১২ দিনে ক্ষতি ৪৫০ কোটি টাকা -বিজিএমইএ
বিজিএমইএ
সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বর্তমানে
পোশাক শিল্পে এক উৎকণ্ঠাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে এ শিল্প এখন
বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পকে বাঁচিয়ে
রাখার বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সব ধরনের রাজনৈতিক
কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখার অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া সংলাপের মধ্য দিয়ে
চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান
বিজিএমইএ সভাপতি। গতকাল চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ কার্যালয়ে
আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন আতিকুল
ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি এসএম মান্নান, শহীদুল্লাহ আজিম ও
সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান
রপ্তানি খাত তৈরী পোশাক শিল্পের সাপ্লাই চেইনে নজিরবিহীন ধস নেমেছে। একের
পর এক অর্ডার বাতিল, সময়মতো মালামাল সরবরাহ দিতে না পারায় ডিসকাউন্ট ও
এয়ারশিপমেন্টের মতো ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ায় পণ্য সরবরাহ দিতে গিয়ে এখন অনেকটা
দিশাহারা তৈরী পোশাক কারখানার মালিকরা। বিদেশী ক্রেতারা অনেকেই বাংলাদেশের
তৈরী পোশাক শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৪ঠা
জানুয়ারি থেকে দেশে অব্যাহতভাবে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এতে রাজনৈতিক
কর্মসূচির নামে রাজনীতিবিদরা আমাদের ব্যবসা, বিনিয়োগকে জিম্মি করেছেন। এতে
করে গভীর সঙ্কটে পড়েছে পোশাক শিল্প। কারণ পোশাক শিল্প একটি ইমেজনির্ভর
আন্তর্জাতিক শিল্প, যার ক্রেতারা বিদেশী। এই ক্রেতারা যখন দেখেন, এখানে
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই, জানমালের নিরাপত্তা নেই, তখন তারা বিপাকে পড়েন ও
অর্ডার দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন। রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
আপনারা রাজনীতিবিদ। আপনারা রাজনীতি করুন। আমরা অর্থনীতি সচল রাখার কাজ করি।
বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রমকে সব ধরনের রাজনৈতিক
কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখুন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সমস্যার
সমাধান নিজেরাই করুক। আমরা ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে মাথা ঘামাব না। ২০১৩ সালে
সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। তাই আমরা
কোন উদ্যোগ নেবো না। তবে প্রয়োজনে আমরা ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার
কাছে যাবো। এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ
জানাচ্ছি। এই অনুরোধে কাজ না হলে তখন বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সরাসরি দেখা করে এ দাবি জানাবে। তবে ঠিক কবে কখন তারা খালেদা জিয়ার
কাছে যাবেন তা খোলাসা করেননি।
আতিকুল ইসলাম দাবি করেন বলেন, চলমান অবরোধে গত ১২ দিনে এ পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তৈরী পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২,৬০০ কোটি ডলার। সেই অনুযায়ী একদিনের অবরোধ বা হরতালে ৬৯৫ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। অবরোধের কারণে ৫০ শতাংশ উৎপাদনই ব্যাহত হয়। এছাড়া প্রতিদিন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকার। সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামে রপ্তানির মালামাল পরিবহনে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি। তবে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রামে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেয়া কোন সমাধান নয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গত দেড় মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার তৈরী পোশাক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। শুধু গত ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনেই বিজিএমইএ’র ২৬টি সদস্য কারখানার ৩৩ লাখ ডলারের অর্ডার বাতিল, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ডিসকাউন্ট, ১০ লাখ ৫৪ হাজার ডলারের এয়ার শিপমেন্ট ও ৭৪ লাখ ডলারের শিপমেন্ট বিলম্বিত হয়েছে। এ অস্থিরতা চলতে থাকলে পোশাক শিল্পের অবস্থা ২০১৩ সালের চেয়েও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দ্রুত এ অচলাবস্থার সমাধান প্রয়োজন।
আতিকুল ইসলাম দাবি করেন বলেন, চলমান অবরোধে গত ১২ দিনে এ পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তৈরী পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২,৬০০ কোটি ডলার। সেই অনুযায়ী একদিনের অবরোধ বা হরতালে ৬৯৫ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। অবরোধের কারণে ৫০ শতাংশ উৎপাদনই ব্যাহত হয়। এছাড়া প্রতিদিন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকার। সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামে রপ্তানির মালামাল পরিবহনে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি। তবে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রামে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেয়া কোন সমাধান নয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গত দেড় মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার তৈরী পোশাক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। শুধু গত ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনেই বিজিএমইএ’র ২৬টি সদস্য কারখানার ৩৩ লাখ ডলারের অর্ডার বাতিল, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ডলারের ডিসকাউন্ট, ১০ লাখ ৫৪ হাজার ডলারের এয়ার শিপমেন্ট ও ৭৪ লাখ ডলারের শিপমেন্ট বিলম্বিত হয়েছে। এ অস্থিরতা চলতে থাকলে পোশাক শিল্পের অবস্থা ২০১৩ সালের চেয়েও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দ্রুত এ অচলাবস্থার সমাধান প্রয়োজন।
No comments