জঙ্গি হামলায় জর্জরিত আফগানিস্তানের নির্বাচনী কার্যক্রম by সাদি খান সাইফ
সন্ত্রাসী
হামলার আতঙ্ক আর যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনায় নতুন গতির
মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দীর্ঘ প্রচারকাজ
শুরু হয়েছে।
আনাদুলু এজেন্সির হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহেই অন্তত ২০০ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকর প্রাণ হারিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে আফগানিস্তানজুড়ে তালেবানের ব্যাপক হামলার ফলে এসব লোক নিহত হয়।
আফগানিস্তানের শীর্ষ পদের জন্য প্রার্থী হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও অপর ১৭ জন। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারকাজ শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনেই ঘানির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আমরুল্লাহ সালেহর অফিসের বাইরে প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। সালেহ কট্টর তালেবানবিরোধী হিসেবে পরিচিত।
সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান সালেহ তখন সবেমাত্র কয়েক মাইল দূরে ঘানির সাথে একটি সমাবেশ শেষ করে অফিসে ফিরেছিলেন।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্রেফ ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো অনুষ্ঠান নয়। সোভিয়েত, তালেবান ও সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পর নির্বাচন এখন সব আফগানের জন্য ঐক্যবদ্ধ করার মূলমন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এখন নির্বাচন হলো আমাদের আবেগ, ভাবাবেগ ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার হাতিয়ার।
কাবুলভিত্তিক লেখক ও বিশ্লেষক আতিক রহমান বলেন, তালেবান এই হামলার দায়িত্ব গ্রহণ না করলেও সালেহই রয়েছেন তাদের শীর্ষ হিট লিস্টে।
তিনি বলেন, সালেহর সাথে তালেবানের বৈরিতা দীর্ঘ দিনের। অনেকবারই তার ওপর হামলা হয়েছে। তালেবান সাধারণত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়, এমন হামলার দায় স্বীকার করে না।
আফগান সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রোববারের হামলায় ২০ জন নিহত হয়।
রাজধানী ও প্রদেশগুলোতে বিপরীত চিত্র
আফগান রাজধানী কাবুলে প্রার্থীদের নানা ধরনের পোস্টার, বিলবোর্ড ও প্লেকার্ড দেখা গেলেও প্রদেশগুলোতে বিশেষ করে পল্লী এলাকাগুলোতে নির্বাচনী কার্যক্রমের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
লগার প্রদেশের ওয়ালি মোহাম্মদ বলেন, নির্বাচন হতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহে রয়েছে।
তিনি বলেন, লোকজন খুবই ভীত। আর কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদেরা তাদের বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে বেরিকেড দেয়া এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকছে।
গত এক সপ্তাহে রাজধানী ছাড়াও তাখার, লগার, হেলমন্দ, কান্দাহার, কানদুজ, ফারিয়াব, গজনি ও নানগারহার প্রদেশে হামলা হয়েছে।
২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১২ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৭ মিলিয়ন ভোট দেয়। ২০১৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৮.৮ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছে ৪০ ভাগের বেশি।
পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় সারা দেশে ৭০ হাজারের বেশি নিরাপত্তা সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ মিলিয়ন ডলার। কাবুল প্রশাসন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যয় বহন করবে।
তালেবান হামলার বিরতি নেই
আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অর্ধেকেই তালেবানের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালালেও বলছে, হামলা বন্ধ করছে না।
আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ছাড়াও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফ আতমার ও সাবেক মুজাহিদিন নেতা গুলবদ্দিন হেকমতিয়ারও রয়েছেন।
আনাদুলু এজেন্সির হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহেই অন্তত ২০০ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকর প্রাণ হারিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে আফগানিস্তানজুড়ে তালেবানের ব্যাপক হামলার ফলে এসব লোক নিহত হয়।
আফগানিস্তানের শীর্ষ পদের জন্য প্রার্থী হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও অপর ১৭ জন। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারকাজ শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনেই ঘানির ডেপুটি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আমরুল্লাহ সালেহর অফিসের বাইরে প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। সালেহ কট্টর তালেবানবিরোধী হিসেবে পরিচিত।
সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান সালেহ তখন সবেমাত্র কয়েক মাইল দূরে ঘানির সাথে একটি সমাবেশ শেষ করে অফিসে ফিরেছিলেন।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্রেফ ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো অনুষ্ঠান নয়। সোভিয়েত, তালেবান ও সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পর নির্বাচন এখন সব আফগানের জন্য ঐক্যবদ্ধ করার মূলমন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এখন নির্বাচন হলো আমাদের আবেগ, ভাবাবেগ ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার হাতিয়ার।
কাবুলভিত্তিক লেখক ও বিশ্লেষক আতিক রহমান বলেন, তালেবান এই হামলার দায়িত্ব গ্রহণ না করলেও সালেহই রয়েছেন তাদের শীর্ষ হিট লিস্টে।
তিনি বলেন, সালেহর সাথে তালেবানের বৈরিতা দীর্ঘ দিনের। অনেকবারই তার ওপর হামলা হয়েছে। তালেবান সাধারণত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়, এমন হামলার দায় স্বীকার করে না।
আফগান সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রোববারের হামলায় ২০ জন নিহত হয়।
রাজধানী ও প্রদেশগুলোতে বিপরীত চিত্র
আফগান রাজধানী কাবুলে প্রার্থীদের নানা ধরনের পোস্টার, বিলবোর্ড ও প্লেকার্ড দেখা গেলেও প্রদেশগুলোতে বিশেষ করে পল্লী এলাকাগুলোতে নির্বাচনী কার্যক্রমের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
লগার প্রদেশের ওয়ালি মোহাম্মদ বলেন, নির্বাচন হতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহে রয়েছে।
তিনি বলেন, লোকজন খুবই ভীত। আর কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদেরা তাদের বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে বেরিকেড দেয়া এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকছে।
গত এক সপ্তাহে রাজধানী ছাড়াও তাখার, লগার, হেলমন্দ, কান্দাহার, কানদুজ, ফারিয়াব, গজনি ও নানগারহার প্রদেশে হামলা হয়েছে।
২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১২ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৭ মিলিয়ন ভোট দেয়। ২০১৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৮.৮ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছে ৪০ ভাগের বেশি।
পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় সারা দেশে ৭০ হাজারের বেশি নিরাপত্তা সদস্য নিয়োগ করা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ মিলিয়ন ডলার। কাবুল প্রশাসন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যয় বহন করবে।
তালেবান হামলার বিরতি নেই
আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অর্ধেকেই তালেবানের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালালেও বলছে, হামলা বন্ধ করছে না।
আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ছাড়াও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফ আতমার ও সাবেক মুজাহিদিন নেতা গুলবদ্দিন হেকমতিয়ারও রয়েছেন।
No comments