গবেষণার জন্য দান করা দেহ বিক্রি, চেয়ারে বেঁধে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়া হয়
যুক্তরাষ্ট্রের
অ্যারিজোনায় বসবাস করেন জিম স্টাউফার। তার মা ডোরিস স্টাউফার (৭৩)
অ্যালজেইমার রোগে ভুগছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর জিম সিদ্ধান্ত নিলেন মায়ের
দেহ দান করবেন মারিকোপা কাউন্টির বায়োলজিক্যাল রিসোর্স সেন্টারে (বিআরসি),
যাতে অ্যালজেইমার রোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন
তার মার দেহ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে প্রায়
৬০০০ ডলারে। তারা ওই দেহকে একটি চেয়ারে বেঁধে তা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে
দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, আইইডি বিস্ফোরক বিস্ফোরণ ঘটানো
হলে গাড়িতে থাকা মানুষের কি ঘটে। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড
পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
জিম যখন তার মায়ের এমন খবর জানতে পারেন কষ্টে তার হৃদয় ভেঙে গেছে।
অনেক বছর অ্যালজেইমারের সঙ্গে লড়াই করার পর ৫ বছর আগে একটি সেবাকেন্দ্রে মারা যান তার মা ডোরিস। তার দেহে অ্যালজেইমারের জিন না থাকা সত্ত্বেও তিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করেছিলেন তার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং তার মৃত্যুর পরে তার ব্রেন নিয়ে আরো গবেষণা করা যেতে পারে। অবশেষে ডোরিস মারা যান ২০১৪ সালে। চিকিৎসক তার দেহ ছেলে জিমের কাছে দিয়ে দেন। তা গ্রহণ করে এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার আশা ছিল তার মায়ের দেহের বাকি অংশ নিয়ে আরো গবেষণা করা হোক। একজন নার্সের পরামর্শে তিনি মারিকোপা কাউন্টিতে বিআরসি’তে যোগাযোগ করেন এবং তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসেন। ওই কোম্পানির নেতৃত্বে থাকা স্টিফেন গোরের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন যে, তার মায়ের ব্রেন আলাদা করে একটি স্নায়ুবিষয়ক গবেষণা গ্রুপকে দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু প্রকৃত সত্য জানার পরে ফক্স ৬ টেলিভিশনকে জিম বলেন, আমি কি বোকা! আমি কেন ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করতে গেলাম। তবে ওই সময়ে বিশ্বাস না করেও কোনো উপায় ছিল না। বিশ্বাস করতেই হয়। আমিও বিশ্বাস করেছিলাম।
জিম বর্ণনা করেন, তার মা মারা যাওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে বিআরসির একজন কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে হাজির হন। তিনি তার মায়ের ব্রেন আলাদা করে নেন। এ সময় একটি চুক্তি হয় তাদের মধ্যে। তাতে বিস্তারিত বলা হয় ডোরিসের দেহের বাকি অংশ দিয়ে কি করা হবে বা হবে না। এর কয়েকদিন পরে একটি কাঠের বাক্স পাঠানো হয় জিমকে। তাতে ভরা তার মায়ের দেহভষ্ম। তবে কোনো তথ্য জানানো হয় নি তার মায়ের দেহ কি করা হয়েছে। বাকি অংশই বা কোথায় রাখা হয়েছে বা কি হয়েছে।
এরপর কেটে যায় আরো তিন বছর। এরপর জিম জানতে পারেন তার মায়ের আসলে কি ঘটেছিল। ওই সময়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন সাংবাদিক তাকে ধারাবাহিকভাবে ডকুমেন্ট পাঠাতে থাকেন। এসব রেকর্ডে দেখা যায়, ডোরিসের একটি মাত্র হাত আলাদা করে তা ভষ্ম করে। সেই ভস্ম তারা পাঠিয়ে দেয় জিমের কাছে। তার মা ডোরিসের দেহের বাকি অংশ তারা বিক্রি করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কাছে। সেই দেহাংশ তারা কিছু যন্ত্রাংশের সাহায্যে একটি চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে দেয়। এর নিচে স্থাপন করা হয় একটি বিস্ফোরক ডিভাইস।
ওই ডকুমেন্টে বলা হয়, এর উদ্দেশ্য ছিল, যখন আইইডি বিস্ফোরক কোনো একটি যানবাহনে আঘাত করে তখন মানব শরীরে কি ঘটে তা পরীক্ষা করা। বিআরসি এবং সামরিক বাহিনীর রেকর্ড বলছে, আরও কমপক্ষে ২০টি দেহ ব্যবহার করা হয়েছে এমন পরীক্ষায়। এক্ষেত্রে দাতা বা তার আত্মীয়-স্বজনের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। দান করা এসব দেহ প্রতিটি সামরিক বাহিনীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল ৫৮৯৩ ডলার করে।
এ অভিযোগে জিম ও আরো ৩৩ জন বিআরসি এবং এর মালিক স্টিফেন গোরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ৫২ বছর বয়সী গোরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার বিরুদ্ধে দোষী পাওয়া গেছে। পরে দেখা গেছে তিনি মানুষের দেহের বিভিন্ন অংশ বিক্রি করতেন। তার প্রতিষ্ঠাতে কমপক্ষে ১৭৫৫ টি মানবদেহের অঙ্গ পাওয়া গেছে। তা সরাতে প্রয়োজন হয়েছে ১৪২টি বস্তা। এর ওজন হয়েছে ১০ টন।
জিম যখন তার মায়ের এমন খবর জানতে পারেন কষ্টে তার হৃদয় ভেঙে গেছে।
অনেক বছর অ্যালজেইমারের সঙ্গে লড়াই করার পর ৫ বছর আগে একটি সেবাকেন্দ্রে মারা যান তার মা ডোরিস। তার দেহে অ্যালজেইমারের জিন না থাকা সত্ত্বেও তিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করেছিলেন তার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং তার মৃত্যুর পরে তার ব্রেন নিয়ে আরো গবেষণা করা যেতে পারে। অবশেষে ডোরিস মারা যান ২০১৪ সালে। চিকিৎসক তার দেহ ছেলে জিমের কাছে দিয়ে দেন। তা গ্রহণ করে এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার আশা ছিল তার মায়ের দেহের বাকি অংশ নিয়ে আরো গবেষণা করা হোক। একজন নার্সের পরামর্শে তিনি মারিকোপা কাউন্টিতে বিআরসি’তে যোগাযোগ করেন এবং তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসেন। ওই কোম্পানির নেতৃত্বে থাকা স্টিফেন গোরের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন যে, তার মায়ের ব্রেন আলাদা করে একটি স্নায়ুবিষয়ক গবেষণা গ্রুপকে দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু প্রকৃত সত্য জানার পরে ফক্স ৬ টেলিভিশনকে জিম বলেন, আমি কি বোকা! আমি কেন ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করতে গেলাম। তবে ওই সময়ে বিশ্বাস না করেও কোনো উপায় ছিল না। বিশ্বাস করতেই হয়। আমিও বিশ্বাস করেছিলাম।
জিম বর্ণনা করেন, তার মা মারা যাওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে বিআরসির একজন কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে হাজির হন। তিনি তার মায়ের ব্রেন আলাদা করে নেন। এ সময় একটি চুক্তি হয় তাদের মধ্যে। তাতে বিস্তারিত বলা হয় ডোরিসের দেহের বাকি অংশ দিয়ে কি করা হবে বা হবে না। এর কয়েকদিন পরে একটি কাঠের বাক্স পাঠানো হয় জিমকে। তাতে ভরা তার মায়ের দেহভষ্ম। তবে কোনো তথ্য জানানো হয় নি তার মায়ের দেহ কি করা হয়েছে। বাকি অংশই বা কোথায় রাখা হয়েছে বা কি হয়েছে।
এরপর কেটে যায় আরো তিন বছর। এরপর জিম জানতে পারেন তার মায়ের আসলে কি ঘটেছিল। ওই সময়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন সাংবাদিক তাকে ধারাবাহিকভাবে ডকুমেন্ট পাঠাতে থাকেন। এসব রেকর্ডে দেখা যায়, ডোরিসের একটি মাত্র হাত আলাদা করে তা ভষ্ম করে। সেই ভস্ম তারা পাঠিয়ে দেয় জিমের কাছে। তার মা ডোরিসের দেহের বাকি অংশ তারা বিক্রি করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কাছে। সেই দেহাংশ তারা কিছু যন্ত্রাংশের সাহায্যে একটি চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে দেয়। এর নিচে স্থাপন করা হয় একটি বিস্ফোরক ডিভাইস।
ওই ডকুমেন্টে বলা হয়, এর উদ্দেশ্য ছিল, যখন আইইডি বিস্ফোরক কোনো একটি যানবাহনে আঘাত করে তখন মানব শরীরে কি ঘটে তা পরীক্ষা করা। বিআরসি এবং সামরিক বাহিনীর রেকর্ড বলছে, আরও কমপক্ষে ২০টি দেহ ব্যবহার করা হয়েছে এমন পরীক্ষায়। এক্ষেত্রে দাতা বা তার আত্মীয়-স্বজনের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি। দান করা এসব দেহ প্রতিটি সামরিক বাহিনীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল ৫৮৯৩ ডলার করে।
এ অভিযোগে জিম ও আরো ৩৩ জন বিআরসি এবং এর মালিক স্টিফেন গোরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ৫২ বছর বয়সী গোরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার বিরুদ্ধে দোষী পাওয়া গেছে। পরে দেখা গেছে তিনি মানুষের দেহের বিভিন্ন অংশ বিক্রি করতেন। তার প্রতিষ্ঠাতে কমপক্ষে ১৭৫৫ টি মানবদেহের অঙ্গ পাওয়া গেছে। তা সরাতে প্রয়োজন হয়েছে ১৪২টি বস্তা। এর ওজন হয়েছে ১০ টন।
No comments