কার্যালয় ঘেরাও উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা প্রকৌশলীর
বিরুদ্ধে শ্রমিক দলপতিদের এক বছরের পরিবহন বিলের দেড় লক্ষাধিক টাকা
আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টাকার দাবিতে শ্রমিকেরা গত বৃহস্পতিবার ওই
প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল
অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় ও শ্রমিক দলপতিদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব
খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায়
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে কান্ট্রি প্রোগ্রামের কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন
করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০১২-১৩ অর্থবছরে
প্রকল্পের আওতায় ওই তিনটি ইউনিয়নে এক হাজার শ্রমিকের জন্য ছয়টি ইউজার কমিটি
গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক দলপতির দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মসূচির আওতায় শ্রমিকদের মজুরি বাবদ দেওয়া চাল, তেল ও ডাল উপজেলা সদর থেকে তুলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কমিটিগুলোর ১২ জন সভাপতি ও সম্পাদক বছরে দুই কিস্তিতে পরিবহন খরচ বাবদ মোট এক লাখ ৫৪ হাজার ৪২২ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু গত ৩০ জুন অর্থবছর পার হলেও কোনো টাকা না পাওয়ায় দলপতিরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, উপজেলা প্রকৌশলী আবদুস ছাত্তার হাওলাদার ওই টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
টাকার দাবিতে শ্রমিক দলপতিরা গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের শান্ত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রকৌশলী ১২ জন দলপতিকে এক হাজার টাকা করে প্রদান করেন এবং বাকি টাকা আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা চলে যান।
সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ইউজার কমিটির সভাপতি শহিতন বেগম ও সাধারণ সম্পাদক রংমালা খাতুন বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার সাহেব হামার টাকা না দিয়া টিপসই নেয়। গত ৩০ জুন বিল তুলি ট্যাকা মাইরা দেয়। কোদালকাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ইউজার কমিটির সভাপতি জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমগর ট্যাহা ইঞ্জিনিয়ার মাইরা খাইছে। খবর পাইয়া অফিসে আটক দেই। এক হাজার ট্যাকা দিয়া কয় সাত দিন পর বাকি ট্যাকা দিমু।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন জানান, প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সাত দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবদুস ছাত্তার হাওলাদার টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অনুমতি নিয়ে এই টাকায় একটি কাজ করা হয়েছে। শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাব।’
কর্মসূচির আওতায় শ্রমিকদের মজুরি বাবদ দেওয়া চাল, তেল ও ডাল উপজেলা সদর থেকে তুলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কমিটিগুলোর ১২ জন সভাপতি ও সম্পাদক বছরে দুই কিস্তিতে পরিবহন খরচ বাবদ মোট এক লাখ ৫৪ হাজার ৪২২ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু গত ৩০ জুন অর্থবছর পার হলেও কোনো টাকা না পাওয়ায় দলপতিরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, উপজেলা প্রকৌশলী আবদুস ছাত্তার হাওলাদার ওই টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
টাকার দাবিতে শ্রমিক দলপতিরা গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের শান্ত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রকৌশলী ১২ জন দলপতিকে এক হাজার টাকা করে প্রদান করেন এবং বাকি টাকা আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা চলে যান।
সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ইউজার কমিটির সভাপতি শহিতন বেগম ও সাধারণ সম্পাদক রংমালা খাতুন বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার সাহেব হামার টাকা না দিয়া টিপসই নেয়। গত ৩০ জুন বিল তুলি ট্যাকা মাইরা দেয়। কোদালকাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ইউজার কমিটির সভাপতি জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমগর ট্যাহা ইঞ্জিনিয়ার মাইরা খাইছে। খবর পাইয়া অফিসে আটক দেই। এক হাজার ট্যাকা দিয়া কয় সাত দিন পর বাকি ট্যাকা দিমু।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন জানান, প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সাত দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবদুস ছাত্তার হাওলাদার টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অনুমতি নিয়ে এই টাকায় একটি কাজ করা হয়েছে। শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাব।’
No comments