আবারও বাড়ছে জঙ্গি তৎপরতা
যুক্তরাষ্ট্র
প্রবাসী লেখক ও প্রকৌশলী ড. অভিজিৎ রায়কে খুন করার ঘটনায় আনসারুল্লাহ
বাংলা টিমের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম,
হিজবুত তাহরির, ইসলামিক স্টেটসহ অন্য উগ্রপন্থীরা একই সূত্রে গাঁথা। মূলত
এদের হাতেই অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্লগার রাজীব,
ইমাম মাহাদীর কথিত সেনাপতি লুৎফর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী ও
বুয়েটের ছাত্র দীপ খুন হন। গোয়েন্দাদের মতে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম দেশের
রাজনীতি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস যে ১৩টি
দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির ঝুঁকি দেখছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
বিষয়টি উদ্বেগজনক। ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস কিছুদিন আগে যে
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক প্রকাশ করেছিল, সেখানে ১৬২টি দেশের মধ্যে
বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ২৩। সংস্থাটির মতে, যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়িত নয় এমন
১৩টি দেশও রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলগত বিদ্বেষের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড
বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশগুলো হল- অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি,
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি,
মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও উগান্ডা। উদ্বেগের বিষয় হল,
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)
বাংলাদেশেও তাদের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি
বাংলাদেশে আসার পথে কলকাতায় ৪ আইএস সমর্থক আটক হওয়ার পর বাংলাদেশে আইএস
কর্মী সংগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
দেশে জঙ্গি তৎপরতার বিস্তার ও কার্যক্রম ভয়াবহ রকম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার জেএমবি ও হুজিসহ চারটি সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। নিষিদ্ধ হলেও উগ্রপন্থী জঙ্গিরা বসে নেই- তাদের সাম্প্রতিক তৎপরতা ও আইএসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবর থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, যে কোনো চরমপন্থাই খারাপ। প্রতিটি ধর্মের অন্তর্নিহিত মর্মবাণী হচ্ছে শান্তি। অশান্তি, নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও পরিত্যাজ্য। দেখা যাচ্ছে, উগ্রপন্থী জঙ্গিরা পরিত্যাজ্য একটি বিষয়কে উপজীব্য করে তাদের ভাষায় জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। মনে রাখতে হবে, বিশৃংখলা সৃষ্টি আর জিহাদ এক জিনিস নয়। অথচ জঙ্গিরা সুকৌশলে তাদের প্রকৃত মনোভাব গোপন করে এ দেশের সহজ-সরল দরিদ্র পরিবারের তরুণ-তরুণীদের অর্থের প্রলোভন ও ধর্মের দোহাই দিয়ে ধ্বংসাত্মক পথে টেনে আনছে; তাদের ললাটে এঁকে দিচ্ছে বোমা হামলাকারীর কলংক। বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের জঙ্গিরা ধ্বংস, খুন ও বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে যেভাবে ইসলাম কায়েমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেটি আদতে ইসলামের পথ নয়। শান্তি ও মানবতার ধর্ম হিসেবে ইসলাম কখনোই হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে না। হানাহানি-কাটাকাটি ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জঙ্গিরা এটি জেনেও তাদের গোপন অভিলাষ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। উদার ও সহনশীল মনোভাবসম্পন্ন মানুষের আবাসভূমি হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম ও মর্যাদা ছিল, বিগত দিনগুলোয় জঙ্গিদের অপতৎপরতার কারণে তার অনেকটাই ম্লান হয়েছে। দেশ থেকে সব ধরনের উগ্রপন্থা ও জঙ্গি কার্যক্রম নির্মূল করতে হলে যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সরকারকে নিতে হবে সেই চেষ্টা।
দেশে জঙ্গি তৎপরতার বিস্তার ও কার্যক্রম ভয়াবহ রকম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার জেএমবি ও হুজিসহ চারটি সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। নিষিদ্ধ হলেও উগ্রপন্থী জঙ্গিরা বসে নেই- তাদের সাম্প্রতিক তৎপরতা ও আইএসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবর থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, যে কোনো চরমপন্থাই খারাপ। প্রতিটি ধর্মের অন্তর্নিহিত মর্মবাণী হচ্ছে শান্তি। অশান্তি, নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও পরিত্যাজ্য। দেখা যাচ্ছে, উগ্রপন্থী জঙ্গিরা পরিত্যাজ্য একটি বিষয়কে উপজীব্য করে তাদের ভাষায় জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। মনে রাখতে হবে, বিশৃংখলা সৃষ্টি আর জিহাদ এক জিনিস নয়। অথচ জঙ্গিরা সুকৌশলে তাদের প্রকৃত মনোভাব গোপন করে এ দেশের সহজ-সরল দরিদ্র পরিবারের তরুণ-তরুণীদের অর্থের প্রলোভন ও ধর্মের দোহাই দিয়ে ধ্বংসাত্মক পথে টেনে আনছে; তাদের ললাটে এঁকে দিচ্ছে বোমা হামলাকারীর কলংক। বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের জঙ্গিরা ধ্বংস, খুন ও বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে যেভাবে ইসলাম কায়েমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেটি আদতে ইসলামের পথ নয়। শান্তি ও মানবতার ধর্ম হিসেবে ইসলাম কখনোই হত্যা ও ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে না। হানাহানি-কাটাকাটি ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জঙ্গিরা এটি জেনেও তাদের গোপন অভিলাষ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। উদার ও সহনশীল মনোভাবসম্পন্ন মানুষের আবাসভূমি হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম ও মর্যাদা ছিল, বিগত দিনগুলোয় জঙ্গিদের অপতৎপরতার কারণে তার অনেকটাই ম্লান হয়েছে। দেশ থেকে সব ধরনের উগ্রপন্থা ও জঙ্গি কার্যক্রম নির্মূল করতে হলে যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সরকারকে নিতে হবে সেই চেষ্টা।
No comments