কাশ্মীর: অশুভ লক্ষণ
দেখে
মনে হচ্ছে নয়াদিল্লীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার দখলকৃত কাশ্মীরে
বিপুল সেনা সমাগমের মাধ্যমে সেখানে সঙ্ঘাত উসকে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মিডিয়া রিপোর্টের ভাষ্যমতে, দিল্লী এ অঞ্চলে সম্প্রতি ২৫,০০০ সামরিক সদস্য পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে সেখানে যে ১০,০০০ সেনা পাঠানো হয়েছিল, এটা তার অতিরিক্ত। তাছাড়া, পর্যটক ও হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী হুমকির’ কারণে ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই, এই উদ্বেগজনক ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। খাবার ও জ্বালানি সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে, যেটার কারণে আতঙ্কিত মানুষ এ সব কিনতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, দিল্লী থেকে পুলিশের প্রতি দেয়া এক নির্দেশনা ফাঁস হয়েছে, যেখানে মসজিদ ও প্রচারকদের উপর নজর রাখতেপুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিস্ফোরণ্মুখ পরিস্থিতির সাথে সাথে আমরা আরও যোগ করতে পারি যে, ভারত প্রায় নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে। অন্যদিকে বিজেপি সংবিধান থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, যেখানে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বাইরের কোন মানুষের সম্পদ ক্রয়ের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সব লক্ষণ তাই কোন আশার আলো দেখাচ্ছে না।
এটা কোন গোপনীয় বিষয় নয় যে বিজেপির আদর্শিক মূল সংগঠন হলো হিন্দু ফ্যাসিবাদী আরএসএস। কাশ্মীরের ব্যাপারে সঙ্ঘ পরিবারের উদ্দেশ্যকে ঘিরেই কি কাশ্মীরে এই সব ঘটনা ঘটছে? আদর্শিক বাবা-মায়ের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং জনপ্রিয় ভোট ব্যাংক রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি সকল গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ছুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করছেন? এ ব্যাপারে অনেক ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে বিজেপি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যার মানচিত্র বদলে দিতে চান, কারণ স্থানীয়রা বহিরাগতের চাপে পিষ্ট হয়ে যাবে। দিল্লীর কট্টরপন্থীরা যদি ভেবে থাকেন যে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কাশ্মীরকে দখল করা যাবে, তাহলে তারা ভুল ভেবেছেন। এতে করে ভারতের ব্যাপারে কাশ্মীরীদের অনীহাই শুধু বাড়বে, যেখানে এখনই স্বাধীনতার শ্লোগান বাজতে শুরু করেছে উপত্যকায়। নিজেদের অশুভ উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে কাশ্মীরীদের প্রতিরোধের ভয়েই সম্ভবত ভারত এই রাজ্যে ব্যাপকভাবে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি শুরু করেছে।
দুঃখজনকভাবে, মনে হচ্ছে যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরে যুক্তি ও সুবিবেচনার বদলে ঔদ্ধত্ব এবং আগ্রাসী বাহিনীকে অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে।
সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং কাশ্মীরের সংবিধান বদলে দেয়ার পরিকল্পনা একটা মহাবিপর্যয়ের রেসিপি মাত্র। কাশ্মীরীরা – বিশেষ করে তরুণরা – ভারতের বর্বরতাকে যথেষ্ট সহ্য করেছে এবং নিজেদের মুক্তি ও মর্যাদার জন্য তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।
তবে এখনও সময় আছে; মোদি এবং তার বাহিনী চাইলে এখনও সেনা সরিয়ে নিতে পারেন এবং কাশ্মীরী ও পাকিস্তানের প্রতি সংলাপের হাত বাড়াতে পারেন। সুস্থ মানুষ এটাই চাইবে যাতে ভারত সঙ্ঘাত এড়াবে এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তির চেষ্টা করবে। দিল্লীতে যারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন, তারা এই সুস্থতার পথে কি হাঁটবেন?
মিডিয়া রিপোর্টের ভাষ্যমতে, দিল্লী এ অঞ্চলে সম্প্রতি ২৫,০০০ সামরিক সদস্য পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে সেখানে যে ১০,০০০ সেনা পাঠানো হয়েছিল, এটা তার অতিরিক্ত। তাছাড়া, পর্যটক ও হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী হুমকির’ কারণে ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই, এই উদ্বেগজনক ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। খাবার ও জ্বালানি সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে, যেটার কারণে আতঙ্কিত মানুষ এ সব কিনতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, দিল্লী থেকে পুলিশের প্রতি দেয়া এক নির্দেশনা ফাঁস হয়েছে, যেখানে মসজিদ ও প্রচারকদের উপর নজর রাখতেপুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিস্ফোরণ্মুখ পরিস্থিতির সাথে সাথে আমরা আরও যোগ করতে পারি যে, ভারত প্রায় নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে। অন্যদিকে বিজেপি সংবিধান থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, যেখানে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বাইরের কোন মানুষের সম্পদ ক্রয়ের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই সব লক্ষণ তাই কোন আশার আলো দেখাচ্ছে না।
এটা কোন গোপনীয় বিষয় নয় যে বিজেপির আদর্শিক মূল সংগঠন হলো হিন্দু ফ্যাসিবাদী আরএসএস। কাশ্মীরের ব্যাপারে সঙ্ঘ পরিবারের উদ্দেশ্যকে ঘিরেই কি কাশ্মীরে এই সব ঘটনা ঘটছে? আদর্শিক বাবা-মায়ের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং জনপ্রিয় ভোট ব্যাংক রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি সকল গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ছুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করছেন? এ ব্যাপারে অনেক ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে বিজেপি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যার মানচিত্র বদলে দিতে চান, কারণ স্থানীয়রা বহিরাগতের চাপে পিষ্ট হয়ে যাবে। দিল্লীর কট্টরপন্থীরা যদি ভেবে থাকেন যে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কাশ্মীরকে দখল করা যাবে, তাহলে তারা ভুল ভেবেছেন। এতে করে ভারতের ব্যাপারে কাশ্মীরীদের অনীহাই শুধু বাড়বে, যেখানে এখনই স্বাধীনতার শ্লোগান বাজতে শুরু করেছে উপত্যকায়। নিজেদের অশুভ উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে কাশ্মীরীদের প্রতিরোধের ভয়েই সম্ভবত ভারত এই রাজ্যে ব্যাপকভাবে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি শুরু করেছে।
দুঃখজনকভাবে, মনে হচ্ছে যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরে যুক্তি ও সুবিবেচনার বদলে ঔদ্ধত্ব এবং আগ্রাসী বাহিনীকে অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে।
সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং কাশ্মীরের সংবিধান বদলে দেয়ার পরিকল্পনা একটা মহাবিপর্যয়ের রেসিপি মাত্র। কাশ্মীরীরা – বিশেষ করে তরুণরা – ভারতের বর্বরতাকে যথেষ্ট সহ্য করেছে এবং নিজেদের মুক্তি ও মর্যাদার জন্য তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।
তবে এখনও সময় আছে; মোদি এবং তার বাহিনী চাইলে এখনও সেনা সরিয়ে নিতে পারেন এবং কাশ্মীরী ও পাকিস্তানের প্রতি সংলাপের হাত বাড়াতে পারেন। সুস্থ মানুষ এটাই চাইবে যাতে ভারত সঙ্ঘাত এড়াবে এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তির চেষ্টা করবে। দিল্লীতে যারা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন, তারা এই সুস্থতার পথে কি হাঁটবেন?
No comments