অন্যের ব্যক্তিগত কুৎসা আর গীবত করে জাতিকে আবারও আশাহত করেছেন। নেতারা বলেন, নিম্নশ্রেণীর মনমানসিকতা ও ভাষার প্রয়োগ পরিহার করে জনগণের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। অন্যথায় কখন যে আপনি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত স্বৈরশাসকদের কাতারে শামিল হবেন তা নিজেই বুঝতে পারবেন না। তার এই বক্তব্য এদেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং চলমান অবরোধ কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবে।
বিএনপিপন্থি ৩১ সংগঠন
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য-হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপিপন্থি ৩১টি সংগঠন। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেজর (অব.) মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মিয়া আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা বলেন, এদেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। গ্রেপ্তার করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু এতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তারা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার চলাচলে সব ধরনের অবরোধ প্রত্যাহার এবং ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব জেলায় এ ৩১ সংগঠনের নেতাকর্মী রয়েছেন তাদের সর্বাত্মক অবরোধ সফল করার জন্য আহ্বান জানান।
ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে: ছাত্রদল
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও অসংলগ্ন আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গতকাল ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, ঢাকাতে যখন সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঠিক সেই মুহূর্তে আজ্ঞাবহ ডিএমপিকে দিয়ে সমাবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করিয়ে সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এতে প্রমাণ হলো এই দেশে গণতন্ত্র এখন শেখ হাসিনার আঁচলের তলায়। দেশবাসী আরও অবাক হলো ওই সমাবেশে হাসিনার মিথ্যাচার এবং খালেদা জিয়া সম্পর্কে অসংলগ্ন ভাষার প্রয়োগ দেখে। বিজ্ঞ আদালত যাকে রং হেডেড বলে আখ্যা দিয়েছেন তার কাছে থেকে অবশ্য জাতি এর চেয়ে ভাল কিছু প্রত্যাশা করে না। কিন্তু জাতি অবাক হয়, যখন দেখে হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে। কারও ব্যক্তি জীবন নিয়ে যথেচ্ছা মিথ্যাচার করছে। ছাত্রদল নেতারা বলেন, তিনি কিভাবে একজনের ব্যক্তি জীবন নিয়ে নোংরা কথা বলতে পারেন যেখানে তার ব্যক্তি জীবনের অন্ধকার দিক নিয়ে তারই দলের সাবেক এক সদস্য বই পর্যন্ত বের করেছে। তার মুখের কুৎসিত ও অশ্রবণযোগ্য ভাষা শুনতে তার দলের লোকজন অভ্যস্ত হলেও জাতি সবসময় তার নোংরা বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। তারা বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে জাতি যখন হাসিনার কাছ থেকে মধ?্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে ও শুনতে চায়। তখন তিনি জাতিকে আশার বাণী না শুনিয়ে অন্যের ব্যক্তিগত কুৎসা আর গীবত করে জাতিকে আবারও আশাহত করেছেন। নেতারা বলেন, নিম্নশ্রেণীর মনমানসিকতা ও ভাষার প্রয়োগ পরিহার করে জনগণের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। অন্যথায় কখন যে আপনি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত স্বৈরশাসকদের কাতারে শামিল হবেন তা নিজেই বুঝতে পারবেন না। তার এই বক্তব্য এদেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং চলমান অবরোধ কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবে।
বিএনপিপন্থি ৩১ সংগঠন
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য-হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপিপন্থি ৩১টি সংগঠন। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেজর (অব.) মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মিয়া আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা বলেন, এদেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। গ্রেপ্তার করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু এতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তারা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার চলাচলে সব ধরনের অবরোধ প্রত্যাহার এবং ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব জেলায় এ ৩১ সংগঠনের নেতাকর্মী রয়েছেন তাদের সর্বাত্মক অবরোধ সফল করার জন্য আহ্বান জানান।
No comments