যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক
আমরা
দরখাস্ত বা আবেদনপত্রে লিখে থাকি, যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এই যে ...।
তবে সব জায়গায় যদি সম্মান প্রদর্শন করে কথাগুলো লেখা হতো তাহলে কেমন হতো?
জানাচ্ছেন এম আর আশিক হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আপনি এই
মুহূর্তে আমাদের দোকানে প্রবেশ করেছেন। এটা এক দরের দোকান, সেটা আপনাকে
জানিয়ে রাখা একান্ত প্রয়োজন। এ দোকানে কোনোভাবেই দুই দর বলবেন না। তাতে
আমাদেরই সম্মানে আঘাত করবে। আপনি যদি দুই দরে পণ্য কিনতে চান, তাহলে অন্য
দোকানে ট্রাই করতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো, এই মার্কেটে সব দোকানই এক
দরের।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, এ রাস্তার সামনে একটা রেললাইন আছে। কিন্তু চক্ষু ছানাবড়া করে দেখতে পাবেন যে, সেখানে রেলগেট কিংবা গেটম্যান কোনোটিই নেই। এ রাস্তা পারাপারে চোখ এবং কান দুটোই খোলা রাখবেন। নইলে যে কোনো প্রকার বিপদ-আপদ আপনার ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। অতীতেও এ জায়গায় বিপদ নামক কথাটার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সাবধান। আপনারাই বলেন সাবধানতার কি কোনো মাইর আছে?
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, স্টিল খাম্বার মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতি হলেও এ কাজটিই আপনাকে খুব মনোযোগ সহকারে করতে হবে। সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট না কাটলে সমস্যা আপনারই। আপনি যদি লাইন ওভারটেক করে টিকিট কাটতে আসেন, তাহলে আমরা তো আপনাকে টিকিট দেবই না, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে নিয়ম করে টিকিট কাটছেন তারাও নিশ্চয় আপনাকে কথা শোনাতে ছাড়বে না। অতএব লাইনে দাঁড়ান। সারিবদ্ধভাবে টিকিট কাটুন।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আপনি এখন যে দৈনিক পত্রিকাটা হাতে নিয়েছেন, সেটা পড়ার আগে নিজের শারীরিক দিক বিবেচনায় আনুন। আপনি কি হার্টের রোগী? যদি হার্টের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে পত্রিকার পাতার কিছু ছবি এবং খবর পড়া থেকে বিরত থাকুন। এসব রোমহর্ষক ছবি, খবর আপনার হার্টের ক্ষতি করতে পারে। জানেনই তো, বর্তমানে আমাদের দেশে অপরাধের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে, পত্রিকা খুললেই ভয়াবহ খবর এবং ছবি থাকবেই। সো, একটু খেয়াল করে পত্রিকা পড়বেন।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে আমরা অনুষ্ঠান থেকে বিজ্ঞাপন বিরতিতে যাচ্ছি। বিরতিটা মাত্র ১০ মিনিটের। এই ১০ মিনিট আপনি অন্য চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। কিংবা আমাদের চ্যানেলের বিজ্ঞাপনগুলোও দেখতে পারেন। এখনকার বিজ্ঞাপন অন্যান্য অনুষ্ঠানের চেয়ে কম মজার নয়। তবে আপনি যেটাই করেন না কেন, গুনে গুনে ১০ মিনিট পর আবার এ অনুষ্ঠানে ফিরে আসবেন। কারণ বিজ্ঞাপনের পর অনুষ্ঠানে অপেক্ষা করছে আকর্ষণ, যা মিস করলে পস্তাবেন বৈ লাভবান হবেন না। মাত্র ১০ মিনিট।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আপনি সবেমাত্র মার্কেটের প্রবেশপথ দিয়ে ভেতরে এলেন। বাইরেও একই লেখা ছিল। কিন্তু অনেকেই বাইরের লেখা না দেখেই ভেতরে চলে আসে বলে ভেতরেও একই লেখা আবারও লেখা হয়েছে। মার্কেটে আসামাত্রই আপনার পকেটের হবে বেহালদশা। আপনি যদি পকেটের অবস্থার করুণদশা মেনে নিতে চান তাহলে মার্কেট আপনার জন্য উন্মুক্ত। আপনি মার্কেটে ঘুরবেন, দেখবেন, কিনবেন। না কিনলেও যে আমাদের কিছু যায় আসে তা কিন্তু নয়। তবে আমাদের জানামতে, মার্কেটে মানুষ কিনতেই আসে।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আমাদের মোবাইল সিমে কলরেট অনেক কম। অনেক কম বলতে যে একেবারে শূন্যের কোঠায়, সেটাও কিন্তু নয়। তবে অন্যান্য অপারেটরের চেয়ে ঢের কম। তবে আপনি যদি বেশি কথা বলেন, সে ক্ষেত্রে কলরেট কম কাটবে সেটা কিন্তু বলা হচ্ছে না। আপনি যত বেশি কথা বলবেন তত বেশি টাকা কাটবে। আরেকটা কথা, যদি আপনার ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় তাহলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সুব্যবস্থা আছে।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, এ রাস্তার সামনে একটা রেললাইন আছে। কিন্তু চক্ষু ছানাবড়া করে দেখতে পাবেন যে, সেখানে রেলগেট কিংবা গেটম্যান কোনোটিই নেই। এ রাস্তা পারাপারে চোখ এবং কান দুটোই খোলা রাখবেন। নইলে যে কোনো প্রকার বিপদ-আপদ আপনার ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। অতীতেও এ জায়গায় বিপদ নামক কথাটার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সাবধান। আপনারাই বলেন সাবধানতার কি কোনো মাইর আছে?
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, স্টিল খাম্বার মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতি হলেও এ কাজটিই আপনাকে খুব মনোযোগ সহকারে করতে হবে। সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট না কাটলে সমস্যা আপনারই। আপনি যদি লাইন ওভারটেক করে টিকিট কাটতে আসেন, তাহলে আমরা তো আপনাকে টিকিট দেবই না, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে নিয়ম করে টিকিট কাটছেন তারাও নিশ্চয় আপনাকে কথা শোনাতে ছাড়বে না। অতএব লাইনে দাঁড়ান। সারিবদ্ধভাবে টিকিট কাটুন।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আপনি এখন যে দৈনিক পত্রিকাটা হাতে নিয়েছেন, সেটা পড়ার আগে নিজের শারীরিক দিক বিবেচনায় আনুন। আপনি কি হার্টের রোগী? যদি হার্টের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে পত্রিকার পাতার কিছু ছবি এবং খবর পড়া থেকে বিরত থাকুন। এসব রোমহর্ষক ছবি, খবর আপনার হার্টের ক্ষতি করতে পারে। জানেনই তো, বর্তমানে আমাদের দেশে অপরাধের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে, পত্রিকা খুললেই ভয়াবহ খবর এবং ছবি থাকবেই। সো, একটু খেয়াল করে পত্রিকা পড়বেন।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে আমরা অনুষ্ঠান থেকে বিজ্ঞাপন বিরতিতে যাচ্ছি। বিরতিটা মাত্র ১০ মিনিটের। এই ১০ মিনিট আপনি অন্য চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। কিংবা আমাদের চ্যানেলের বিজ্ঞাপনগুলোও দেখতে পারেন। এখনকার বিজ্ঞাপন অন্যান্য অনুষ্ঠানের চেয়ে কম মজার নয়। তবে আপনি যেটাই করেন না কেন, গুনে গুনে ১০ মিনিট পর আবার এ অনুষ্ঠানে ফিরে আসবেন। কারণ বিজ্ঞাপনের পর অনুষ্ঠানে অপেক্ষা করছে আকর্ষণ, যা মিস করলে পস্তাবেন বৈ লাভবান হবেন না। মাত্র ১০ মিনিট।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আপনি সবেমাত্র মার্কেটের প্রবেশপথ দিয়ে ভেতরে এলেন। বাইরেও একই লেখা ছিল। কিন্তু অনেকেই বাইরের লেখা না দেখেই ভেতরে চলে আসে বলে ভেতরেও একই লেখা আবারও লেখা হয়েছে। মার্কেটে আসামাত্রই আপনার পকেটের হবে বেহালদশা। আপনি যদি পকেটের অবস্থার করুণদশা মেনে নিতে চান তাহলে মার্কেট আপনার জন্য উন্মুক্ত। আপনি মার্কেটে ঘুরবেন, দেখবেন, কিনবেন। না কিনলেও যে আমাদের কিছু যায় আসে তা কিন্তু নয়। তবে আমাদের জানামতে, মার্কেটে মানুষ কিনতেই আসে।
হযথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বলা যাচ্ছে, আমাদের মোবাইল সিমে কলরেট অনেক কম। অনেক কম বলতে যে একেবারে শূন্যের কোঠায়, সেটাও কিন্তু নয়। তবে অন্যান্য অপারেটরের চেয়ে ঢের কম। তবে আপনি যদি বেশি কথা বলেন, সে ক্ষেত্রে কলরেট কম কাটবে সেটা কিন্তু বলা হচ্ছে না। আপনি যত বেশি কথা বলবেন তত বেশি টাকা কাটবে। আরেকটা কথা, যদি আপনার ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় তাহলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সুব্যবস্থা আছে।
No comments