মমতার 'মনের কথা' by রক্তিম দাশ
পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের ইদানীং বিভিন্ন রাজনৈতিক
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বক্তব্য সরাসরি প্রকাশ না করলেও সোস্যাল নেটওয়ার্ক
সাইটে প্রতিনিয়ত তার মনের কথা শেয়ার করেন। প্রথমে ফেসবুক দিয়ে শুরু করলেও
এখন তিনি টুইট করে তার মতামত জানান। মুখ্যমন্ত্রী কোনো সফরে গেলে তার সঙ্গী
থাকে একটি ট্যাব। এই ট্যাবে বিভিন্ন ছবি তুলতে ভালোবাসেন তিনি। এই ছবি
আবার ফেসবুক আর টুইটারে পোস্ট করে মতামত জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কোনো ঘটনার দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোস্যাল
নেটওয়ার্কে আপডেট এখন কলকাতার সংবাদমাধ্যমে মুখ্য সংবাদ সোর্স হিসেবে
বিবেচিত হয়। ঠিক যেমন ঘটল তার ঢাকা সফরে। তার এই সফরকেন্দ্রিক ফেসবুকের
পোস্টগুলো রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। এই পোস্টগুলোর মোট লাইক
করেছেন ৯৪ হাজার ২৬৯ জন। মন্তব্য করেছেন তিন হাজার ৮৪৫ জন। আর পোস্টগুলো
শেয়ার করেছেন তিন হাজার ৪৫ জন। এই পোস্টগুলোতে নিজের বক্তব্যের পাশাপাশি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি, ভাষাশহীদ স্মারকে
শ্রদ্ধা জানানোসহ স্মারকস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোট তিনটি ছবি ও
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের তিনটি ছবি দিয়েছেন। সফরে যাওয়ার প্রথম
দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে বিমানে ওঠার কিছু
আগে তিনি ফেসবুকে লিখছেন_ আমরা শিল্প, পর্যটন, শিল্পকলা, সিনেমা, সংস্কৃতি
এবং অন্যান্য ক্ষেত্র বিভিন্ন সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশ
সফর, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ, মাতৃভাষার জন্য আত্মদানকারী
যারা মহান শহীদদের সম্মান দিতে এবং দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক
জোরদারে একটি অভূতপূর্ব সুযোগ এই সফরে পাওয়া যাবে।
সফরের পরের দিন ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি ফেসবুকে লিখছেন, "আমি ১৭ বছর পর ঢাকা এসেছি। 'বৈঠকি বাংলা'র উদ্দেশ্য ছিল_ এখানে উভয় পক্ষের সাহিত্য, চলচ্চিত্র, নাটক, সঙ্গীত দুনিয়া থেকে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কদের উপস্থিতিতে একটি উদ্দীপক পরিবেশে হৃদয়গ্রাহী আলোচনা করা। আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পারস্পরিকভাবে উভয় পক্ষই উপকৃত হবো এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দীর্ঘ স্থায়ী সম্পর্ক জোরদার করতে পারেন কীভাবে সেই আলোচনা করার জন্য এই সভা ছিল।" ওই দিনই সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তিনি লিখছেন, 'বৈঠকি বাংলার পর আজ আমার বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। আমরা পারস্পরিক স্বার্থ ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আন্তরিকতার সঙ্গে, বিশেষ করে ভারত ও কলকাতা সফরের কথা বললেন।' বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে আবেগপ্রবণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে রাত ৯টা ৩ মিনিটে লিখছেন, 'এই সন্ধ্যায় আমি ৩২ ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আমার সম্মান জানাতে গিয়েছিলাম। আমার জন্য এবং এই উপমহাদেশে আমাদের সব তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান স্থপতি ছিলেন। জাতির পিতা হিসেবে তিনি বিশ্বের সবার কাছ থেকে বাংলা ভাষার জন্য সম্মান ও গৌরব নিয়ে এসেছিলেন। এই মহান আত্মার স্মৃতিতে আমি শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে মাথা নত করছি।' রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি ফেসবুকে লিখছেন, '২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমার সশ্রদ্ধ সম্মান জানাতে শহীদ মিনার, ঢাকা উপস্থিত হতে পারা জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। আমি উদ্বেল ও গভীরভাবে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত অভিজ্ঞতা ও আবেগ দিয়ে স্পর্শ করছি।'
একুশের বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে মনের আবেগ দিয়ে তিনি লিখছেন, 'আজ আমি আমার প্রিয় দিদি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানি্নধ্য ছিল উষ্ণ এবং আন্তরিক, যা আমাকে আবেগাপ্লুত করেছে। এই সফর ছিল গঠনমূলক ও ইতিবাচক। আমি বলতে পারি ঐতিহাসিক। আমি পশ্চিমবঙ্গ সফরের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এসো এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে...।'
সফরের পরের দিন ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি ফেসবুকে লিখছেন, "আমি ১৭ বছর পর ঢাকা এসেছি। 'বৈঠকি বাংলা'র উদ্দেশ্য ছিল_ এখানে উভয় পক্ষের সাহিত্য, চলচ্চিত্র, নাটক, সঙ্গীত দুনিয়া থেকে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কদের উপস্থিতিতে একটি উদ্দীপক পরিবেশে হৃদয়গ্রাহী আলোচনা করা। আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পারস্পরিকভাবে উভয় পক্ষই উপকৃত হবো এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দীর্ঘ স্থায়ী সম্পর্ক জোরদার করতে পারেন কীভাবে সেই আলোচনা করার জন্য এই সভা ছিল।" ওই দিনই সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তিনি লিখছেন, 'বৈঠকি বাংলার পর আজ আমার বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। আমরা পারস্পরিক স্বার্থ ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আন্তরিকতার সঙ্গে, বিশেষ করে ভারত ও কলকাতা সফরের কথা বললেন।' বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে আবেগপ্রবণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে রাত ৯টা ৩ মিনিটে লিখছেন, 'এই সন্ধ্যায় আমি ৩২ ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আমার সম্মান জানাতে গিয়েছিলাম। আমার জন্য এবং এই উপমহাদেশে আমাদের সব তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান স্থপতি ছিলেন। জাতির পিতা হিসেবে তিনি বিশ্বের সবার কাছ থেকে বাংলা ভাষার জন্য সম্মান ও গৌরব নিয়ে এসেছিলেন। এই মহান আত্মার স্মৃতিতে আমি শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে মাথা নত করছি।' রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি ফেসবুকে লিখছেন, '২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমার সশ্রদ্ধ সম্মান জানাতে শহীদ মিনার, ঢাকা উপস্থিত হতে পারা জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। আমি উদ্বেল ও গভীরভাবে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত অভিজ্ঞতা ও আবেগ দিয়ে স্পর্শ করছি।'
একুশের বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে মনের আবেগ দিয়ে তিনি লিখছেন, 'আজ আমি আমার প্রিয় দিদি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানি্নধ্য ছিল উষ্ণ এবং আন্তরিক, যা আমাকে আবেগাপ্লুত করেছে। এই সফর ছিল গঠনমূলক ও ইতিবাচক। আমি বলতে পারি ঐতিহাসিক। আমি পশ্চিমবঙ্গ সফরের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এসো এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে...।'
No comments