বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘিনীর চেয়ে বাঘের সংখ্যা কমায় উদ্বেগ
ব্যাঘ্র
শুমারির ফলাফলে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা খুশি হলেও কপালে
চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বাঘিনী ও বাঘের সংখ্যার অনুপাত। বাঘিনীর তুলনায় বাঘের
অনুপাত প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। আর এতেই দীর্ঘমেয়াদে বিপন্ন প্রজাতির
পশুটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবনে কেঁদো বাঘের সংখ্যা গত চার বছরে ১০৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৪। গত মে মাসে প্রকাশিত শুমারির রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিক ব্যবস্থাগ্রহণের ফলেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যায় এই বৃদ্ধি ঘটেছে।
কিন্তু শুমারির রিপোর্ট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বাঘ ও বাঘিনীর অনুপাত যে রকম থাকা দরকার তেমনটি নেই। সাধারণভাবে, প্রতি তিনটি বাঘিনী পিছু একটি বাঘ থাকা দরকার। কিন্তু শুমারির রিপোর্টে প্রতি বাঘ পিছু বাঘিনীর সংখ্যা পাঁচ। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা জহিদুল কবির বলেছেন, আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সাধারণ প্রতিটি বাঘ পিছু তিনটি বাঘিনী থাকা উচিত। শরনখোলা রেঞ্জে দেখা গিয়েছে যে, ১৯টি বাঘিনী রয়েছে। আর বাঘ রয়েছে মাত্র দুটি।
কবির বলেছেন, বাঘ কমতে থাকলে সুন্দরবনে ভবিষ্যতে এই প্রজাতির ভবিষ্যত সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের অন্যান্য অংশ থেকে বাঘ ধরে শরনখোলাতে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। শরনখোলার জঙ্গল বাদাবনের বাঘের বাসস্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘন।
গত বছর ১,৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ করা হয়েছিল।
২০০৪-এ বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০। ২০১৫-র ব্যাঘ্র শুমারিতে দেখা যায়, ওই সংখ্যা কমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। ওই সময় বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬। এতেই ওই বিপন্ন প্রজাতির পশুর অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন পরিবেশপ্রেমীরা।
এরপর থেকে জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে জঙ্গলের বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের পরিধি দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। চোরাশিকারীদের মোকাবিলায় উচ্চমানের নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হয়।
জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক তথা বাঘ বিশেষজ্ঞ মনিরুল খান মনে করেন, শরনখোলায় বাঘের সংখ্যা দুই নেমে আসার কারণ চোরাশিকার। তিনি বলেছেন, বাঘিনীদের তুলনায় বাঘ বেশি আক্রমণাত্মক এবং বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বেড়ায়। এর ফলে বাঘই সহজে শিকারীদের কব্জায় চলে আসে।
বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবনে কেঁদো বাঘের সংখ্যা গত চার বছরে ১০৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৪। গত মে মাসে প্রকাশিত শুমারির রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিক ব্যবস্থাগ্রহণের ফলেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যায় এই বৃদ্ধি ঘটেছে।
কিন্তু শুমারির রিপোর্ট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বাঘ ও বাঘিনীর অনুপাত যে রকম থাকা দরকার তেমনটি নেই। সাধারণভাবে, প্রতি তিনটি বাঘিনী পিছু একটি বাঘ থাকা দরকার। কিন্তু শুমারির রিপোর্টে প্রতি বাঘ পিছু বাঘিনীর সংখ্যা পাঁচ। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা জহিদুল কবির বলেছেন, আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সাধারণ প্রতিটি বাঘ পিছু তিনটি বাঘিনী থাকা উচিত। শরনখোলা রেঞ্জে দেখা গিয়েছে যে, ১৯টি বাঘিনী রয়েছে। আর বাঘ রয়েছে মাত্র দুটি।
কবির বলেছেন, বাঘ কমতে থাকলে সুন্দরবনে ভবিষ্যতে এই প্রজাতির ভবিষ্যত সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের অন্যান্য অংশ থেকে বাঘ ধরে শরনখোলাতে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। শরনখোলার জঙ্গল বাদাবনের বাঘের বাসস্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘন।
গত বছর ১,৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ করা হয়েছিল।
২০০৪-এ বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০। ২০১৫-র ব্যাঘ্র শুমারিতে দেখা যায়, ওই সংখ্যা কমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। ওই সময় বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬। এতেই ওই বিপন্ন প্রজাতির পশুর অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন পরিবেশপ্রেমীরা।
এরপর থেকে জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে জঙ্গলের বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের পরিধি দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। চোরাশিকারীদের মোকাবিলায় উচ্চমানের নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হয়।
জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক তথা বাঘ বিশেষজ্ঞ মনিরুল খান মনে করেন, শরনখোলায় বাঘের সংখ্যা দুই নেমে আসার কারণ চোরাশিকার। তিনি বলেছেন, বাঘিনীদের তুলনায় বাঘ বেশি আক্রমণাত্মক এবং বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বেড়ায়। এর ফলে বাঘই সহজে শিকারীদের কব্জায় চলে আসে।
No comments