অচলাবস্থার শেষ কোথায়?
রাজধানীতে
যানবাহনের আধিক্যে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে
প্রশ্ন উঠছে। রাস্তাগুলোয় প্রায় স্বাভাবিক কার্যদিবসের মতোই যানবাহন চলছে,
কোথাও কোথাও যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এতে মনে করার কারণ নেই, নাশকতা বন্ধ
হয়েছে। বরং গত দুদিনে নাশকতার প্রকোপ আরও বেশি লক্ষ্য করা গেছে। আতংক ও
নিরাপত্তার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মানুষ প্রয়োজনে ও পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের
হচ্ছে। রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষা
ক্ষেত্রে। এর যে ক্ষতি, তা কারও বা কোনো রাজনৈতিক দলের একার নয়, বরং এ
ক্ষতি সামষ্টিক। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এ কথাটিই অনুধাবন করছেন না আমাদের
রাজনৈতিক নেতারা। সরকার ও বিরোধী পক্ষ উভয়েই যার যার অবস্থানে অনড়।
দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা-সমঝোতার আহ্বান জানানো হচ্ছে
প্রতিনিয়ত। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যারা
সহিংসতা করছে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না। কিন্তু এখন পর্যন্ত
সহিংসতা বন্ধে সফল হতে পারেনি সরকার। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার
দায়িত্ব সরকারের। আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে তা করা না গেলে সরকার কোন পথে
যাবে? বস্তুত যেকোনো সংকট উত্তরণে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া বর্তমান
সংকটটি রাজনৈতিক। রাজনৈতিকভাবেই এর সুরাহা হওয়া উচিত।
অপরদিকে অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা চলছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেভাবে বাসে-ট্রাকে-ট্রেনে পেট্রলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তার টার্গেট হচ্ছেন নিরীহ মানুষ, যাদের সঙ্গে সরাসরি রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি দাবি আদায়ের কোনো পন্থা হতে পারে না। ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সহিংসতায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হলেও বাস্তবতা হল অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করেই সহিংসতা হচ্ছে। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে জনগণকে তা পালনে বাধ্য করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। বর্তমানে এ সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা মারাÍকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এটি কোনো যুক্তিতেই বরদাশত করা যায় না। আমরা মনে করি, বিরোধী পক্ষের উচিত অবিলম্বে অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা। এর ফলে সহিংসতা বন্ধ হবে। একই সঙ্গে এটি আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে। তখন সরকারও আর বলতে পারবে না, সহিংসতাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়।
আলোচনার উদ্যোগ আগে নাকি আগে সহিংসতা বন্ধ- এ নিয়ে অচলাবস্থা চলতে থাকলে সংকটের কোনো সুরাহা হবে না। বন্ধ হবে না সহিংসতাও। আলোচনার ব্যাপারে উভয় পক্ষের নেতৃত্ব পর্যায়ে গোপনেও এক ধরনের মতবিনিময় হতে পারে। শত বৈরী পরিবেশেও এমনটি হওয়ার নজির আছে। এভাবে আলোচনার বিষয়ে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে ২০ দলীয় জোট অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করে নিতে পারে। তখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে। সংকট উত্তরণে উভয় পক্ষেরই উচিত দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দেয়া। নতুবা এ সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। এটা অনুধাবন করে তারা অবিলম্বে একটি ঐকমত্যে আসবেন, এটিই দেশবাসী আশা করে।
অপরদিকে অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা চলছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেভাবে বাসে-ট্রাকে-ট্রেনে পেট্রলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তার টার্গেট হচ্ছেন নিরীহ মানুষ, যাদের সঙ্গে সরাসরি রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি দাবি আদায়ের কোনো পন্থা হতে পারে না। ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সহিংসতায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হলেও বাস্তবতা হল অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করেই সহিংসতা হচ্ছে। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সহিংসতার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে জনগণকে তা পালনে বাধ্য করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। বর্তমানে এ সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা মারাÍকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এটি কোনো যুক্তিতেই বরদাশত করা যায় না। আমরা মনে করি, বিরোধী পক্ষের উচিত অবিলম্বে অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা। এর ফলে সহিংসতা বন্ধ হবে। একই সঙ্গে এটি আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে। তখন সরকারও আর বলতে পারবে না, সহিংসতাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়।
আলোচনার উদ্যোগ আগে নাকি আগে সহিংসতা বন্ধ- এ নিয়ে অচলাবস্থা চলতে থাকলে সংকটের কোনো সুরাহা হবে না। বন্ধ হবে না সহিংসতাও। আলোচনার ব্যাপারে উভয় পক্ষের নেতৃত্ব পর্যায়ে গোপনেও এক ধরনের মতবিনিময় হতে পারে। শত বৈরী পরিবেশেও এমনটি হওয়ার নজির আছে। এভাবে আলোচনার বিষয়ে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে ২০ দলীয় জোট অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করে নিতে পারে। তখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে। সংকট উত্তরণে উভয় পক্ষেরই উচিত দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দেয়া। নতুবা এ সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। এটা অনুধাবন করে তারা অবিলম্বে একটি ঐকমত্যে আসবেন, এটিই দেশবাসী আশা করে।
No comments