সুস্থ রাজনীতিতে সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হয় : ড. কামাল
বিশিষ্ট
আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, চলমান সঙ্কট সমাধানে
আলোচনা করা হবে না বলে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন তারা আসলে সুস্থ রাজনীতি করে
না। সুস্থ রাজনীতিতে সব সমস্যার সমাধান বৈঠক করে, আলোচনা করে সমাধান করতে
হয়। দেশের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের জন্য নিজেরা বসেই
সমস্যার সমাধান করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস কাব অডিটোরিয়ামে জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
ড. কামাল হোসেন একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আসলে সরকার কোনোভাবেই জাতীয়
ঐক্য চায় না বরং জাতীয় ঐক্য বিনষ্টে নানা ধরনের কৌশল নিচ্ছে। জনগণের ঐক্যে
কোনো ধরনের ভাঙন যেন ধরানো না যায় সে ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকতে আহ্বান
জানান। তিনি বলেন, জনগণের ঐক্য পারমাণবিক বোমার মতো মারাত্মক। তিনি আশাবাদ
ব্যক্ত করে সবাইকে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জনগণের বিজয়
অবশ্যই হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সম্প্রতি সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে তার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যকে আমলে না নিতে এবং পাল্টা কোনো মন্তব্য না করতে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এসব মন্তব্য করে আসল পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
জেএসডির উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলে এ আলোচনায় ড. কামাল হোসেন দেশের পুলিশ বাহিনীকে নিরপেভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ পুলিশকে নিরপেভাবে দেখতে চায়।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশে এখন সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য তিনি একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন পুনঃলিখন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘সাংবিধানিক কমিশন’ গঠন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এ তৃতীয় শক্তিই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে, সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন আনবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে।
অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মো: মনসুর, সাবেক এমপি এস এম আকরাম, জেএসডি নেতা আনোয়ার হোসেন, আতাউল করিম ফারুক, মো: সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আবদুল খালেক, দেলওয়ার হোসেন, জিয়া খোন্দকার, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সম্প্রতি সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে তার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যকে আমলে না নিতে এবং পাল্টা কোনো মন্তব্য না করতে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এসব মন্তব্য করে আসল পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
জেএসডির উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলে এ আলোচনায় ড. কামাল হোসেন দেশের পুলিশ বাহিনীকে নিরপেভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ পুলিশকে নিরপেভাবে দেখতে চায়।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশে এখন সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য তিনি একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন পুনঃলিখন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘সাংবিধানিক কমিশন’ গঠন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি’ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এ তৃতীয় শক্তিই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে, সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন আনবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে।
অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মো: মনসুর, সাবেক এমপি এস এম আকরাম, জেএসডি নেতা আনোয়ার হোসেন, আতাউল করিম ফারুক, মো: সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আবদুল খালেক, দেলওয়ার হোসেন, জিয়া খোন্দকার, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
No comments