একদিন পরে আসছে ট্রেন দুর্ভোগে যাত্রীরা
যাতায়াতের
সবচেয়ে বড় মাধ্যম সড়কপথ। বিরোধী জোটের টানা অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে মহাসড়ক।
এতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানচলাচল। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষ জরুরি
প্রয়োজনে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রেন। কিন্তু সেই ট্রেনেও
ভরসা করতে পারছে না রেলযাত্রীরা। আগের দিনের রাতের ট্রেন পরের দিন দুপুরেও
ছাড়ছে না। ফলে গ্রামের উদ্দেশে সন্ধ্যায় কমলাপুর স্টেশনে আসা যাত্রীগণ
ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছে কমলাপুর স্টেশনে। আর এতে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনা
পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের। গতকাল সোমবার শিডিউল বিপর্যয় ১২ ঘণ্টা ছাড়িয়ে
২৪ ঘণ্টায় গিয়ে পৌঁছে কোন কোন ট্রেনের।
স্ট্রেশন সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে যে ট্রেন কমলাপুরে পৌঁছার কথা তা সোমবার সকালে এসেও পৌঁছেনি। এছাড়া সোমবার সকালে যে ট্রেন ছাড়ার কথা তা দুপুর তিনটা পর্যন্ত ঢাকা ত্যাগ করেনি। এতে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। এমনকি কখন ট্রেন ছাড়া হবে তারও কোনও খবর জানতে পারছে না যাত্রীরা। অপর দিকে বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত শেষে রোববার রাত থেকে হাজারো মুসল্লি কমলাপুরে অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। রাতভর অপেক্ষা করেও তারা ট্রেন পাননি। দীর্ঘ ক্লান্তির ছাপ তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে। মোনাজাতে অংশ নেয়া রহমান বিশ্বাস বলেন, ইজতেমায় অংশ নিতে সঙ্গে যে টাকা এনেছিলাম, তা খরচ করে ফেলেছি। ফলে সড়কপথেও যাওয়ার উপায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে খাওয়া দাওয়ায় তাকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে চলছে সাধারণ যাত্রীদেরও ভোগান্তি। আগে টিকিট করে স্টেশনে আসা যাত্রীদের রাতভর স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়েছে ট্রেনের জন্য। ফলে রেলের শিডিউল ভেঙে পড়ায় স্টেশনে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়।
এ ব্যাপারে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংসু চক্রবর্তী মানবজমিনকে বলেন, স্বাভাবিক দিনের চাইতে চলমান অবরোধের কারণে ট্রেন একটু কম গতিতে চলছে। এতে করে ঢাকার বাইরে থেকে ট্রেন আসতে দেরি করে ফেলছে। এছাড়া দুর্বৃত্তরা রাস্তার ফিসপ্লেট তুলে ফেলার কারণেও ট্রেনের রাস্তা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, একতা এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি গতকাল শিডিউল সময়ের ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়া হয়। আর চট্টগ্রামগামী তুর্ণা নিশিতা ১২ ঘণ্টা পর ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনের যাত্রীরা আগের দিন কমলাপুর ট্রেনে এসে হাজির হন। কিন্তু স্ট্রেশনে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার পরও যেতে পারেনি নিজ নিজ গন্তব্য স্থলে। এমনকি কমলাপুর রেলের কর্মকর্তারা ট্রেন ছাড়ার সঠিক সময় জানাতে পারেননি তাদের। শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে রোববার সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, আপৎকালীন সময়ে ট্রেন চলাটাই বড় কথা। শিডিউল বিপর্যয় ততটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মকর্তারা এটাকে কোন বিষয় মনে করছেন না। রেলের একাধিক কর্মকর্তারা রেলের এই শিডিউল বিপর্যয়কে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন।
চট্টগ্রামের আরিফ হোসাইন নোমান নামের ট্রেন যাত্রী বলেন, রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তুর্ণা নিশিতা ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বাসা থেকে অবরোধের কারণে একটু আগেই বের হই। দুপুরের মধ্যে কমলাপুরে স্ত্রী আর ৬ মাসের ছেলেকে নিয়ে আসি। কিন্তু এসে শুনি ঘণ্টা দুয়েক পরে ট্রেন আসবে। কিন্তু সেই ট্রেন আজ দুপুরেও আসেনি। শীতের ঠাণ্ডায় স্ত্রী ও ছেলে দুজনই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এদিকে অবরোধে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে ও রেলপথের নাশকতা ঠেকাতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নামানো হয়েছে ৮ হাজারের বেশি আনসার-ভিডিপি সদস্য। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একসংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ এক হাজার ৪১টি পয়েন্ট রয়েছে। প্রতি পয়েন্টে আটজন করে আট হাজার ৩২৮ জন আনসার ও ভিডিপি (গ্রাম প্রতিরক্ষা দল) সদস্য কাজ করবেন। রেল মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, দেশে দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। গত বছরও ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার সময় রেলের নিরাপত্তায় আট হাজারের কিছু বেশি আনসার-ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছিল।
স্ট্রেশন সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে যে ট্রেন কমলাপুরে পৌঁছার কথা তা সোমবার সকালে এসেও পৌঁছেনি। এছাড়া সোমবার সকালে যে ট্রেন ছাড়ার কথা তা দুপুর তিনটা পর্যন্ত ঢাকা ত্যাগ করেনি। এতে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। এমনকি কখন ট্রেন ছাড়া হবে তারও কোনও খবর জানতে পারছে না যাত্রীরা। অপর দিকে বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত শেষে রোববার রাত থেকে হাজারো মুসল্লি কমলাপুরে অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। রাতভর অপেক্ষা করেও তারা ট্রেন পাননি। দীর্ঘ ক্লান্তির ছাপ তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে। মোনাজাতে অংশ নেয়া রহমান বিশ্বাস বলেন, ইজতেমায় অংশ নিতে সঙ্গে যে টাকা এনেছিলাম, তা খরচ করে ফেলেছি। ফলে সড়কপথেও যাওয়ার উপায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে খাওয়া দাওয়ায় তাকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে চলছে সাধারণ যাত্রীদেরও ভোগান্তি। আগে টিকিট করে স্টেশনে আসা যাত্রীদের রাতভর স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়েছে ট্রেনের জন্য। ফলে রেলের শিডিউল ভেঙে পড়ায় স্টেশনে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়।
এ ব্যাপারে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংসু চক্রবর্তী মানবজমিনকে বলেন, স্বাভাবিক দিনের চাইতে চলমান অবরোধের কারণে ট্রেন একটু কম গতিতে চলছে। এতে করে ঢাকার বাইরে থেকে ট্রেন আসতে দেরি করে ফেলছে। এছাড়া দুর্বৃত্তরা রাস্তার ফিসপ্লেট তুলে ফেলার কারণেও ট্রেনের রাস্তা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, একতা এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি গতকাল শিডিউল সময়ের ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়া হয়। আর চট্টগ্রামগামী তুর্ণা নিশিতা ১২ ঘণ্টা পর ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনের যাত্রীরা আগের দিন কমলাপুর ট্রেনে এসে হাজির হন। কিন্তু স্ট্রেশনে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার পরও যেতে পারেনি নিজ নিজ গন্তব্য স্থলে। এমনকি কমলাপুর রেলের কর্মকর্তারা ট্রেন ছাড়ার সঠিক সময় জানাতে পারেননি তাদের। শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে রোববার সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, আপৎকালীন সময়ে ট্রেন চলাটাই বড় কথা। শিডিউল বিপর্যয় ততটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মকর্তারা এটাকে কোন বিষয় মনে করছেন না। রেলের একাধিক কর্মকর্তারা রেলের এই শিডিউল বিপর্যয়কে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন।
চট্টগ্রামের আরিফ হোসাইন নোমান নামের ট্রেন যাত্রী বলেন, রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তুর্ণা নিশিতা ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বাসা থেকে অবরোধের কারণে একটু আগেই বের হই। দুপুরের মধ্যে কমলাপুরে স্ত্রী আর ৬ মাসের ছেলেকে নিয়ে আসি। কিন্তু এসে শুনি ঘণ্টা দুয়েক পরে ট্রেন আসবে। কিন্তু সেই ট্রেন আজ দুপুরেও আসেনি। শীতের ঠাণ্ডায় স্ত্রী ও ছেলে দুজনই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এদিকে অবরোধে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে ও রেলপথের নাশকতা ঠেকাতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নামানো হয়েছে ৮ হাজারের বেশি আনসার-ভিডিপি সদস্য। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একসংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ এক হাজার ৪১টি পয়েন্ট রয়েছে। প্রতি পয়েন্টে আটজন করে আট হাজার ৩২৮ জন আনসার ও ভিডিপি (গ্রাম প্রতিরক্ষা দল) সদস্য কাজ করবেন। রেল মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, দেশে দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। গত বছরও ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার সময় রেলের নিরাপত্তায় আট হাজারের কিছু বেশি আনসার-ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছিল।
No comments