‘রাজনৈতিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে’
চলমান
রাজনৈতিক সঙ্কটের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী
পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেছেন, সরকার একটি ন্যায্য
রাজনৈতিক আন্দোলনকে ধ্বংসাত্মক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করার
ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের একগুঁয়েমির কারণে পরিস্থিতি জটিল থেকে
জটিলতর হচ্ছে। অস্ত্রের ভাষা যে রাজনীতির ভাষা হতে পারে না, সে কথা
কিছুতেই তারা বুঝতে চাচ্ছে না। ফলে ভবিষ্যত নিয়ে গোটা জাতি আজ চিন্তিত।
চারদিকে আজ দম বন্ধকর অবস্থা। রুহুল আমীন গাজী বলেন, আজ দু’মাস ধরে
প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ এক প্রকার অচল হয়ে আছে। একদিকে চলছে জনগণের
প্রতিরোধ আন্দোলন, অবরোধ-হরতাল অন্যদিকে সরকারী বাহিনীর বন্দুকের গুলিতে ও
সহিংসতায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত ও দগ্ধ মানুষের সারি। চলমান আন্দোলনকে সন্ত্রাসী
আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন বাহিনী সরাসরি বুকে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। হত্যার
পর বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে বলে কল্পকাহিনী প্রচার করছে। কোনো
কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্মীদের গাড়ি চাপা দিয়ে কিংবা শরীরে অসংখ্য
গুলিবিদ্ধ মৃত ব্যক্তিকে গণপিটুনীতে মৃত বলে দেখানো হচ্ছে। অবরোধের ৫৭ দিনে
সহিংসতা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ১১৩ জন নিহত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাযহারুল আনোয়ার। উপস্থিত ছিলেন ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, এ্যাব’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, বিএসএমএমইউর সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাযহারুল আনোয়ার। উপস্থিত ছিলেন ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, এ্যাব’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, বিএসএমএমইউর সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া প্রমুখ।
No comments