দেশে অর্থ প্রেরণ বার্কলেজকে রুশনারা আলীর অনুরোধ
যুক্তরাজ্যের বার্কলেজ ব্যাংক বাংলাদেশসহ
বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশে অর্থ পাঠানোর কাজে নিয়োজিত মানি ট্রান্সফার
এজেন্সিগুলোর সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
এই উদ্যোগ থেকে বার্কলেজকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী।
গত সোমবার যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি নিবন্ধে রুশনারা আলী লিখেছেন, ‘আমাকে যাঁরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের একজন ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে থাকা তাঁর পরিবার ও তাঁদের প্রতিবেশীদের জন্য অর্থ পাঠিয়ে আসছেন। দেশে থাকা বিধবা ভাতিজিকে তাঁর তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনা ও চিকিৎসার খরচ দিয়ে সাহায্য করছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় তাঁরা বাস করেন। এ জন্য অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে লন্ডনের ব্রিকলেনভিত্তিক একটি বাংলাভাষী অর্থ প্রেরণকারী এজেন্টের সহায়তা নিয়ে থাকেন তিনি। ওই এজেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থানীয় এজেন্টদের ভালো যোগাযোগ থাকায় তারা তুলনামূলক কম কমিশন নিয়ে বাংলাদেশে অর্থ পৌঁছে দিতে পারে।’
রুশনারা আরও লিখেছেন, ‘সম্প্রতি বার্কলেজ ব্যাংক এসব এজেন্সির সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ৭০ শতাংশ অর্থ প্রেরণকারী এজেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে হাজার হাজার পরিবারের ওপর। অর্থ প্রেরণকারী এজেন্টগুলো অপরাধমূলক তৎপরতার বিষয় যথাযথভাবে যাচাই করতে সমর্থ হয় না—এমন বিবেচনা থেকে বার্কলেজ এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিজ কার্যক্রমের পর্যালোচনা করা অবশ্যই বার্কলেজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু হঠাৎ করে তারা যদি এমন নিষ্ঠুর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে সারা বিশ্বের লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আর্থিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
নিবন্ধে রুশনারা আলী বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে লেবার পার্টির ৪৫ জন এমপি এবং আমি চিঠি দিয়ে বার্কলেজকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছি। আমরা বার্কলেজকে বলেছি, অর্থ প্রেরণকারী কোম্পানিগুলোকে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য, যাতে এই সময়ের মধ্যে সরকার ও নজরদারি কর্তৃপক্ষগুলো এ ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখার জন্য উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ পায়।’ দ্য গার্ডিয়ান।
গত সোমবার যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি নিবন্ধে রুশনারা আলী লিখেছেন, ‘আমাকে যাঁরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের একজন ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে থাকা তাঁর পরিবার ও তাঁদের প্রতিবেশীদের জন্য অর্থ পাঠিয়ে আসছেন। দেশে থাকা বিধবা ভাতিজিকে তাঁর তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনা ও চিকিৎসার খরচ দিয়ে সাহায্য করছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় তাঁরা বাস করেন। এ জন্য অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে লন্ডনের ব্রিকলেনভিত্তিক একটি বাংলাভাষী অর্থ প্রেরণকারী এজেন্টের সহায়তা নিয়ে থাকেন তিনি। ওই এজেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থানীয় এজেন্টদের ভালো যোগাযোগ থাকায় তারা তুলনামূলক কম কমিশন নিয়ে বাংলাদেশে অর্থ পৌঁছে দিতে পারে।’
রুশনারা আরও লিখেছেন, ‘সম্প্রতি বার্কলেজ ব্যাংক এসব এজেন্সির সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ৭০ শতাংশ অর্থ প্রেরণকারী এজেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে হাজার হাজার পরিবারের ওপর। অর্থ প্রেরণকারী এজেন্টগুলো অপরাধমূলক তৎপরতার বিষয় যথাযথভাবে যাচাই করতে সমর্থ হয় না—এমন বিবেচনা থেকে বার্কলেজ এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিজ কার্যক্রমের পর্যালোচনা করা অবশ্যই বার্কলেজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু হঠাৎ করে তারা যদি এমন নিষ্ঠুর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে সারা বিশ্বের লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আর্থিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
নিবন্ধে রুশনারা আলী বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে লেবার পার্টির ৪৫ জন এমপি এবং আমি চিঠি দিয়ে বার্কলেজকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছি। আমরা বার্কলেজকে বলেছি, অর্থ প্রেরণকারী কোম্পানিগুলোকে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য, যাতে এই সময়ের মধ্যে সরকার ও নজরদারি কর্তৃপক্ষগুলো এ ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখার জন্য উপায় খুঁজে বের করার সুযোগ পায়।’ দ্য গার্ডিয়ান।
No comments