ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ : সঙ্কটে ইরাক by মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ
সাম্প্রতিক
প্রেক্ষাপটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে,
তাতে বড় ধরনের সঙ্কট বা ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে ইরাক। রাজনীতি, কূটনীতি,
অর্থনীতি, সামরিকসহ প্রায় সব দিক দিয়েই এ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে ইরানের
প্রতিবেশী এ দেশটি।
গত মে মাসের প্রথম দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বাগদাদ সফরে গিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ইরাকে মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ইরানি মিলিশিয়াদের হামলার মুখে পড়তে পারে। তার এ আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। কারণ দেশটিতে কর্মরত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যেই রকেট হামলাসহ ছোট-বড় হামলার শিকার হয়, যেগুলোর পেছনে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এ দিকে ইরাকের ঝুঁকির বিষয়টি অবশ্য নির্ভর করছে সম্ভাব্য যুদ্ধ-কৌশল কেমন হবে তার ওপর। কারণ বিগত দুই-তিন দশকের অভিজ্ঞতা থেকে মনে করা হচ্ছে, পুরোপুরি সেনা নামিয়ে যুদ্ধ করার দিকে এগোবে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং এর বিকল্প হিসেবে নৌ ও বিমানবাহিনীর সাহায্যে ইরানের ওপর সীমিত আকারে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দিকে এ অঞ্চলে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে ইরান। মোটামুটি এগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে সম্ভাব্য এ সঙ্ঘাত।
তবে যুদ্ধ যেমন আর যতটুকু পরিসরেই হোক না কেন, তাতে যে ইরাক প্রভাবমুক্ত থাকবে না, তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। কারণ একে তো ইরাক ইরানের প্রতিবেশী দেশ, দ্বিতীয়ত দেশটিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের যেমন সমপর্যায়ের প্রভাব রয়েছে, তেমনি রয়েছে উভয় দেশের স্বার্থের বিষয়টিও।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের যুদ্ধ ইরাককে সরাসরি যুক্ত করতে পারে- এমন সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ইরাকে বর্তমানে পাঁচ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এ সেনারা যদি ইরাকে থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয় তাহলে ইরাকের মাটিতেই যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ইরাকে উপস্থিত মার্কিন সেনার সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সেখানে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কত তা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউই। তবে তাদের শক্ত উপস্থিতি যে ইরাকের মাটিতে রয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত সবাই। ফলে সরাসরি-সামনাসামনি যুদ্ধ হোক বা রকেট হামলা, তা ইরাকের মাটি স্পর্শ করার সম্ভাবনা থাকছেই।
এ অবস্থায় ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনীর ভূমিকা কেমন হবে সেটি ইরাক কর্তৃপক্ষ বা মার্কিনিদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। কারণ এদের অনেকেরই ইরানের সাথে অন্য পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে এবং বিভিন্ন সময় এরা তেহরান থেকে সরাসরি সমর্থন পেয়ে আসছে। অবশ্য এই মিলিশিয়াদের মধ্যেও রকমফের আছে। কারণ তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের ব্যাপার আছে। আছে ইরানের প্রতি তাদের আনুগত্যের মাত্রার ভিন্নতাও। যেমন- কোনো পক্ষ নিজেদের পুরোপুরি ইরানের অনুগতভাবে। আবার কেউ কেউ ইরানকে ভাবে তাদের স্বার্থের অংশীদার, তবে আনুগত্য ইরাকের প্রতিই। নেতৃবৃন্দের এ ধরনের ভিন্ন দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এসব মিলিশিয়া কাজ করে যাচ্ছে ইরাকে। তবে হিজবুল্লাহ, হরকত আল নুজাবা, আসাইবে আহলে হকের মতো কিছু দলের ওপর ইরানের প্রভাব প্রশ্নাতীত। এরা যেকোনো ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইরানের প্রতি অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ।
ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর দেশটির সরকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইলেও সব সময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এতে যেমন তাদর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, তেমনি কাজ করে তেহরানের সহায়তায় ব্যাপারটিও। মিলিশিয়া বাহিনীতে কাজ করা এসব দলের অর্থ ও অস্ত্রের নিজস্ব উৎস রয়েছে। এ অবস্থায় যদি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ লেগেই যায়, তবে এসব বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকি স্বার্থের প্রতি চরম হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
অন্য দিকে রাজনীতির দিক দিয়ে ইরাকের অবস্থা দেড় দশক ধরেই সুবিধাজনক স্থানে নেই। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি বর্তমানে একটি দুর্বল ও ভঙ্গুর জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের পর তিনি বর্তমানে দেশটিকে স্থিতিশীল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সম্ভাব্য ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যে ধাক্কা লাগবে, তা সামলানোর মতো ক্ষমতা দেশটির একেবারেই নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বীরাও সে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।
দীর্ঘ দিনের যুদ্ধ-গৃহযুদ্ধের পর ইরাক বর্তমানে এমন অবস্থানে রয়েছে যে, দেশ গঠনে তাদের মার্কিন সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। আবার বাস্তবতার নিরিখে ইরানের উপস্থিতিকেও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। আর এ অনিবার্য দু’টি বিষয়ই যেন অন্য দু’পক্ষের যুদ্ধে বাগদাদকে টেনে আনছে।
এ যুদ্ধ ইরাকের অর্থনৈতিক সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। আরব উপসাগরে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ ইরাকের তেল ব্যবসায় বাধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ইরাকের সাথে ইরানের যেসব অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোর কারণে বাগদাদকে নিজের পক্ষ নিতে চাপ দিতেই পারে তেহরান।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে ইরাকের আরেকটি বড় ভয় হচ্ছে, এ যুদ্ধে ইরাক আবারো অস্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। শুরু হয়ে যেতে পারে সহিংসতা। ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তু বা সেনাদের ওপর হামলার শুরুর সাথে সাথে পাল্টা হামলা শুরু করবে মার্কিন বাহিনীও। আর এর সাথে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতায় শুরু হয়ে যেতে পারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। যুদ্ধ থেকে সদ্য মুক্ত হওয়া একটি দেশের জন্য এটি হবে অপূরণীয় ক্ষতি।
ইরাকের অস্থিতিশীলতার সুযোগে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে সশস্ত্র গোষ্ঠী দায়েশ, শিয়া-সুন্নি হামলা-পাল্টা হামলা, কুর্দিদের আন্তঃকলহ ইত্যাদি, যা দেশটির জন্য মোটেও ভালো কোনো সংবাদ নয়।
এ দিকে ইরান-মার্কিন এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের কোনো দেশই ইরাকের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না। উভয় দেশই ইরাকের মিত্র, বন্ধু, সহায়তাকারী। কিন্তু তারা একই দৃষ্টিভঙ্গির না হওয়াতে বরং পুরোপুরি বিপরীতমুখী হওয়ায় এ দুই মিত্রকে নিয়ে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়বে বাগদাদ। ফলে সম্ভাব্য এ যুদ্ধে বড় ধরনের সঙ্কটেই পড়তে যাচ্ছে ইরাক।
গত মে মাসের প্রথম দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বাগদাদ সফরে গিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ইরাকে মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ইরানি মিলিশিয়াদের হামলার মুখে পড়তে পারে। তার এ আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। কারণ দেশটিতে কর্মরত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মধ্যেই রকেট হামলাসহ ছোট-বড় হামলার শিকার হয়, যেগুলোর পেছনে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এ দিকে ইরাকের ঝুঁকির বিষয়টি অবশ্য নির্ভর করছে সম্ভাব্য যুদ্ধ-কৌশল কেমন হবে তার ওপর। কারণ বিগত দুই-তিন দশকের অভিজ্ঞতা থেকে মনে করা হচ্ছে, পুরোপুরি সেনা নামিয়ে যুদ্ধ করার দিকে এগোবে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং এর বিকল্প হিসেবে নৌ ও বিমানবাহিনীর সাহায্যে ইরানের ওপর সীমিত আকারে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দিকে এ অঞ্চলে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে ইরান। মোটামুটি এগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে সম্ভাব্য এ সঙ্ঘাত।
তবে যুদ্ধ যেমন আর যতটুকু পরিসরেই হোক না কেন, তাতে যে ইরাক প্রভাবমুক্ত থাকবে না, তা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। কারণ একে তো ইরাক ইরানের প্রতিবেশী দেশ, দ্বিতীয়ত দেশটিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের যেমন সমপর্যায়ের প্রভাব রয়েছে, তেমনি রয়েছে উভয় দেশের স্বার্থের বিষয়টিও।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের যুদ্ধ ইরাককে সরাসরি যুক্ত করতে পারে- এমন সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ইরাকে বর্তমানে পাঁচ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এ সেনারা যদি ইরাকে থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয় তাহলে ইরাকের মাটিতেই যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ইরাকে উপস্থিত মার্কিন সেনার সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সেখানে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কত তা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউই। তবে তাদের শক্ত উপস্থিতি যে ইরাকের মাটিতে রয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত সবাই। ফলে সরাসরি-সামনাসামনি যুদ্ধ হোক বা রকেট হামলা, তা ইরাকের মাটি স্পর্শ করার সম্ভাবনা থাকছেই।
এ অবস্থায় ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনীর ভূমিকা কেমন হবে সেটি ইরাক কর্তৃপক্ষ বা মার্কিনিদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। কারণ এদের অনেকেরই ইরানের সাথে অন্য পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে এবং বিভিন্ন সময় এরা তেহরান থেকে সরাসরি সমর্থন পেয়ে আসছে। অবশ্য এই মিলিশিয়াদের মধ্যেও রকমফের আছে। কারণ তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের ব্যাপার আছে। আছে ইরানের প্রতি তাদের আনুগত্যের মাত্রার ভিন্নতাও। যেমন- কোনো পক্ষ নিজেদের পুরোপুরি ইরানের অনুগতভাবে। আবার কেউ কেউ ইরানকে ভাবে তাদের স্বার্থের অংশীদার, তবে আনুগত্য ইরাকের প্রতিই। নেতৃবৃন্দের এ ধরনের ভিন্ন দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এসব মিলিশিয়া কাজ করে যাচ্ছে ইরাকে। তবে হিজবুল্লাহ, হরকত আল নুজাবা, আসাইবে আহলে হকের মতো কিছু দলের ওপর ইরানের প্রভাব প্রশ্নাতীত। এরা যেকোনো ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইরানের প্রতি অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ।
ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর দেশটির সরকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইলেও সব সময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এতে যেমন তাদর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, তেমনি কাজ করে তেহরানের সহায়তায় ব্যাপারটিও। মিলিশিয়া বাহিনীতে কাজ করা এসব দলের অর্থ ও অস্ত্রের নিজস্ব উৎস রয়েছে। এ অবস্থায় যদি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ লেগেই যায়, তবে এসব বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকি স্বার্থের প্রতি চরম হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
অন্য দিকে রাজনীতির দিক দিয়ে ইরাকের অবস্থা দেড় দশক ধরেই সুবিধাজনক স্থানে নেই। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি বর্তমানে একটি দুর্বল ও ভঙ্গুর জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের পর তিনি বর্তমানে দেশটিকে স্থিতিশীল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সম্ভাব্য ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যে ধাক্কা লাগবে, তা সামলানোর মতো ক্ষমতা দেশটির একেবারেই নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বীরাও সে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।
দীর্ঘ দিনের যুদ্ধ-গৃহযুদ্ধের পর ইরাক বর্তমানে এমন অবস্থানে রয়েছে যে, দেশ গঠনে তাদের মার্কিন সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। আবার বাস্তবতার নিরিখে ইরানের উপস্থিতিকেও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। আর এ অনিবার্য দু’টি বিষয়ই যেন অন্য দু’পক্ষের যুদ্ধে বাগদাদকে টেনে আনছে।
এ যুদ্ধ ইরাকের অর্থনৈতিক সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। আরব উপসাগরে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ ইরাকের তেল ব্যবসায় বাধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ইরাকের সাথে ইরানের যেসব অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোর কারণে বাগদাদকে নিজের পক্ষ নিতে চাপ দিতেই পারে তেহরান।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে ইরাকের আরেকটি বড় ভয় হচ্ছে, এ যুদ্ধে ইরাক আবারো অস্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। শুরু হয়ে যেতে পারে সহিংসতা। ইরাকে মার্কিন লক্ষ্যবস্তু বা সেনাদের ওপর হামলার শুরুর সাথে সাথে পাল্টা হামলা শুরু করবে মার্কিন বাহিনীও। আর এর সাথে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতায় শুরু হয়ে যেতে পারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। যুদ্ধ থেকে সদ্য মুক্ত হওয়া একটি দেশের জন্য এটি হবে অপূরণীয় ক্ষতি।
ইরাকের অস্থিতিশীলতার সুযোগে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে সশস্ত্র গোষ্ঠী দায়েশ, শিয়া-সুন্নি হামলা-পাল্টা হামলা, কুর্দিদের আন্তঃকলহ ইত্যাদি, যা দেশটির জন্য মোটেও ভালো কোনো সংবাদ নয়।
এ দিকে ইরান-মার্কিন এই উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের কোনো দেশই ইরাকের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না। উভয় দেশই ইরাকের মিত্র, বন্ধু, সহায়তাকারী। কিন্তু তারা একই দৃষ্টিভঙ্গির না হওয়াতে বরং পুরোপুরি বিপরীতমুখী হওয়ায় এ দুই মিত্রকে নিয়ে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়বে বাগদাদ। ফলে সম্ভাব্য এ যুদ্ধে বড় ধরনের সঙ্কটেই পড়তে যাচ্ছে ইরাক।
No comments