ফোনালাপকারী সেই ব্যবসায়ী আটক? by তোহুর আহমদ
নাগরিক
ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় নিয়ে
ফোনালাপকারী সেই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার পুরো নাম মশিউর রহমান মামুন। তিনি
পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন
বলে সূত্র দাবি করছে। তবে তাকে আটক করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীল কেউ
স্বীকার করেননি।
সূত্র জানায়, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ২৩ ফেব্র“য়ারি ভাইবারে ফোনালাপের সময় উল্লিখিত মামুন রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থান করছিলেন।
এমন তথ্য জানার পর গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত হয় যে, এই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় ধানমণ্ডি ১৪/এ এলাকায় অবস্থান করেন। এরপর সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি এর আগের এক সপ্তাহ ধরে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন তা জানার উদ্যোগ নেয়া হয়। একই সঙ্গে তার সার্বিক কর্মকাণ্ড নজরদারির মধ্যে আনা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট টিম জানতে পারে, তিনি লন্ডন প্রবাসী একজন ব্যবসায়ী এবং তার সঙ্গে সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকের যোগাযোগ রয়েছে। এর এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, এই মশিউর রহমান মামুন ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়ে একজন প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সে সময় ওই কর্মকর্তার প্রভাবে তিনি বিভিন্ন সরকারি অফিসে দাপটের সঙ্গে ছড়ি ঘুরাতেন। তাকে দেখলে অনেকে গ্রেফতার আতংকে ভুগতেন। দু’বছর মেয়াদি ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিদায় হলে তিনি পাততাড়ি গোটানো শুরু করেন।
তাকে শেলটার দেয়া প্রভাবশালী কর্মকর্তার মতো তিনিও বিদেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে সক্ষম হন।
সূত্র জানায়, ওয়ান-ইলেভেনের সময় নানা উপায়ে উপার্জন করা বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যে তিনি একক মালিকানায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ব্যবসায় লগ্নি করা টাকা তিনি হুন্ডিতে নিয়ে যান। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার উপরতলার মানুষের সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগের নানা মাধ্যমও গড়ে ওঠে।
সূত্র বলছে, এ রকম একটি মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে তার পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠে।
মশিউর রহমান মামুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার পারসাতুরিয়া গ্রামে। তার গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা যুগান্তরকে জানান, মামুনের পিতার নাম মতিউর রহমান মতি মিয়া। বহুদিন আগে থেকেই তাদের পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু মামুনের দূরসম্পর্কের এক চাচা থাকেন। এলাকায় তারা তেমন একটা যাতায়াতও করেন না। এলাকাবাসী জানে মামুন স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকলেও বেশির ভাগ সময় তিনি ব্যবসায়িক কাজে থাইল্যান্ডে অবস্থান করেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি থাকেন লন্ডনে।
সূত্র জানায়, ২৩ ফেব্র“য়ারি মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ফোনালাপের মাত্র এক সপ্তাহ আগে মামুন দেশে আসেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালীন মামুন বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ রাখছিলেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।
জানা গেছে, মামুন নটর ডেম কলেজ থেকে পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
এর আগে তিনি খুলনা রোটারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক দলের নামে সংবাদ গ্র“প ও সাপোর্ট গ্র“পসহ নানা ধরনের নতুন নতুন সংগঠন তৈরির সঙ্গে যুক্ত।
সূত্র জানায়, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ২৩ ফেব্র“য়ারি ভাইবারে ফোনালাপের সময় উল্লিখিত মামুন রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থান করছিলেন।
এমন তথ্য জানার পর গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত হয় যে, এই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় ধানমণ্ডি ১৪/এ এলাকায় অবস্থান করেন। এরপর সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি এর আগের এক সপ্তাহ ধরে কোথায় কার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন তা জানার উদ্যোগ নেয়া হয়। একই সঙ্গে তার সার্বিক কর্মকাণ্ড নজরদারির মধ্যে আনা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট টিম জানতে পারে, তিনি লন্ডন প্রবাসী একজন ব্যবসায়ী এবং তার সঙ্গে সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকের যোগাযোগ রয়েছে। এর এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, এই মশিউর রহমান মামুন ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়ে একজন প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সে সময় ওই কর্মকর্তার প্রভাবে তিনি বিভিন্ন সরকারি অফিসে দাপটের সঙ্গে ছড়ি ঘুরাতেন। তাকে দেখলে অনেকে গ্রেফতার আতংকে ভুগতেন। দু’বছর মেয়াদি ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিদায় হলে তিনি পাততাড়ি গোটানো শুরু করেন।
তাকে শেলটার দেয়া প্রভাবশালী কর্মকর্তার মতো তিনিও বিদেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে সক্ষম হন।
সূত্র জানায়, ওয়ান-ইলেভেনের সময় নানা উপায়ে উপার্জন করা বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যে তিনি একক মালিকানায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ব্যবসায় লগ্নি করা টাকা তিনি হুন্ডিতে নিয়ে যান। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার উপরতলার মানুষের সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগের নানা মাধ্যমও গড়ে ওঠে।
সূত্র বলছে, এ রকম একটি মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে তার পরিচয় ও সখ্য গড়ে ওঠে।
মশিউর রহমান মামুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার পারসাতুরিয়া গ্রামে। তার গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা যুগান্তরকে জানান, মামুনের পিতার নাম মতিউর রহমান মতি মিয়া। বহুদিন আগে থেকেই তাদের পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু মামুনের দূরসম্পর্কের এক চাচা থাকেন। এলাকায় তারা তেমন একটা যাতায়াতও করেন না। এলাকাবাসী জানে মামুন স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকলেও বেশির ভাগ সময় তিনি ব্যবসায়িক কাজে থাইল্যান্ডে অবস্থান করেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি থাকেন লন্ডনে।
সূত্র জানায়, ২৩ ফেব্র“য়ারি মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ফোনালাপের মাত্র এক সপ্তাহ আগে মামুন দেশে আসেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালীন মামুন বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ রাখছিলেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।
জানা গেছে, মামুন নটর ডেম কলেজ থেকে পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
এর আগে তিনি খুলনা রোটারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক দলের নামে সংবাদ গ্র“প ও সাপোর্ট গ্র“পসহ নানা ধরনের নতুন নতুন সংগঠন তৈরির সঙ্গে যুক্ত।
No comments