বিপর্যয়ের মুখে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি by রাশিদুল ইসলাম
টানা
হরতাল ও অবরোধে খুলনার ব্যবসা-বাণিজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অবরোধে
দোকানপাট খোলা থাকলেও পণ্য পরিবহনে বাধা থাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের
ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। এ ছাড়া সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পারায়
রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে পাট ও চিংড়ি সেক্টরে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
হরতালে খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। যে
কারণে মালিক-কর্মচারীরা একপ্রকার কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ব্যাংকের ঋণ নিয়ে
যারা ব্যবসা পরিচালনা করেন তাদের সুদের টাকার হিসাব গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ অচল অবস্থা চলতে থাকলে তাদের পথে বসতে হবে। খুলনা
এক সময় শিল্প ও বন্দরনগরী হিসেবে খ্যাতি ছিল। ৯০ দশকে শিল্প কলকারখানা ও
ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা মন্দাভাব চলে আসে। তার পরও পাট ও চিংড়ি শিল্পের
কারণে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে। গত দু’মাস ধরে টানা
হরতাল ও অবরোধের কারণে ব্যাংকের ঋণের ওপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা
পড়েছেন সবচেয়ে বিপদে। পরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় কাঁচাপাট সময়মতো আসছে
না। এ কারণে সরকারি-বেসরকারি পাটকলগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার
উৎপাদিত পণ্য মংলাবন্দরে সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় শিপমেন্ট হচ্ছে না বলে
মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়। ফলে রপ্তানি চরম
বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে
দক্ষিণ-চশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
খুলনা নতুন বাজার এলাকার মুক্তা ফিশের মালিক হারুন হাওলাদার জানান, গত ২০ বছর ধরে চিংড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে আসছি। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো আর কখনও দুঃসময় যায়নি। মাঠপর্যায়ের চাষিরা যথাসময়ে মাছ নিয়ে আসতে পারছেন না। যা পাওয়া যায় তা আবার রপ্তানিকারকরা আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছে না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানিরা পড়ছেন সবচেয়ে বিপাকে। হরতালের কারণে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বেচা-কেনা না হওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মুদি দোকানদার আনন্দ সাহা জানান, হরতাল-অবরোধের আগে সপ্তাহে দুই লাখ টাকার মতো বেচা-কেনা হতো। এখন ১০ হাজার টাকাও হচ্ছে না। লাভতো দূরের কথা সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে। একইভাবে কথা বললেন এসএম শপিং কমপ্লেক্সের মোহাম্মাদীয়া ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মনজুরুল ইসলাম। তিনি জানান, হরতাল-অবরোধে বেচা-বিক্রি না থাকায় কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে পুঁজি ভেঙে। দুই নেত্রীর জেদাজেদির কারণে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। অভিজাত শ্রেণীর মার্কেট হিসেবে পরিচিত খুলনা নিউ মার্কেটের দোকানদাররা মোটা অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগ করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের মাত্র দু’দিন মার্কেট খোলা রাখা যায়। বাকি সময়টায় দোকান মালিকরা কর্মচারীদের বসিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে খুলনা নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান গোরা জানান, এ মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ব্যাংক লোনের উপর নির্ভরশীল। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ব্যাংকের সুদের টাকা তাদের গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, হরতাল-অবরোধ অব্যাহত থাকলে ব্যাবসা-বাণিজ্যে চরম ধস নামবে। এ অঞ্চলের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। তিনি বলেন, গত দুই মাসে ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠা খুবই কষ্টকর। এ অবস্থার অবসান হওয়া দরকার।
খুলনা নতুন বাজার এলাকার মুক্তা ফিশের মালিক হারুন হাওলাদার জানান, গত ২০ বছর ধরে চিংড়ি ক্রয়-বিক্রয় করে আসছি। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো আর কখনও দুঃসময় যায়নি। মাঠপর্যায়ের চাষিরা যথাসময়ে মাছ নিয়ে আসতে পারছেন না। যা পাওয়া যায় তা আবার রপ্তানিকারকরা আমাদের কাছ থেকে নিচ্ছে না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানিরা পড়ছেন সবচেয়ে বিপাকে। হরতালের কারণে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বেচা-কেনা না হওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মুদি দোকানদার আনন্দ সাহা জানান, হরতাল-অবরোধের আগে সপ্তাহে দুই লাখ টাকার মতো বেচা-কেনা হতো। এখন ১০ হাজার টাকাও হচ্ছে না। লাভতো দূরের কথা সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে। একইভাবে কথা বললেন এসএম শপিং কমপ্লেক্সের মোহাম্মাদীয়া ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মনজুরুল ইসলাম। তিনি জানান, হরতাল-অবরোধে বেচা-বিক্রি না থাকায় কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে পুঁজি ভেঙে। দুই নেত্রীর জেদাজেদির কারণে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। অভিজাত শ্রেণীর মার্কেট হিসেবে পরিচিত খুলনা নিউ মার্কেটের দোকানদাররা মোটা অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগ করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের মাত্র দু’দিন মার্কেট খোলা রাখা যায়। বাকি সময়টায় দোকান মালিকরা কর্মচারীদের বসিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে খুলনা নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান গোরা জানান, এ মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ব্যাংক লোনের উপর নির্ভরশীল। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ব্যাংকের সুদের টাকা তাদের গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, হরতাল-অবরোধ অব্যাহত থাকলে ব্যাবসা-বাণিজ্যে চরম ধস নামবে। এ অঞ্চলের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। তিনি বলেন, গত দুই মাসে ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠা খুবই কষ্টকর। এ অবস্থার অবসান হওয়া দরকার।
No comments