২০২০ নির্বাচনের আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কমানোর নির্দেশ ট্রাম্পের by জন হাডসন
মার্কিন
পররাষ্টমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত সোমবার বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে
নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ২০২০ সালের নির্বাচনের আগেই আফগানিস্তানে মার্কিন
সেনার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এ যাবতকালের মধ্যে এটা ছিল সবচেয়ে স্পষ্ট ভাষ্য
যেখানে ১৮ বছরের সঙ্ঘাত নিরসনের জন্য ট্রাম্পের ইচ্ছার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
ওয়াশিংটনের ইকোনমিক ক্লাবে পম্পেও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এটা আমার প্রতি নির্দেশনা। তিনি কোন অস্পষ্টতা রাখেননি: অন্তহীন যুদ্ধের ইতি টানুন। রাশ টানুন। সেনা কমিয়ে আনুন। শুধু আমরাই এটা করবো না”।
আফগানিস্তানে প্রতি বছর শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যায় করা নিয়ে এবং অব্যাহত সহিসংতা নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে ও নিজস্ব বলয়ে সবসময় খেদ প্রকাশ করে আসছেন। আমেরিকান কূটনীতিকদের সাথে শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টায় অংশ নেয়ার পরও প্রায় প্রতিদিনই আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবানরা।
সবশেষ রোববার আফগান প্রেসিডেন্টের রানিং মেট এবং সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের অফিসে হামলা চালানো হয়। হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। এখন পর্যন্ত হামলার জন্য কেউ দায় স্বীকার করেনি।
সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন যে, পেন্টাগন তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহারের বিপদ সম্পর্কে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছে, কিন্তু ট্রাম্প তার বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদকে ক্ষমতা দিয়েছেন যাতে তিনি সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে একটা চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করেন এবং একই সাথে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সক্ষমতাও বজায় থাকে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রথম বছরে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা আফগানিস্তানে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জোর দাবি করেছিল এবং বলেছিল যে তালেবানদের কর্তৃত্ব ঠেকানোর জন্য এটা জরুরি, যারা এ মুহূর্তে দেশের প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা এ উদ্বেগও জানান যে, দেশটিতে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উপদেষ্টাতের সতর্কবার্তা অনুসারে সেনা বাড়িয়েছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু ফলাফল তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।
২০১৭ সালের আগস্টে আফগানিস্তান বিষয়ে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “আমার ইচ্ছা ছিল মূলত সেখান থেকে সরে আসা, আর ঐতিহাসিকভাবেই আমি আমার মনোভাবকে অনুসরণ করতে পছন্দ করি। কিন্তু আমার পুরো জীবন ধরে আমি শুনে এসেছি যে, ওভাল অফিসে ডেস্কের পেছনে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা”।
দুই বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় উপদেষ্টাদের প্রতি হতাশা ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। সোমবার পম্পেও জানালেন যে যুদ্ধের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট কি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ওয়াশিংটনের ইকোনমিক ক্লাবে পম্পেও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এটা আমার প্রতি নির্দেশনা। তিনি কোন অস্পষ্টতা রাখেননি: অন্তহীন যুদ্ধের ইতি টানুন। রাশ টানুন। সেনা কমিয়ে আনুন। শুধু আমরাই এটা করবো না”।
আফগানিস্তানে প্রতি বছর শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যায় করা নিয়ে এবং অব্যাহত সহিসংতা নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে ও নিজস্ব বলয়ে সবসময় খেদ প্রকাশ করে আসছেন। আমেরিকান কূটনীতিকদের সাথে শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টায় অংশ নেয়ার পরও প্রায় প্রতিদিনই আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবানরা।
সবশেষ রোববার আফগান প্রেসিডেন্টের রানিং মেট এবং সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের অফিসে হামলা চালানো হয়। হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। এখন পর্যন্ত হামলার জন্য কেউ দায় স্বীকার করেনি।
সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন যে, পেন্টাগন তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহারের বিপদ সম্পর্কে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছে, কিন্তু ট্রাম্প তার বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদকে ক্ষমতা দিয়েছেন যাতে তিনি সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে একটা চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করেন এবং একই সাথে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সক্ষমতাও বজায় থাকে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রথম বছরে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা আফগানিস্তানে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জোর দাবি করেছিল এবং বলেছিল যে তালেবানদের কর্তৃত্ব ঠেকানোর জন্য এটা জরুরি, যারা এ মুহূর্তে দেশের প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা এ উদ্বেগও জানান যে, দেশটিতে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের উপর হামলা চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উপদেষ্টাতের সতর্কবার্তা অনুসারে সেনা বাড়িয়েছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু ফলাফল তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।
২০১৭ সালের আগস্টে আফগানিস্তান বিষয়ে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “আমার ইচ্ছা ছিল মূলত সেখান থেকে সরে আসা, আর ঐতিহাসিকভাবেই আমি আমার মনোভাবকে অনুসরণ করতে পছন্দ করি। কিন্তু আমার পুরো জীবন ধরে আমি শুনে এসেছি যে, ওভাল অফিসে ডেস্কের পেছনে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা”।
দুই বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় উপদেষ্টাদের প্রতি হতাশা ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। সোমবার পম্পেও জানালেন যে যুদ্ধের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট কি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
No comments