হরতালে পুড়িয়ে হত্যা
কোন কোন মানুষের মানবতাবোধ আজ কোথায় যেন
হারিয়ে গেছে! কোথায় গুমরে-গুমরে কাঁদছে বিবেকের অসহায় আহত পাখিগুলো! মানুষ
এত নিষ্ঠুর আর হৃদয়হীন হতে পারে তা চোখে না দেখলে হয়ত বিশ্বাস করা কঠিন।
সেই হৃদয়হীন নানা কা- অহরহ ঘটছে আমাদের সমাজে। হত্যা, ধর্ষণ, এ্যাসিড
নিক্ষেপের সঙ্গে ইদানীং যোগ হয়েছে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সেই
সুযোগে ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যাসহ সন্ত্রাস-সহিংসতা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাতিলের দাবিতে বিগত কিছুদিন ধরে জামায়াত-শিবিরের
নেতাকর্মীরা যেভাবে পুলিশ ও সাধারণ মানুষ হত্যা করছে; সারাদেশকে অস্থিতিশীল
করে তোলার চেষ্টা করছে, তা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আদালতে বিচারাধীন
একটি আইনী বিষয়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে দেশে এভাবে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি
করতে পারে, তাদের কোনভাবেই নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির অনুসারী বলা যেতে পারে
না। হরতালের নামে সহিংসতা ও মানুষ হত্যা কোন বিবেচনার মানদণ্ডেই গ্রহণযোগ্য
হতে পারে না।
অথচ এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে একের পর এক। মঙ্গলবারের হরতালের আগের রাতে জামায়াত-শিবির কর্মীরা এমনই এক নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সোমবার উত্তরার আজমপুর এলাকায় বাসের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন একটি বেসরকারী ব্যাংকের অফিসার রাসেল মাহমুদ। তিনি একটি পরিবহন কোম্পানির বাসে চড়ে তার বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় হুড়াহুড়ি করে অন্যরা বাস থেকে বেরুতে পারলেও হতভাগ্য রাসেল বাসের মধ্যেই পুড়ে কয়লা হয়ে যান। জানা গেছে, এই যুবকের বাবা-মা-ভাই ছাড়াও স্ত্রী এবং দেড়মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
একটি মর্মন্তুদ ঘটনা ও একটি করুণ মৃত্যু, যা একটি পরিবারের স্বপ্নকে ধূলিসাত করে দিলÑতার জন্য দায়ী কে? এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক? হরতালের আগের রাতে যে আচমকা আক্রমণে বাসে আগুন লাগিয়ে একজন নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হলো, তার সপক্ষে কি যুক্তি দেখাবে মানবতার ধ্বজাধারীরা? চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর অন্যায় দাবিতে একজন নিরীহ-নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা কি সমর্থন যোগ্য? একটি বৈধ বিচারকে রুখতে এহেন জ্বলজ্যান্ত অবিচার কি কোন মানুষের কাজ?
সন্ত্রাসী হরতাল আর বিবেকহীন নিষ্ঠুরতার শিকার যে পরিবারগুলো, তাদের অপূরণীয় ক্ষতি কোন কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়; তবুও তারা যাতে ভেসে না যায়, সেদিকে সরকারের নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী। আর যারা এসব অপকর্ম, সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে, বোমা মেরে বা গুলি করে হত্যা করছে তাদের ব্যাপারেও অনমনীয় মনোভাব দেখাতে হবে। রাসেল মাহমুদের হত্যাসহ অন্যসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
এসব কর্মকা-ে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদেরও আজ গুরুত্বসহকারে চিন্তা করতে হবে : জনগণের স্বার্থের নামে জনগণকে হত্যার এই সর্বনাশা রাজনীতি তাঁরা আর কতকাল চলবে! মানুষ মেরে মানুষের কল্যাণ কতটুকু করা যাবেÑ এ বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হবে, দেশ জাতির জন্য ততই মঙ্গল।
অথচ এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে একের পর এক। মঙ্গলবারের হরতালের আগের রাতে জামায়াত-শিবির কর্মীরা এমনই এক নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সোমবার উত্তরার আজমপুর এলাকায় বাসের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন একটি বেসরকারী ব্যাংকের অফিসার রাসেল মাহমুদ। তিনি একটি পরিবহন কোম্পানির বাসে চড়ে তার বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় হুড়াহুড়ি করে অন্যরা বাস থেকে বেরুতে পারলেও হতভাগ্য রাসেল বাসের মধ্যেই পুড়ে কয়লা হয়ে যান। জানা গেছে, এই যুবকের বাবা-মা-ভাই ছাড়াও স্ত্রী এবং দেড়মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
একটি মর্মন্তুদ ঘটনা ও একটি করুণ মৃত্যু, যা একটি পরিবারের স্বপ্নকে ধূলিসাত করে দিলÑতার জন্য দায়ী কে? এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক? হরতালের আগের রাতে যে আচমকা আক্রমণে বাসে আগুন লাগিয়ে একজন নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হলো, তার সপক্ষে কি যুক্তি দেখাবে মানবতার ধ্বজাধারীরা? চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর অন্যায় দাবিতে একজন নিরীহ-নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা কি সমর্থন যোগ্য? একটি বৈধ বিচারকে রুখতে এহেন জ্বলজ্যান্ত অবিচার কি কোন মানুষের কাজ?
সন্ত্রাসী হরতাল আর বিবেকহীন নিষ্ঠুরতার শিকার যে পরিবারগুলো, তাদের অপূরণীয় ক্ষতি কোন কিছু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়; তবুও তারা যাতে ভেসে না যায়, সেদিকে সরকারের নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী। আর যারা এসব অপকর্ম, সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে, বোমা মেরে বা গুলি করে হত্যা করছে তাদের ব্যাপারেও অনমনীয় মনোভাব দেখাতে হবে। রাসেল মাহমুদের হত্যাসহ অন্যসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
এসব কর্মকা-ে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদেরও আজ গুরুত্বসহকারে চিন্তা করতে হবে : জনগণের স্বার্থের নামে জনগণকে হত্যার এই সর্বনাশা রাজনীতি তাঁরা আর কতকাল চলবে! মানুষ মেরে মানুষের কল্যাণ কতটুকু করা যাবেÑ এ বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হবে, দেশ জাতির জন্য ততই মঙ্গল।
No comments