গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে বক্তারা গোলাম আযমের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করতে হবে
অবিলম্বে গোলাম আযমের রায়ের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের দাবি তুলেছে গণজাগরণ মঞ্চ। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের
ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা।
গতকাল
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে
বক্তারা এসব দাবি জানান। সমাবেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয়
দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি এবং গোলাম আযমের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ২৬ ও ২৭ জুলাই শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আলোকচিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইতিহাসের পোর্ট্রেট’ শীর্ষক প্রদর্শনী। বেলা তিনটা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এই প্রদর্শনীতে নিয়ে আসার জন্য গণজাগরণ মঞ্চ থেকে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়।
সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘গোলাম আযমকে বয়সের যে অজুহাত দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না, তা অপ্রত্যাশিত। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করলে সুযোগ থাকলে সংক্ষুব্ধ হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরাই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
এ সময় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ডা. ইমরান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান থেকে শুরু করে মুজাহিদ পর্যন্ত প্রতিটি রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, জামায়াত একটি অপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন। তাহলে কিসের এত অপেক্ষা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার? নির্বাচন কমিশন থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হোক।’
ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, ‘গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো এবং ঠিক এক দিন পর মুজাহিদের ফাঁসির রায় হলো। এ ধরনের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আদর্শের যুদ্ধে যখন আমরা নেমেছি, তখন নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। আদর্শের লড়াইয়ে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ‘নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান, মুক্তিযোদ্ধা আবেদা সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা ও উন্নয়নকর্মী রোকেয়া কবীর, মুক্তিযোদ্ধা সাইফ রাজু, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, নারী আন্দোলনের কর্মী শিপ্রা বসু প্রমুখ।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি এবং গোলাম আযমের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ২৬ ও ২৭ জুলাই শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আলোকচিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইতিহাসের পোর্ট্রেট’ শীর্ষক প্রদর্শনী। বেলা তিনটা থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এই প্রদর্শনীতে নিয়ে আসার জন্য গণজাগরণ মঞ্চ থেকে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়।
সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘গোলাম আযমকে বয়সের যে অজুহাত দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না, তা অপ্রত্যাশিত। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করলে সুযোগ থাকলে সংক্ষুব্ধ হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরাই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
এ সময় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ডা. ইমরান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান থেকে শুরু করে মুজাহিদ পর্যন্ত প্রতিটি রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, জামায়াত একটি অপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন। তাহলে কিসের এত অপেক্ষা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার? নির্বাচন কমিশন থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হোক।’
ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, ‘গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো এবং ঠিক এক দিন পর মুজাহিদের ফাঁসির রায় হলো। এ ধরনের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার রাজনীতি আমরা দেখতে চাই না।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আদর্শের যুদ্ধে যখন আমরা নেমেছি, তখন নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। আদর্শের লড়াইয়ে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ‘নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান, মুক্তিযোদ্ধা আবেদা সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা ও উন্নয়নকর্মী রোকেয়া কবীর, মুক্তিযোদ্ধা সাইফ রাজু, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, নারী আন্দোলনের কর্মী শিপ্রা বসু প্রমুখ।
No comments