অতিদরিদ্র কমানোর চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে এখনো ৩ কোটি ৮৫ লাখ দরিদ্র মানুষ রয়েছে |
দারিদ্র্য
বিমোচন বিষয়টি বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষদের নিয়ে এক পরিহাসের নামান্তর হয়ে
দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি পরিণত হয়েছে হবুচন্দ্র রাজা আর গবুচন্দ্র মন্ত্রীর জুতা
আবিষ্কারের গল্পের একুশ শতকীয় উপাখ্যানে। তথ্য, উপাত্ত, তত্ত্ব দিয়ে বড় বড়
সেমিনার, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদের স্বপ্ন- দারিদ্র্যকে অমুক-তমুক সালে
জাদুঘরে পাঠিয়ে দেয়ার বাসনা-ঘোষণা শেষ পর্যন্ত নিষ্ফল যন্ত্রণার কারণই
হচ্ছে; দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে না। অধিকারবঞ্চিত মানুষ দারিদ্র্যসীমা
অতিক্রম করা দূরের কথা, দরিদ্রদের জন্য আয়োজিত বিস্কুট দৌড়ের প্রতিযোগিতাও
ব্যর্থ হয়ে, নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক শোষণের
নির্মম শিকার হয়ে-সংখ্যায় পরিণত হচ্ছে মাত্র; পরিণত হচ্ছে বিশিষ্ট সুশীলদের
গবেষণার পরিসংখ্যান জোগানোর পার্সেন্টেজ-এ।
দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা ও আইনপ্রণেতাদের ভূমিকা শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত অতিদরিদ্রের সংখ্যা কমানোই মূল চ্যালেঞ্জ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, গত ৫ বছরে দারিদ্র্য যথেষ্ট কমেছে। অর্থমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেছেন, আগামী ৩ বছরে দেশে দরিদ্রের হার কাক্সিক্ষত মাত্রায় অর্থাৎ ১৪ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু কেন্দ্রীভূত প্রশাসন দিয়ে অতিদারিদ্র্য কাক্সিক্ষত হারে কমিয়ে আনা যাবে না। বিকেন্দ্রীভূত প্রশাসন ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রীর উপরোক্ত অভিমত কোনো কথার কথা নয়। সত্যি কথা বলতে গেলে সেটাই সঠিক সমাধান। বাংলাদেশের প্রাণ, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের গ্রাম। ১৬ কোটি মানুষের দেশে দারিদ্র্যের দৈত্যকে পরাস্ত করতে হলে সবার আগে করণীয় হচ্ছে- বিকেন্দ্রীকরণ। এই প্রকৃত সত্য সমাধানটি গত বিশ-পঁচিশ বছরেও দেশের গণতান্ত্রিক শাসক বলে চিহ্নিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই বাংলাদেশের দুঃখ ঘুচছে না। ওই সংলাপ অনুষ্ঠানে দেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেছেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে পল্লী এলাকায় উদ্যোক্তা উন্নয়ন, দক্ষতার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে।
বলা যায় যে, কেন্দ্রীভূত প্রশাসন দেশের জন্য টিউমারে পরিণত হয়েছে। পরিণত হয়েছে বোঝায়। এই বোঝা কেবল দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধক নয়, প্রতিবন্ধক দেশের যে কোনো মঙ্গল ও উন্নয়নের। দেশের দরিদ্র মানুষ দান, ভিক্ষা, অনুদান, করুণার প্রত্যাশী নয়। তারা তাদের আপন শ্রমের ওপর, বাহুবলের ওপর আস্থাশীল। কেন্দ্রীভূত প্রশাসন সেই শ্রমের ওপর আস্থাশীল মানুষদের হদিস জানে না। তারা ভাবে উপর থেকে করুণা বিতরণ করে দারিদ্র্য দমন করে ফেলবেন। তাদের এই জুতা আবিষ্কার ফর্র্মুলা দারিদ্র্য দমন তো করেই না বরং বাড়িয়ে দেয়। অর্থমন্ত্রীর অভিমতের সঙ্গে আমরা ঐকমত্য পোষণ করি। আমরা চাই প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ সম্পন্ন হোক। তাহলে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলাদেশের মানুষ যে নিজেরাই যথেষ্ট, সে কথা তারা প্রমাণ করবেন।
দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা ও আইনপ্রণেতাদের ভূমিকা শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত অতিদরিদ্রের সংখ্যা কমানোই মূল চ্যালেঞ্জ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, গত ৫ বছরে দারিদ্র্য যথেষ্ট কমেছে। অর্থমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেছেন, আগামী ৩ বছরে দেশে দরিদ্রের হার কাক্সিক্ষত মাত্রায় অর্থাৎ ১৪ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু কেন্দ্রীভূত প্রশাসন দিয়ে অতিদারিদ্র্য কাক্সিক্ষত হারে কমিয়ে আনা যাবে না। বিকেন্দ্রীভূত প্রশাসন ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রীর উপরোক্ত অভিমত কোনো কথার কথা নয়। সত্যি কথা বলতে গেলে সেটাই সঠিক সমাধান। বাংলাদেশের প্রাণ, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের গ্রাম। ১৬ কোটি মানুষের দেশে দারিদ্র্যের দৈত্যকে পরাস্ত করতে হলে সবার আগে করণীয় হচ্ছে- বিকেন্দ্রীকরণ। এই প্রকৃত সত্য সমাধানটি গত বিশ-পঁচিশ বছরেও দেশের গণতান্ত্রিক শাসক বলে চিহ্নিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই বাংলাদেশের দুঃখ ঘুচছে না। ওই সংলাপ অনুষ্ঠানে দেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেছেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে পল্লী এলাকায় উদ্যোক্তা উন্নয়ন, দক্ষতার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে।
বলা যায় যে, কেন্দ্রীভূত প্রশাসন দেশের জন্য টিউমারে পরিণত হয়েছে। পরিণত হয়েছে বোঝায়। এই বোঝা কেবল দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধক নয়, প্রতিবন্ধক দেশের যে কোনো মঙ্গল ও উন্নয়নের। দেশের দরিদ্র মানুষ দান, ভিক্ষা, অনুদান, করুণার প্রত্যাশী নয়। তারা তাদের আপন শ্রমের ওপর, বাহুবলের ওপর আস্থাশীল। কেন্দ্রীভূত প্রশাসন সেই শ্রমের ওপর আস্থাশীল মানুষদের হদিস জানে না। তারা ভাবে উপর থেকে করুণা বিতরণ করে দারিদ্র্য দমন করে ফেলবেন। তাদের এই জুতা আবিষ্কার ফর্র্মুলা দারিদ্র্য দমন তো করেই না বরং বাড়িয়ে দেয়। অর্থমন্ত্রীর অভিমতের সঙ্গে আমরা ঐকমত্য পোষণ করি। আমরা চাই প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ সম্পন্ন হোক। তাহলে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলাদেশের মানুষ যে নিজেরাই যথেষ্ট, সে কথা তারা প্রমাণ করবেন।
No comments