‘সে স্কুলে আসতে কখনোই দেরি করে না’
বানর
বাঁদরামি জন্য পরিচিত হলেও ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে একটি লক্ষ্মী বানরের
খোঁজ পাওয়া গেছে। সে স্কুলে যায়, সহপাঠীদের সঙ্গে খেলে, আবার সময়মতো টিফিনও
খায়।
অন্ধ্র প্রদেশের ভেঙ্গালামপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেঙ্গুর প্রজাতির বানরটি গত ১২ দিন ধরে নিয়মিত ক্লাস করছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরাও তাকে সানন্দে সহপাঠী বলে মেনে নিয়েছে। তারা একসঙ্গে বসে শিক্ষকের লেকচার শোনে, খাবার খায়, টিফিন পিরিয়ডে খেলাধুলা করে, আবার ক্লাস শেষে ফিরে যায়।
ভেঙ্গালামপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, এত ভদ্র লেঙ্গুর সচরাচর দেখা যায় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আদর করে তার নাম দিয়েছে ‘লক্ষ্মী’।
তিনি জানান, সে স্কুলে আসতে কখনোই দেরি করে না, ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাসে হাজির। আর সেখানেও সে কোনো দুষ্টামি নয়, মন দিয়ে শিক্ষকের কথা শোনে, স্কুলের নিয়ম-কানুন মেনে চলে। এমনকি সকালের অ্যাসেম্বলিতেও যোগ দেয় লক্ষ্মী।
তবে, পড়াশোনার (!) পথে তার সামনে যে কোনো বাধা আসেনি, তা কিন্তু নয়। ছেলে—মেয়েদের মনযোগ সারাক্ষণ তার দিকে থাকছে দেখে লক্ষ্মীর ক্লাসে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতেও দমে যায়নি সে। দরজা বন্ধ করে রাখলেও ক্লাস চলাকালে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনতো এ ভদ্র লেঙ্গুর।
এভাবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে লক্ষ্মী। পশু চিকিৎসক ডাকা হলে তিনি জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া জাঙ্কফুড খেয়ে খেয়ে পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার। এরপর থেকেই লক্ষ্মীর জন্য কড়া ‘ডায়েট কন্ট্রোলের’ ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তেল জাতীয় সব খাবার বাদ, এখন টিফিন পিরিয়ডে তাকে শুধু ফলমূলই খেতে দেওয়া হয়। সবার সেবাযত্নে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পর ফের তাকে ক্লাসে বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদের মতো পড়তে না পারলেও, বাধ্য ছাত্রীর মতো ঠিকই শিক্ষকের কথা শোনে লক্ষ্মী।
উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবসাদ ঘোঁচাতে পশুপাখি পোষার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভেঙ্গালামপল্লি স্কুলে লক্ষ্মী এ কাজটিই করছে।
প্রধান শিক্ষক জানান, সে আসার পর থেকেই স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাজিরা প্রতিদিনই প্রায় শতভাগ পূরণ হচ্ছে।
অন্ধ্র প্রদেশের ভেঙ্গালামপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেঙ্গুর প্রজাতির বানরটি গত ১২ দিন ধরে নিয়মিত ক্লাস করছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরাও তাকে সানন্দে সহপাঠী বলে মেনে নিয়েছে। তারা একসঙ্গে বসে শিক্ষকের লেকচার শোনে, খাবার খায়, টিফিন পিরিয়ডে খেলাধুলা করে, আবার ক্লাস শেষে ফিরে যায়।
ভেঙ্গালামপল্লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, এত ভদ্র লেঙ্গুর সচরাচর দেখা যায় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আদর করে তার নাম দিয়েছে ‘লক্ষ্মী’।
তিনি জানান, সে স্কুলে আসতে কখনোই দেরি করে না, ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাসে হাজির। আর সেখানেও সে কোনো দুষ্টামি নয়, মন দিয়ে শিক্ষকের কথা শোনে, স্কুলের নিয়ম-কানুন মেনে চলে। এমনকি সকালের অ্যাসেম্বলিতেও যোগ দেয় লক্ষ্মী।
তবে, পড়াশোনার (!) পথে তার সামনে যে কোনো বাধা আসেনি, তা কিন্তু নয়। ছেলে—মেয়েদের মনযোগ সারাক্ষণ তার দিকে থাকছে দেখে লক্ষ্মীর ক্লাসে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতেও দমে যায়নি সে। দরজা বন্ধ করে রাখলেও ক্লাস চলাকালে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনতো এ ভদ্র লেঙ্গুর।
এভাবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে লক্ষ্মী। পশু চিকিৎসক ডাকা হলে তিনি জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া জাঙ্কফুড খেয়ে খেয়ে পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার। এরপর থেকেই লক্ষ্মীর জন্য কড়া ‘ডায়েট কন্ট্রোলের’ ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তেল জাতীয় সব খাবার বাদ, এখন টিফিন পিরিয়ডে তাকে শুধু ফলমূলই খেতে দেওয়া হয়। সবার সেবাযত্নে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পর ফের তাকে ক্লাসে বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদের মতো পড়তে না পারলেও, বাধ্য ছাত্রীর মতো ঠিকই শিক্ষকের কথা শোনে লক্ষ্মী।
উন্নত বিশ্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবসাদ ঘোঁচাতে পশুপাখি পোষার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভেঙ্গালামপল্লি স্কুলে লক্ষ্মী এ কাজটিই করছে।
প্রধান শিক্ষক জানান, সে আসার পর থেকেই স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাজিরা প্রতিদিনই প্রায় শতভাগ পূরণ হচ্ছে।
No comments