কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে মোদি সরকার by ইপসিতা চক্রবর্তী
গত ২৭ জুলাই শনিবার
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে অবিলম্বে
সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের ১০ হাজার সেনা বা একশ কোম্পানি সেনা
মোতায়েন করা হবে। এই ঘোষণার পরপরই সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছু সরকারী আদেশের
কপি প্রকাশিত হয়। গত কয়েক দিনে পুরো কাশ্মীর উপত্যকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে
এবং সেটা আরও উসকে দিয়েছে বিভ্রান্তি আর ভুল তথ্য। এই আতঙ্ক দূর করার জন্য
এখন পর্যন্ত সরকার যা করেছে, তা মোটেই যথেষ্ট নয়।
সেনা মোতায়েন নিয়ে কাশ্মীরে বেশ কয়েক ধরনের তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন সরকার সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে ওই রাজ্যের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার ও সুবিধা দেয়া হয়েছে। উপত্যকার রাজনীতিবিদরা এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তাদের দলের নেতাদের দিল্লীতে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যেরা মনে করছেন, এর অর্থ হলো প্রাদেশিক নির্বাচন হয়তো শিগগিরই দেয়া হবে। এটাও বিবেচনার বিষয় যে, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত দোভালের কাশ্মীর সফরের পরপরই এই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আসে।
সেনা মোতায়েনের খবরের ব্যাপারে সরকারের প্রতিক্রিয়া নানা রকমের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অজ্ঞাত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে শোনা গেছে যে, উপত্যকায় সন্ত্রাস-দমন অভিযানকে জোরদার করতে এই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, কারণ অমরনাথ যাত্রার কারণে সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের উপর এমনিতেই চাপ বেড়ে গেছে। রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা একে রুটিন মোতায়েন হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন যে, ২০,০০০ এর মতো সেনা এখানে মোতায়েন হতে পারে।
অন্যান্য অজ্ঞাত কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যেমনটা আগে কখনও করা হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিকের উপদেষ্টা কে বিজয় কুমার বলেছেন, “নিরাপত্তা চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে সচেতনভাবে এবং হিসেব করে একটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে”। আধাসামরিক বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, তারা জানেন না কেন ঠিক এখনই এত বিপুল জনবল মোতায়েন করা হচ্ছে।
এটা ঘোষণার জন্য সরকার কেন এতদিন অপেক্ষা করলো, যেখানে একটা ঝড় দানা বাঁধতে শুরু করেছে?
কাশ্মীরে ব্যাপক সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনা নতুন নয়। অমরনাথ যাত্রা উপলক্ষ্যে প্রায় ৪০০ কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের সদস্যদের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে, লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
এবার যে সেনা মোতায়েন করা হলো, এখানে অস্বাভাবিকতার কারণ হলো এটাকে ঘিরে একটা রহস্য তৈরি হয়েছে। সবশেষ এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে, পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী বোমা হামলার এক সপ্তাহ পর। সেবারও ১০,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। সরকারের সার্কুলারে অনেকটা যেন যুদ্ধকালীন সময়ের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। সেবারও মানুষের আতঙ্ক চরম পর্যায়ে যাওয়ার পরেই কেবল সরকার সেটা নিয়ে কথা বলেছিল। এর কয়েক দিন পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় এবং দুই দেশ যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায়, কাশ্মীরের রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা ধারণা করছেন যে, আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই মূলত এই ‘মানসিক অভিযান’ চালানো হচ্ছে। সরকার মনে করছে উপত্যকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গণবিক্ষোভ বা সহিংসতার মাত্রা কমে আসবে, এবং এর মাধ্যমে নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বা অজনপ্রিয় আইন পাস করাটা সহজ হবে। এখন এটাই আশা করার বিষয় যাতে এই সব তত্ত্ব বাস্তব না হয়।
সেনা মোতায়েন নিয়ে কাশ্মীরে বেশ কয়েক ধরনের তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন সরকার সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে ওই রাজ্যের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার ও সুবিধা দেয়া হয়েছে। উপত্যকার রাজনীতিবিদরা এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তাদের দলের নেতাদের দিল্লীতে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যেরা মনে করছেন, এর অর্থ হলো প্রাদেশিক নির্বাচন হয়তো শিগগিরই দেয়া হবে। এটাও বিবেচনার বিষয় যে, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত দোভালের কাশ্মীর সফরের পরপরই এই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আসে।
সেনা মোতায়েনের খবরের ব্যাপারে সরকারের প্রতিক্রিয়া নানা রকমের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অজ্ঞাত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে শোনা গেছে যে, উপত্যকায় সন্ত্রাস-দমন অভিযানকে জোরদার করতে এই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, কারণ অমরনাথ যাত্রার কারণে সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের উপর এমনিতেই চাপ বেড়ে গেছে। রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তারা একে রুটিন মোতায়েন হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন যে, ২০,০০০ এর মতো সেনা এখানে মোতায়েন হতে পারে।
অন্যান্য অজ্ঞাত কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যেমনটা আগে কখনও করা হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিকের উপদেষ্টা কে বিজয় কুমার বলেছেন, “নিরাপত্তা চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করে সচেতনভাবে এবং হিসেব করে একটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে”। আধাসামরিক বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, তারা জানেন না কেন ঠিক এখনই এত বিপুল জনবল মোতায়েন করা হচ্ছে।
এটা ঘোষণার জন্য সরকার কেন এতদিন অপেক্ষা করলো, যেখানে একটা ঝড় দানা বাঁধতে শুরু করেছে?
কাশ্মীরে ব্যাপক সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনা নতুন নয়। অমরনাথ যাত্রা উপলক্ষ্যে প্রায় ৪০০ কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের সদস্যদের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে, লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
এবার যে সেনা মোতায়েন করা হলো, এখানে অস্বাভাবিকতার কারণ হলো এটাকে ঘিরে একটা রহস্য তৈরি হয়েছে। সবশেষ এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে, পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী বোমা হামলার এক সপ্তাহ পর। সেবারও ১০,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। সরকারের সার্কুলারে অনেকটা যেন যুদ্ধকালীন সময়ের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। সেবারও মানুষের আতঙ্ক চরম পর্যায়ে যাওয়ার পরেই কেবল সরকার সেটা নিয়ে কথা বলেছিল। এর কয়েক দিন পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় এবং দুই দেশ যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায়, কাশ্মীরের রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা ধারণা করছেন যে, আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই মূলত এই ‘মানসিক অভিযান’ চালানো হচ্ছে। সরকার মনে করছে উপত্যকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গণবিক্ষোভ বা সহিংসতার মাত্রা কমে আসবে, এবং এর মাধ্যমে নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে বা অজনপ্রিয় আইন পাস করাটা সহজ হবে। এখন এটাই আশা করার বিষয় যাতে এই সব তত্ত্ব বাস্তব না হয়।
No comments