বেগম জিয়ার মতামতটি অমার্জনীয় ও অনাকাক্সিক্ষত by শাহজাহান মিয়া

রিপাবলিকান পার্টি সমর্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসের অনলাইন সংস্করণের মতামত পাতায় গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে কিছু আপত্তিকর বক্তব্যসহ ৮৯৮ শব্দে লেখা একটি নিবন্ধ সমালোচনা ও ধিক্কারের ঝড় তুলেছে। দেশবাসী বিস্ময়ে বিমূঢ়।
বিদেশী পত্রিকায় বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সংবলিত নিবন্ধ প্রকাশ করায় গত ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদেও সিনিয়র সংসদ সদস্যরা বেগম জিয়ার ঘৃণ্য মতামতের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ চেয়ে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন উল্লেখ করে মাননীয় সংসদ সদস্যরা তাঁকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি করেছেন। তবে আমি কিন্তু মোটেই বিস্মিত হইনি। কারণ, এ রকম বক্তব্য বিএনপি নেত্রীর জন্য খুবই স্বাভাবিক। কেননা, তিনি পাকিস্তান ছাড়া অন্য আর কিছুই বোঝেন না। তাঁর ধ্যানে-জ্ঞানে-মনে ও চিন্তা-চেতনায় শুধু পাকিস্তান আর পাকিস্তান। মনে হয়, এখনও তিনি পাকিস্তান আর তাঁর পাকিস্তানী বন্ধুদের নিয়েই বিমূর্ত থাকেন। চরম দুর্ভাগ্য এ দেশবাসীর যে, অনেক রক্ত ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক দেশটির তিনি তিন তিনবার (একবার অল্প কয়েকদিনের জন্য) প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পরিতাপের বিষয় তারপরও পাকিস্তানী প্রেতাত্মা এখনও তাঁর ওপর ভর করে আছে। আর সেজন্যই তাঁর এই ঘৃণ্য প্রলাপ বকা। মনে হয় তাঁর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে বেগম জিয়ার তো আর এ রকম লেখা বাংলায় লেখারও সামর্থ্য থাকার কথা নয়। তাই, যারা তাদের ম্যাডামের হয়ে অতি উৎসাহে ইংরেজী ভাষায় এই প্রচারপত্রটি লিখে দিয়েছেন তাদের মধ্যে কোন গ-গোল আছে। তা না হলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটিতে নিশ্চয়ই এমন জাজ্বল্য মিথ্যাচারের আশ্রয় নিতেন না। ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকাটি সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলছেন। গত শতাব্দীর শেষ দিকে আমি যখন ওয়াশিংটনে ছিলাম তখন ওয়াশিংটন পোস্ট ও ওয়াশিংটন টাইমস এ দুটি পত্রিকার বাঘা বাঘা সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। তখন পোস্টের সার্কুলেশন ছিল সোয়া দুই লাখ এবং টাইমসের সার্কুলেশন ছিল তার অর্ধেক। প্রায় সোয়া লাখ। এটা আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা নয়। বেগম জিয়ার নামে লেখা নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম দেশ হিসেবে আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এক হিসেবে তিনি ঠিকই বলেছেন। কারণ, একাত্তরে ঢাকা সেনানিবাসের শীতল ছায়ায় আরাম-আয়েশে আর পাকিস্তানী সেনা-কর্মকর্তাদের অতিথি হিসেবে ধন্য হয়ে বাংলাদেশের নাম তাঁর মুখে আসে কি করে! কারণ, তাঁর ভাষায় যে প্রিয় স্বামী দেশের স্বাধীনতার ডাক (?) দিয়ে ফেলেছিলেন বলে তাঁর মৃত্যুর পর প্রচার করছেন, সে স্বামীর ডাকে একাত্তরে তিনি সীমান্ত পার হয়ে ওপারে না গিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে স্বেচ্ছায় অবস্থান করেছিলেন। সেই মধুর স্মৃতি কি বেগম সাহেবা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে পারেন? তাই তিনি পাকিস্তানি চিন্তা চেতনার দিক থেকে শতভাগ ঠিক কাজটিই করেছেন।
আমার বক্তব্য সবার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য হবে কিনা জানি না। তবে এখানে যা বলছি তা নিতান্ত বিবেকের তাড়নায়ই বলতে চাইছি। ১৯৬৯ সাল থেকেই আমি সাংবাদিক। ১৯৭০ সালে ‘দ্য পিপল’ পত্রিকায় আমি ছিলাম শিফট-ইনচার্জ। ২৫ মার্চ কাল রাতে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেঁচে যাই। ১৯৬৫ সালে নেয়া পূর্ণ ইউটিসি ট্রেনিংকে সম্বল করে পরে পরিপূর্ণ ট্রেনিং নিয়ে পবিত্র মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিই। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছিলাম ২৬/২৭ বছরের এক টগবগে যুবক। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে উল্টাপাল্টা কথা শুনলে গায়ে জ্বালা ধরে। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে-বিদেশে ঘটা সবকিছু এখনও চোখের সামনে ছবির মতো ভাসে। ভারত ও সোভিয়েট ইউনিয়নসহ আরও বেশকিছু পূর্ব ইউরোপীয় দেশ আমাদের পক্ষে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। আমরা অবশ্যই ভুলিনি আমেরিকা ও চীন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কিভাবে দাঁড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে এদেশে গণহত্যা ও তাদের ঘৃণ্য আগ্রাসনের নগ্ন সহযোগী হয়েছিল। দেশের জনগণ নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং বেগম জিয়ার সাধের পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সপ্তম নৌবহরের পারমাণবিক যুদ্ধ জাহাজ ইউএস এন্টারপ্রাইজ আমাদের বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়ে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিজয়কে ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। অবশ্য স্বীকার করতেই হবে আমেরিকার জনগণ এবং এডওয়ার্ড কেনেডির মতো কিছ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব দৃঢ়ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল স্বীকৃতি দিয়েছিল। টাইমসে প্রকাশিত বেগম জিয়ার নামে লিখিত নিবন্ধের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বিএনপি নেতাদের অযৌক্তিক বক্তব্য ও আরেক দফা মিথ্যাচার অত্যন্ত পীড়াদায়ক। জীবনে কমবেশি প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বিদেশী পত্রিকায় নিবন্ধ লিখলে কেউ রাষ্ট্রদ্রোহী হয় না।” বিজ্ঞ ব্যারিস্টার মহোদয় ঠিকই বলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সম্মানিত ব্যাচমেট হাসনা মওদুদের রুমমেট (স্বামী) অনেকের প্রিয় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বলতে চাই নিছক নিবন্ধ লেখার জন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অপরাধী হতে পারে না। তবে কোন বিশেষ নিবন্ধে কি লেখা হয় সেই বিষয়বস্তুটিই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। আলোচ্য লেখাটিতে সেরকম একটি অপকর্মই করা হয়েছে। আর সেজন্যই এদেশের মানুষ ক্ষেপেছে। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়াও লেখাটি শুধু সরকারের বিরুদ্ধেই নয়, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং সর্বোপরি এদেশের পোশাক শিল্পে কর্মরত লাখ লাখ কর্মজীবী শ্রমিকদের স্বার্থকে আঘাত করেছে। আর তাই দেশের সর্ব মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সবাই বলছে বেগম জিয়া মনে হয় চাচ্ছেন এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাক। দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি সুবিধা বাতিল এবং দেশের ওপর অবরোধ আরোপের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি বেগম জিয়ার আহ্বানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, বিরোধীদলীয় নেতার এই আহ্বান দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের পরিপন্থী। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কার্যালয় থেকে উদ্যোগ নেয়ার পর তা অব্যাহত রাখার জন্য যখন সরকার ও বেসরকারী খাত একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, ঠিক তখন বিরোধীদলীয় নেত্রীর এই ধরনের “আত্মঘাতী” আহ্বান কোনভাবেই কাম্য নয়। জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে এ সুবিধার আওতাভুক্ত খাতসহ সম্ভাবনাময় অন্যান্য শিল্পখাত সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। ফলে, দেশের আর্থিক উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে তাঁরা মনে করেন। প্রচ- বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রশংসার দাবিদার। বিশ্বব্যাংকও সে সত্যটি স্বীকার করেছিল।
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গেও বেগম জিয়া নগ্ন মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর প্রচ- তাগিদবোধ থেকে তিনি এখানেও অপতৎপরতার আশ্রয় নিয়েছেন। দলে কিছু বড় মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও বেগম জিয়ার বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ ও কার্যক্রম প্রায় একই। দুটি দলেরই আত্মার আবাস তাদের স্বপ্নের পাকিস্তান। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধীদের রক্ষা করতে নির্লজ্জভাবে আবারও সুকৌশলে তিনি তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন নানা কথা। বেগম জিয়া তাঁর লেখায় স্পষ্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপরাধ-বিষয়ক দূত শেখ হাসিনার সরকারের নিন্দা করেছেন শুধু তাঁর সরকারের বিরোধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য। যেটা ডাহা মিথ্যা। সত্যটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক দূত স্টিফেন র‌্যাপ বছর দুয়েক আগে ঢাকায় এসে বিচার কাজ দেখেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অবশ্য বিচারকার্য যাতে স্বচ্ছ হয় সে বিষয়টির প্রতি নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। গত ২১ জানুয়ারি ঘোষিত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদ-ের রায়কে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানীসহ অনেক দেশ স্বাগত জানিয়েছে। অবশ্য সে কথাটি বলতে তাঁর খুব লজ্জা লেগেছে। র‌্যাব বলে পরিচিত র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সম্পর্কে তাঁর নিবন্ধে লিখা ইংরেজী বাক্যটি পড়লে সবারই মনে হবে পুলিশের প্যারামিলিটারি উইংয়ের এই ফোর্সটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্টি। না, অবশ্যই না। র‌্যাবের জন্মদাত্রী হলেন ম্যাডাম খালেদা জিয়া। সেনাবাহিনীর সদস্য দিয়ে অপারেশন ক্লিনহার্ট, চিতা, কোবরা বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হয়ে জোট আমলেই তিনি র‌্যাব গঠন করেছিলেন। ম্যাডাম মনে করেছিলেন, মানুষ তাঁর মতো বেমালুম সব ভুলে যায়। না, মোটেই না।
ম্যাডামের শরম লজ্জার বালাই থাকলে তিনি পারিবারিক শাসনের কথা ভুলেও মুখে আনতেন না। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বেগম জিয়ার পারিবারের সদস্যদের শাসনের অসহনীয় জ্বালায় জ্বলেছেন দেশবাসী। বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ‘হাওয়া ভবন’ থেকে তখন দেশে একটি সমান্তরাল সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশে পরিচালিত সব অনাচার-অত্যাচার ও সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু ছিল হাওয়া ভবন। বলতে হচ্ছে, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের তুলনাই হয় না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুল দু’জনই বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে বিদেশেই চাকরি করছেন। তাঁরা এখন পর্যন্ত রাজনীতির সঙ্গে কোনমতেই যুক্ত হননি। খালেদা জিয়ার দুই ছেলের উল্লেখ করার মতো কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। বিদেশের ক্ষমতাশালী মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এদেশে তার দোসর জামায়াতকে নিয়ে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সে স্বপ্নেই তিনি এখন বিভোর হয়ে আছেন। কারণ, ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করতে না পারলে দুর্নীতির বরপুত্র তাঁর দুই ছেলেকে কোনমতেই রক্ষা করা সম্ভব নয়। বেগম জিয়া ও তাঁর দলের নেতা-নেত্রী ও সমর্থকদের ধারণা নানাভাবে বেকায়দায় থাকা বর্তমান মহাজোট সরকারকে একটু নাস্তানাবুদ করতে পারলেই তাদের আবার ক্ষমতায় আসা ঠেকানো যাবে। এ কথাও ঠিক যে বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন থাকার পরও নানা কারণে তারাও খুব স্বস্তিতে আছে বলে মনে হয় না। তবে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলের দুঃশাসন-দুর্নীতি ও সীমাহীন দলীয়করণের দুঃসহ স্মৃতি মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। এই কঠিন সত্যটি জনগণকে এখনও তাড়া করে তাদের মনে এখনও তোলপাড় সৃষ্টি করে। তাই আবার বিএনপিকে ভোট দিলে নিশ্চিতভাবে তারেক রহমান এবং তার সহযোগীরা দেশে ফিরে আসবে। আর তারা একবার দেশে ফিরে আসতে পারলে তাদের চেহারা কেমন হবে সেটাও জনগণের মনে ভেসে উঠছে। আর তাই জনগণ ধানের শীষে ভোট দেয়ার আগে এখনও শতবার চিন্তা করবেন। এবং এই কঠিন সত্যটি বেগম জিয়া নিজেই বুঝতে পেরেছেন বা তাকে তাঁর অনুসারীরা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। সে কারণেই বেগম জিয়া বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তির সৃষ্টির উদ্দেশে নানা ফন্দির-ফিকির করছেন। তবে জনগণই দেশের শেষ ভরসা। তারা সার্বিক বিবেচনায় দেশের মানুষের জন্য যেটা ভাল মনে করবেন সেই আলোকেই তাদের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.