যৌন দাসত্বে বাধ্য করতেন রনিয়্যার, বাদ যাননি হলিউডের নায়িকারাও
নারীদের
যৌন দাসত্বে বাধ্য করা যৌন গোষ্ঠীর গুরু কেইথ রনিয়্যারকে দোষী সাব্যস্ত
করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে বিচার কার্যক্রমের পর
৫৮ বছর বয়সী রনিয়্যারকে দোষী বলে রায় দেন নিউইয়র্কের আদালতের জুরিরা।
তিনি তার ‘নেক্সিয়াম’ গোষ্ঠীর মধ্যে পিরামিডের আদলে যৌনতার জন্য ‘দাসী এবং প্রভু’ জাতীয় একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে দলবাজি করে অপরাধ করা, যৌনতার জন্য মানব পাচার আর শিশু পর্নোগ্রাফি।
যদিও এসব অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন রনিয়্যার। তবে এসব অপরাধের কারণে তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
আইনজীবীরা বলছেন, রনিয়্যার নিজেকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে চালাক’ ব্যক্তি হিসাবে দাবি করতেন। তিনি নিজেকে আইনস্টাইন এবং গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করতেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, তিনি নারীদের ব্রেইনওয়াশ করে দাস হিসাবে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করতেন এবং তার সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করতেন। এদের মধ্যে হলিউডের নায়িকা এবং মেক্সিকোর সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের কন্যাও রয়েছে। তারা রনিয়্যারের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এই গোষ্ঠীর অন্য সদস্যরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে রনিয়্যারের সাজা ঘোষণা করা হবে। নেক্সিয়ামের ট্যাগ লাইনে বলা হয়েছে, রনিয়্যার এবং তার অনুসারীরা ‘একটি উন্নত পৃথিবী’ গড়ার জন্য কাজ করতেন। তবে মামলার সাক্ষীরা আদালতে এই ব্যক্তির আলাদা এক চেহারা তুলে ধরেছেন।
নেক্সিয়ামের ভেতর ‘ডস’ নামের আলাদা ও গোপন একটি সমাজ তৈরি করেছিলেন রনিয়্যার। কৌসুলিদের অভিযোগ, ডসের ‘গ্র্যান্ডমাস্টার’ হিসাবে তিনি নারীদের শোষণ ও ব্লাকমেইল করতেন। এদের মধ্যে ১৫ বছরের এক কিশোরীও ছিল।
এফবিআই বলছে, নিয়োগের সময় এই নারীদের বলা হতো, এটি পুরোপুরি মেয়েদের একটি সংগঠন। এভাবে তাদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হতো।
তবে রনিয়্যারের আইনজীবীরা বলছেন, সব যৌনতার ঘটনাই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। আলবেনি ভিত্তিক এই গ্রুপটি নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে লিখেছে, ‘মানবিক নীতিমালায় পরিচালিত একটি কমিউনিটি যারা মানুষকে ক্ষমতাবান করতে চায়।’
১৬ হাজারের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে তারা কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় তাদের কর্মকাণ্ড রয়েছে। ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের আলবেনিতে প্রথম গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত উন্নয়ন কোম্পানি হিসাবে এর যাত্রা শুরু।
এই গ্রুপের সদস্য হিসেবে রয়েছেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত অনেক নারী ও হলিউডের অভিনেত্রীরাও। তবে তদন্তকারীরা বলছে, আসলে মেনটরিং গ্রুপের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি যৌন পাচারকারীদের একটি সংগঠন, যেখানে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি আর সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটানো হতো।
এই গোষ্ঠীর সাবেক একজন সদস্য ড্যানিয়েলা আইনজীবীদের জানিয়েছেন যে, তার ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে, রনিয়্যারি তার কুমারিত্ব নিতে পারে।
১৮ বছর হওয়ার পরে রনিয়্যার তাকে বলেন, ‘এখন সময় হয়েছে।’ যৌন মিলনের জন্য রনিয়্যার তাকে অফিসের একটি গুদাম ঘরে নিয়ে যান। ড্যানিয়েলার আরেকজন বোনও এই গোষ্ঠীর নেতার যৌন পর্নোগ্রাফি শিকার হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদের দুই বোনকেই কাল্ট নেতা রনিয়্যারি গ্রুপ সেক্সে বাধ্য করতেন।
আদালতে ড্যানিয়েলা বলেন, আমরা পুরো সময়টা ধরে কাঁদতাম। এক পর্যায়ে তারা দুই বোনই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তবে রনিয়্যার তাদের গর্ভপাতে বাধ্য করেন। লরা সলজম্যান নামের ৪২ বয়সী একজন নারী সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, আরেকজন পুরুষের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় ড্যানিয়েলাকে একটি বেডরুমে দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল।
ড্যানিয়েলাকে বলা হয়েছিল, তাকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে, যদি সে রনিয়্যার আর সলজম্যানকে সন্তুষ্ট করতে না পারে। তখন একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও পুরো সময়টা জুড়ে পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে ড্যানিয়েলাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এই বন্দীদশা থেকে বাঁচতে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও একপর্যায়ে মেক্সিকোতে ফেরত যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ড্যানিয়েলা।
আদালতে উপস্থাপিত তথ্যে জানা গেছে, নেক্সিয়ামের ভেতর ‘ডস’ বা ‘ভোউ’ নামের আরেকটি গোপন চক্র ছিল। এই চক্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিলেন রনিয়্যার। তিনি ছিলেন পুরো গ্রুপের একমাত্র পুরুষ সদস্য।
দাসীদের দায়িত্ব ছিল তাদের নিজেদের জন্য আরো দাসী নিয়োগ করা, যারা সবাই আসলে রনিয়্যার সেবায় কাজ করতো। এখানে যোগ দিতে হলে নারীদের এমন সব স্পর্শকাতর তথ্য দিতে হতো, যা তারা প্রকাশ করতে চান না। যার মধ্যে রয়েছে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের গোপন ছবি বা ভিডিও।
এই নারীদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে হতো, যাতে তারা বেশি মোটা না হন। তাদের বাড়ির কাজ থেকে শুরু করে রনিয়্যার যৌন চাহিদা মেটাতে নারীদের প্রস্তুত করার মতো কাজও করতে হতো।
অনেক সময় গ্রুপের নারীদের তলপেটের একটি অংশ পুড়িয়ে রনিয়্যার নামাঙ্কিত চিহ্ন বসিয়ে দেয়া হতো এবং সেগুলোর ভিডিও করা হতো। আদালতে উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, নেক্সিয়ামের সদস্যদের বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগ্ন করে এভাবে প্রচার করা হতো।
আদালতে কয়েকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে চারটি অনুষঙ্গ থাকতো। বাতাস, মাটি আর পানি, পোড়ানোর কলমটি আগুন হিসাবে বিবেচনা করা হতো। তবে রনিয়্যার আইনজীবী দাবি করেছেন, নারীরা স্বেচ্ছায় ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।
তিনি তার ‘নেক্সিয়াম’ গোষ্ঠীর মধ্যে পিরামিডের আদলে যৌনতার জন্য ‘দাসী এবং প্রভু’ জাতীয় একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে দলবাজি করে অপরাধ করা, যৌনতার জন্য মানব পাচার আর শিশু পর্নোগ্রাফি।
যদিও এসব অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন রনিয়্যার। তবে এসব অপরাধের কারণে তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
আইনজীবীরা বলছেন, রনিয়্যার নিজেকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে চালাক’ ব্যক্তি হিসাবে দাবি করতেন। তিনি নিজেকে আইনস্টাইন এবং গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করতেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, তিনি নারীদের ব্রেইনওয়াশ করে দাস হিসাবে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করতেন এবং তার সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করতেন। এদের মধ্যে হলিউডের নায়িকা এবং মেক্সিকোর সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের কন্যাও রয়েছে। তারা রনিয়্যারের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এই গোষ্ঠীর অন্য সদস্যরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসে রনিয়্যারের সাজা ঘোষণা করা হবে। নেক্সিয়ামের ট্যাগ লাইনে বলা হয়েছে, রনিয়্যার এবং তার অনুসারীরা ‘একটি উন্নত পৃথিবী’ গড়ার জন্য কাজ করতেন। তবে মামলার সাক্ষীরা আদালতে এই ব্যক্তির আলাদা এক চেহারা তুলে ধরেছেন।
নেক্সিয়ামের ভেতর ‘ডস’ নামের আলাদা ও গোপন একটি সমাজ তৈরি করেছিলেন রনিয়্যার। কৌসুলিদের অভিযোগ, ডসের ‘গ্র্যান্ডমাস্টার’ হিসাবে তিনি নারীদের শোষণ ও ব্লাকমেইল করতেন। এদের মধ্যে ১৫ বছরের এক কিশোরীও ছিল।
এফবিআই বলছে, নিয়োগের সময় এই নারীদের বলা হতো, এটি পুরোপুরি মেয়েদের একটি সংগঠন। এভাবে তাদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হতো।
তবে রনিয়্যারের আইনজীবীরা বলছেন, সব যৌনতার ঘটনাই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে। আলবেনি ভিত্তিক এই গ্রুপটি নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে লিখেছে, ‘মানবিক নীতিমালায় পরিচালিত একটি কমিউনিটি যারা মানুষকে ক্ষমতাবান করতে চায়।’
১৬ হাজারের বেশি ব্যক্তির সঙ্গে তারা কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় তাদের কর্মকাণ্ড রয়েছে। ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের আলবেনিতে প্রথম গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত উন্নয়ন কোম্পানি হিসাবে এর যাত্রা শুরু।
এই গ্রুপের সদস্য হিসেবে রয়েছেন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত অনেক নারী ও হলিউডের অভিনেত্রীরাও। তবে তদন্তকারীরা বলছে, আসলে মেনটরিং গ্রুপের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি যৌন পাচারকারীদের একটি সংগঠন, যেখানে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি আর সংঘবদ্ধ অপরাধ ঘটানো হতো।
এই গোষ্ঠীর সাবেক একজন সদস্য ড্যানিয়েলা আইনজীবীদের জানিয়েছেন যে, তার ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে, রনিয়্যারি তার কুমারিত্ব নিতে পারে।
১৮ বছর হওয়ার পরে রনিয়্যার তাকে বলেন, ‘এখন সময় হয়েছে।’ যৌন মিলনের জন্য রনিয়্যার তাকে অফিসের একটি গুদাম ঘরে নিয়ে যান। ড্যানিয়েলার আরেকজন বোনও এই গোষ্ঠীর নেতার যৌন পর্নোগ্রাফি শিকার হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদের দুই বোনকেই কাল্ট নেতা রনিয়্যারি গ্রুপ সেক্সে বাধ্য করতেন।
আদালতে ড্যানিয়েলা বলেন, আমরা পুরো সময়টা ধরে কাঁদতাম। এক পর্যায়ে তারা দুই বোনই গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তবে রনিয়্যার তাদের গর্ভপাতে বাধ্য করেন। লরা সলজম্যান নামের ৪২ বয়সী একজন নারী সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, আরেকজন পুরুষের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায় ড্যানিয়েলাকে একটি বেডরুমে দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল।
ড্যানিয়েলাকে বলা হয়েছিল, তাকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে, যদি সে রনিয়্যার আর সলজম্যানকে সন্তুষ্ট করতে না পারে। তখন একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও পুরো সময়টা জুড়ে পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে ড্যানিয়েলাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এই বন্দীদশা থেকে বাঁচতে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও একপর্যায়ে মেক্সিকোতে ফেরত যেতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ড্যানিয়েলা।
আদালতে উপস্থাপিত তথ্যে জানা গেছে, নেক্সিয়ামের ভেতর ‘ডস’ বা ‘ভোউ’ নামের আরেকটি গোপন চক্র ছিল। এই চক্রের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিলেন রনিয়্যার। তিনি ছিলেন পুরো গ্রুপের একমাত্র পুরুষ সদস্য।
দাসীদের দায়িত্ব ছিল তাদের নিজেদের জন্য আরো দাসী নিয়োগ করা, যারা সবাই আসলে রনিয়্যার সেবায় কাজ করতো। এখানে যোগ দিতে হলে নারীদের এমন সব স্পর্শকাতর তথ্য দিতে হতো, যা তারা প্রকাশ করতে চান না। যার মধ্যে রয়েছে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের গোপন ছবি বা ভিডিও।
এই নারীদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে হতো, যাতে তারা বেশি মোটা না হন। তাদের বাড়ির কাজ থেকে শুরু করে রনিয়্যার যৌন চাহিদা মেটাতে নারীদের প্রস্তুত করার মতো কাজও করতে হতো।
অনেক সময় গ্রুপের নারীদের তলপেটের একটি অংশ পুড়িয়ে রনিয়্যার নামাঙ্কিত চিহ্ন বসিয়ে দেয়া হতো এবং সেগুলোর ভিডিও করা হতো। আদালতে উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, নেক্সিয়ামের সদস্যদের বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগ্ন করে এভাবে প্রচার করা হতো।
আদালতে কয়েকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে চারটি অনুষঙ্গ থাকতো। বাতাস, মাটি আর পানি, পোড়ানোর কলমটি আগুন হিসাবে বিবেচনা করা হতো। তবে রনিয়্যার আইনজীবী দাবি করেছেন, নারীরা স্বেচ্ছায় ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন।
No comments