অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব মানে না ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদ্যঘোষিত এক
নীতিমালায় বলেছে, জোটটি গোলান মালভূমি, ফিলিস্তিনশাসিত গাজা ও পশ্চিম তীর
এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে না। গতকাল
শুক্রবার ইইউর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সংস্থাটির নিজস্ব সাময়িকীতে এ
নীতিমালা প্রকাশিত হয়েছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি আলোচনা আবার শুরুর
ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির তোড়জোড়ের মধ্যে ইইউ তার এই
অবস্থানের কথা প্রকাশ করল। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার শান্তি
আলোচনা শুরুর বিষয়ে কেরির পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার দাবি তোলে। এরপর
গতকাল ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচকের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেন মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার ইইউর সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই নীতিমালায় ইইউর
সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে ইসরায়েলের দখল করা ভূখণ্ডে সক্রিয় ইহুদি কোনো সংগঠনকে
কোনো ধরনের সহায়তা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল
যুদ্ধের আগের সীমানা বিবেচনা করে সহায়তা দেওয়া যাবে। ইইউর সাময়িকীতে বলা
হয়, ‘ইইউ পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা ও পশ্চিম তীর এবং গোলান মালভূমিতে
ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। আইনগত দিক থেকে এসব এলাকাকে
ইসরায়েলি অংশ বলে বিবেচনাও করে না ইইউ।’ এদিকে এ বিষয়ে কয়েকটি পশ্চিমা
দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসরায়েল। বৈঠকে দেশটি হুঁশিয়ার করে
দিয়ে বলেছে, ইইউর এই উদ্যোগের ফলে জোটটির সঙ্গে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক
প্রভাব পড়তে পারে। তেল আবিবে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্তফ বিগোত
বলেন, ‘আমি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এটি অধিকৃত ভূখণ্ডে
ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের বিষয়ে ইইউর আগের অবস্থানেরই ধারাবাহিকতা মাত্র।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি গতকাল ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব
এরেকাতের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছেন। একই দিনে দ্বিতীয়বার বৈঠকের
বিষয়টি অনেককে বিস্মিত করেছে। এএফপি ও রয়টার্স।
No comments