সরবরাহ ৪০ শতাংশ কমেছে -মাহবুবুল আলম by মাসুদ মিলাদ
টানা
অবরোধ ও হরতালে দেশের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে দেশের প্রত্যন্ত
অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। সড়কপথে ঝুঁকির কারণে
বেড়েছে পণ্য পরিবহন ভাড়াও। বেচাকেনা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা
চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সহিংস কর্মসূচির কারণে ব্যবসার খরচ বেড়েছে।
প্রথম আলোর সঙ্গে সম্প্রতি আলাপকালে দেশের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের এমনই চিত্র তুলে ধরেছেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বারেরও সভাপতি।
মাহবুবুল আলম জানান, আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের সিংহভাগই আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এখান থেকে সড়ক ও নৌপথে সারা দেশে ভোগ্যপণ্য পরিবহন হয়। বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের অন্তত ৪০ শতাংশ আনেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। বন্দর সচল থাকায় আমদানি করা পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা প্রথমে তা স্থানীয় অন্তত ৪০০ গুদামে এনে রাখেন। এরপর বিক্রি হওয়া পণ্য গুদাম থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সচল থাকলেও প্রত্যন্ত এলাকা যেমন সিলেট, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলে পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ঝুঁকির কারণে এসব অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩৫-৪০ শতাংশ কম হচ্ছে। আবার কিছু পণ্য উত্তরাঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে আসে। এসব পণ্যও আসছে স্বাভাবিকের তুলনায় কম।
খাতুনগঞ্জে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অবরোধ-হরতালের এই বিরূপ প্রভাব দেশের গোটা অর্থনীতিতে বড় ক্ষত তৈরি করবে বলে মনে করেন মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জে শুধু ভোগ্যপণ্যই বেচাকেনা হয় না, রাসায়নিক, শিল্পের কাঁচামাল ও শিল্পজাত পণ্য এখান থেকে সারা দেশে পরিবহন হয়। অবরোধের কারণে এমনিতেই বেচাকেনা অন্তত ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব তুলে ধরে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাদের হিসাবে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ এলাকায় প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক সময়ে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার লেনদেন করে। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্য বেচাকেনা ৪০০ কোটি টাকার কম হবে না। আমদানিকারক থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী পর্যন্ত তিন-চার ধাপে পণ্য বেচাকেনা হয়। ফলে লেনদেনও হয় বেশি। অবরোধ ও হরতালের প্রভাবে এ বেচাকেনা প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।’
খাতুনগঞ্জে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ব্যাংকের লেনদেন কমেছে ৫০ শতাংশ। আগের গতিশীলতা এখন নেই।’
পণ্য বেচাকেনা, লেনদেন-ব্যবসা যত কমবে, ততই ব্যবসা চালানো কঠিন হবে ব্যবসায়ীদের জন্য। ব্যাংকের অর্থায়নে পণ্য আমদানি হয়। পণ্য আমদানি করে বিক্রি করতে না পারলে ব্যাংকের টাকা পরিশোধও কঠিন হবে ব্যবসায়ীদের জন্য। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ করার পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, প্রায় এক বছর আগে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে হিমশিম খেয়েছেন। সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন। তার আগেই আবার নতুন করে দীর্ঘ সময় ধরে সহিংস কর্মসূচির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও পাচ্ছেন না তাঁরা।
প্রথম আলোর সঙ্গে সম্প্রতি আলাপকালে দেশের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের এমনই চিত্র তুলে ধরেছেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বারেরও সভাপতি।
মাহবুবুল আলম জানান, আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের সিংহভাগই আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এখান থেকে সড়ক ও নৌপথে সারা দেশে ভোগ্যপণ্য পরিবহন হয়। বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের অন্তত ৪০ শতাংশ আনেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। বন্দর সচল থাকায় আমদানি করা পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা প্রথমে তা স্থানীয় অন্তত ৪০০ গুদামে এনে রাখেন। এরপর বিক্রি হওয়া পণ্য গুদাম থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সচল থাকলেও প্রত্যন্ত এলাকা যেমন সিলেট, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলে পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ঝুঁকির কারণে এসব অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩৫-৪০ শতাংশ কম হচ্ছে। আবার কিছু পণ্য উত্তরাঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে আসে। এসব পণ্যও আসছে স্বাভাবিকের তুলনায় কম।
খাতুনগঞ্জে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অবরোধ-হরতালের এই বিরূপ প্রভাব দেশের গোটা অর্থনীতিতে বড় ক্ষত তৈরি করবে বলে মনে করেন মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জে শুধু ভোগ্যপণ্যই বেচাকেনা হয় না, রাসায়নিক, শিল্পের কাঁচামাল ও শিল্পজাত পণ্য এখান থেকে সারা দেশে পরিবহন হয়। অবরোধের কারণে এমনিতেই বেচাকেনা অন্তত ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব তুলে ধরে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাদের হিসাবে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ এলাকায় প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক সময়ে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার লেনদেন করে। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্য বেচাকেনা ৪০০ কোটি টাকার কম হবে না। আমদানিকারক থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী পর্যন্ত তিন-চার ধাপে পণ্য বেচাকেনা হয়। ফলে লেনদেনও হয় বেশি। অবরোধ ও হরতালের প্রভাবে এ বেচাকেনা প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।’
খাতুনগঞ্জে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ব্যাংকের লেনদেন কমেছে ৫০ শতাংশ। আগের গতিশীলতা এখন নেই।’
পণ্য বেচাকেনা, লেনদেন-ব্যবসা যত কমবে, ততই ব্যবসা চালানো কঠিন হবে ব্যবসায়ীদের জন্য। ব্যাংকের অর্থায়নে পণ্য আমদানি হয়। পণ্য আমদানি করে বিক্রি করতে না পারলে ব্যাংকের টাকা পরিশোধও কঠিন হবে ব্যবসায়ীদের জন্য। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ করার পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, প্রায় এক বছর আগে ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে হিমশিম খেয়েছেন। সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন। তার আগেই আবার নতুন করে দীর্ঘ সময় ধরে সহিংস কর্মসূচির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও পাচ্ছেন না তাঁরা।
No comments