পুলিশ-গোয়েন্দার সামনেই অপরাধ ঘটছে- সদা সতর্ক ভূমিকার বিকল্প নেই
আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর কঠোর বেষ্টনীর মধ্যেও মারাত্মক অপরাধ ঘটছে। এমনকি, সবার সামনে
হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও খুনিরা সহজেই সটকে পড়তে সক্ষম হচ্ছে। কোথাও বা
দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে বোমা-ককটেল ফাটিয়ে হামলা করছে। আর
চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই তো আছেই। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারি
সত্ত্বেও কেমন করে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হতে পারছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন দেখা
দিয়েছে। তদুপরি, ঘটনার পর দীর্ঘ সময়েও অপরাধী শনাক্ত হচ্ছে না। গতকাল
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনের শুরুতেই এ কথাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এতে
দৃষ্টান্ত হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংলগ্ন এলাকার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনের বক্তব্যÑ এ ক্যাম্পাসের প্রত্যেক প্রবেশদ্বারেই আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সতর্ক অবস্থান। কোনো কোনো পথে পুলিশের একাধিক টিম। তবুও ঘটছে একের
পর এক গুরুতর অপরাধ। সর্বশেষ, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে টিএসসির কাছেই নৃশংস
খুনের শিকার হলেন প্রবাসী ব্লগার-লেখক অভিজিৎ রায়। একই দুর্বৃত্তদের হাতে
মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন তার স্ত্রী রাফিদা। যেখানে এমন বর্বরোচিত খুনের
ঘটনা ঘটেছে, এর আশপাশে পুলিশের বেশ ক’টি টিম ছিল ডিউটিতে। বহু মানুষ ছিলেন এ
জায়গাটিতে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চার পাশেই এখন আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর কড়া পাহারা। এক দিকে শাহবাগ থানা, অন্য দিকে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি
তো বটেই, একেবারে কাছেই নিউমার্কেট থানা। অপর দিকে পুরনো হাইকোর্টের পাশে
আইসিটির দিবারাত্র পাহারা। তা ছাড়া মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ ফাঁড়ি। এলাকায়
শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বরে তো পুলিশ থাকেই। ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাস্থলের কাছেই রাস্তার দুই পাশে ছিল বইমেলার পুলিশ পাহারা আর গোয়েন্দা
নজরদারি। এ অবস্থায় একজন প্রবাসী লেখক-প্রকৌশলী সস্ত্রীক জনাকীর্ণ প্রধান
সড়কে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলার শিকার হওয়া এবং অদূরে পুলিশ থাকার পরও ঘাতকেরা
পালিয়ে যেতে পারা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
নয়া দিগন্তের ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীসহ গোটা দেশেই অপরাধ ঘটে চলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারার মধ্যেও। হরতাল-অবরোধে কিছু দূরপাল্লার যান চলছে; তাও পুলিশ পাহারায়। তবুও এসব যানবাহনে মাঝে মধ্যে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অথচ এর মধ্যেও সেখানে হামলা, ভাঙচুর, আগুন দেয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জাগলেও পুলিশ এড়িয়ে যাচ্ছে ‘চোরাগোপ্তা’ ঘটনা ঘটার কথা বলে।
মোটকথা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সন্তোষজনক নয় বলে জনগণের উদ্বেগ ও ভীতি দূর হচ্ছে না। বরং কোনো কোনো মারাত্মক ঘটনা শঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বাহিনীর যথেষ্ট দায়িত্ববোধ থাকলে তারা সদা সতর্ক থাকত এবং বড় কোনো সহিংসতা তখন ঘটার আশঙ্কা থাকত না। সুশাসনের জন্য প্রশাসন সৎ ও যোগ্য হতে হয়। এখন দুটোরই অভাব। প্রধানত রাজনৈতিক প্রভাব ও দলীয়করণে বিভিন্ন বাহিনী পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তারা পেশাদারি দক্ষতা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থার আশু অবসান জরুরি।
নয়া দিগন্তের ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীসহ গোটা দেশেই অপরাধ ঘটে চলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারার মধ্যেও। হরতাল-অবরোধে কিছু দূরপাল্লার যান চলছে; তাও পুলিশ পাহারায়। তবুও এসব যানবাহনে মাঝে মধ্যে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অথচ এর মধ্যেও সেখানে হামলা, ভাঙচুর, আগুন দেয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জাগলেও পুলিশ এড়িয়ে যাচ্ছে ‘চোরাগোপ্তা’ ঘটনা ঘটার কথা বলে।
মোটকথা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সন্তোষজনক নয় বলে জনগণের উদ্বেগ ও ভীতি দূর হচ্ছে না। বরং কোনো কোনো মারাত্মক ঘটনা শঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বাহিনীর যথেষ্ট দায়িত্ববোধ থাকলে তারা সদা সতর্ক থাকত এবং বড় কোনো সহিংসতা তখন ঘটার আশঙ্কা থাকত না। সুশাসনের জন্য প্রশাসন সৎ ও যোগ্য হতে হয়। এখন দুটোরই অভাব। প্রধানত রাজনৈতিক প্রভাব ও দলীয়করণে বিভিন্ন বাহিনী পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তারা পেশাদারি দক্ষতা হারিয়ে ফেলছে। এ অবস্থার আশু অবসান জরুরি।
No comments