চীনের প্রভাব রুখতে ভুটান যাচ্ছেন মোদি by নয়ানিমা বসু
সম্পর্ক
চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৭ আগস্ট
দুই দিনের সফরে ভুটান যাচ্ছেন। চীনের সঙ্গে দোকলাল অচলাবস্থার আগে ভুটানের
প্রতি এতটা মনযোগী ছিলো না ভারত।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মোদির সফরের তারিখ ঘোষণা করেনি।
২০১৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মোদি প্রথম বিদেশ সফরে ভুটান গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে ভুটান ছিলো মোদির নুতন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের প্রথম বৈদেশিক গন্তব্য। গত জুনে হিমালয়ান দেশটি সফর করেন তিনি।
দুর্বল হয়ে পড়া সম্পর্ক
গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন করে ভারত ও ভুটান। কিন্তু এর পরও ভুটানে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটি তেমন কিছু করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এই পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছে।
দোকলাম উপত্যকায় চীন ও ভারতের মধ্যে বড় ধরনের সামরিক অচলাবস্থা দেখা দেয়ার পর ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিম্নমুখি হতে শুরু করে। ভারত-ভুটান-চীন ত্রিসংযোগস্থলের কাছে ২০১৭ সালে এই ঘটনা ঘটে। চীন একটি সড়ক নির্মাণ শুরু করলে সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনারা সেখানে গিয়ে বাধা দেয়। ভারত দাবি করে যে ভুটানের অনুরোধে সেনারা সেখানে গিয়েছিলো। তবে ভুটান এমন অনুরোধ করেছিলো বলে স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
দোকলাম অচলাবস্থা ৭২ দিন বিরাজ করে। ভুটান এসময় চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। ভুটান যেন চীনের সঙ্গে সংলাপে না বসতে না পারে সে জন্য ভারতের ‘আগ্রাসী আচরণে’ থিম্ফু ক্ষুব্ধ বলে বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে।
রাজনীতিতে পরিবর্তন
গত বছর অক্টোবরে ভুটানের নির্বাচনে ড. লোটে শেরিংয়ের নেতৃত্বাধিন দল দ্রুক নিয়েমরুপ শোগপা (ডিএনটি) ক্ষমতায় আসে। এই দলটি ভারতের কাছে তেমন পরিচিত ছিলো না। ফলে তারা বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে বলে মোদি সরকারে উদ্বেগ দেখা দেয়।
তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে প্রথম সফরে ভুটান যান জয়শঙ্কর। আরো বড় কারণ হলো ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি সফল করতে হলে এই দেশটি গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী তার সফরে রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক ও প্রধানমন্ত্রী শেরিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মোদির সফরের তারিখ ঘোষণা করেনি।
২০১৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মোদি প্রথম বিদেশ সফরে ভুটান গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে ভুটান ছিলো মোদির নুতন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের প্রথম বৈদেশিক গন্তব্য। গত জুনে হিমালয়ান দেশটি সফর করেন তিনি।
দুর্বল হয়ে পড়া সম্পর্ক
গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন করে ভারত ও ভুটান। কিন্তু এর পরও ভুটানে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটি তেমন কিছু করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এই পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছে।
দোকলাম উপত্যকায় চীন ও ভারতের মধ্যে বড় ধরনের সামরিক অচলাবস্থা দেখা দেয়ার পর ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিম্নমুখি হতে শুরু করে। ভারত-ভুটান-চীন ত্রিসংযোগস্থলের কাছে ২০১৭ সালে এই ঘটনা ঘটে। চীন একটি সড়ক নির্মাণ শুরু করলে সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনারা সেখানে গিয়ে বাধা দেয়। ভারত দাবি করে যে ভুটানের অনুরোধে সেনারা সেখানে গিয়েছিলো। তবে ভুটান এমন অনুরোধ করেছিলো বলে স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
দোকলাম অচলাবস্থা ৭২ দিন বিরাজ করে। ভুটান এসময় চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। ভুটান যেন চীনের সঙ্গে সংলাপে না বসতে না পারে সে জন্য ভারতের ‘আগ্রাসী আচরণে’ থিম্ফু ক্ষুব্ধ বলে বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে।
রাজনীতিতে পরিবর্তন
গত বছর অক্টোবরে ভুটানের নির্বাচনে ড. লোটে শেরিংয়ের নেতৃত্বাধিন দল দ্রুক নিয়েমরুপ শোগপা (ডিএনটি) ক্ষমতায় আসে। এই দলটি ভারতের কাছে তেমন পরিচিত ছিলো না। ফলে তারা বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে বলে মোদি সরকারে উদ্বেগ দেখা দেয়।
তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে প্রথম সফরে ভুটান যান জয়শঙ্কর। আরো বড় কারণ হলো ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি সফল করতে হলে এই দেশটি গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী তার সফরে রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক ও প্রধানমন্ত্রী শেরিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন।
No comments