এমন রায় কে চেয়েছিল ... by মো. শরিফুল ইসলাম খান
লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আমার
ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই
নাই। আমার সোনার বাংলায় আলবদরের ঠাঁই নাই।
বাংলার তরুণ
সমাজ যে কথাগুলো বলে স্লোগান দিয়ে আসছিল, মনের ভেতরের অদম্য শক্তিকে বিকশিত
করেছিল, যে স্লোগানে ভর করে তারা বাঙালি জাতির মুক্তি চেয়েছিল, এই স্লোগান
আজ থেকে আর দিতে চাইবে? উল্টো তারা ভাবছে তারা বুঝি একটি দুঃস্বপ্নই
দেখেছিল।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ছিল রাজাকার পরিকল্পনাকারী। এ ছাড়া তার নেতৃত্বে রাজাকার আর আলবদররা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছিল। শুধু তাই নয়, তার নির্দেশে জেলা কারাগার থেকে অসংখ্য মুক্তিকামী জনতাকে বের করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গণহত্যা চালানো হয়। তার অপরাধে কয়েকবার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য ছিল। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? একজন খুনি, ধর্ষক, ব্যভিচারীর যদি ফাঁসি না হয় তাহলে এ দেশে এমন কী অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে? যদি সীমাহীন অন্যায় করেও এ দেশের কোনো ব্যক্তি চূড়ান্ত শাস্তি না পায়, তা হলে এ দেশে কোন অপরাধীর শাস্তি হবে? রাজাকারের ফাঁসি দেওয়া সম্ভব না হলে দেশে যে হাজার হাজার খুনি, ধর্ষক, লম্পট দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা তো এখন থেকে নিশ্চিত হয়ে গেল তাদের অন্তত ফাঁসি হবে না। কারণ তাদের চেয়ে বড় বড় অপরাধীরই তো শাস্তি হয় না।
মহামান্য আদালত, আমাকে মাফ করে দিন। অন্যায় করে এসে এমন কথাটি জোর গলায়ই কোর্টে বলতে পারবে বিকৃত মস্তিষ্কের একদল লোক।
এই রায় বিশ্লেষণ করে এখনও ভয় হয়_ রাজাকারের বিচার সঠিকভাবে হবে কি-না! কিন্তু বাঙালি জাতি এমন তো চায়নি। তারা চায়নি রাজাকারের জন্য কোনো বাঙালি মায়ের সন্তান হরতাল পালন করবে। অথচ রাজাকাররা তাদের আধ্যাত্মিক গুরু বলে গোলাম আযমকে তাদের গুরু হিসেবে ফলপ্রসূভাবে প্রমাণ করতে সফল হচ্ছে যে, দেশের প্রবীণতম নেতা, শিক্ষিত, বহু গ্রন্থের প্রণেতা, তার অজস্র সমর্থক যেন নির্দোষ। সে কোনো অন্যায় করেনি। ৪২ বছর আগে যা করেছিল, তা বাস্তবতার প্রেক্ষাপটেই করেছিল। কোনো ভুল করেনি। করলেও করেছে। তাই বলে একজন ইমানদার ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে কেন? এমন বাণীও শোনা গেছে বিবিসি ফোনালাপ অনুষ্ঠানে।
সরকার আসলে নিজেরা রাজাকারের শাস্তি চায় কিনা_ এ নিয়েও সংশয় এখন জনমনে। রায়ে আওয়ামী লীগ খুশি। রায়ে জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সরকারের তেমন সদিচ্ছা নেই। সরকার রাজাকার ইস্যু কাজে লাগিয়ে আবার ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। তা যেহেতু হচ্ছে না, কাজেই সরকারের সদিচ্ছা কেমন করে থাকবে! এখন জনগণের অনুমান সঠিক বলে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও প্রতিটি সরকার জনগণকে বরাবরই বোকা মনে করে।
গোলাম আযমের রায়ের কথা শুনে শাহবাগে হাসাহাসি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গোলাম আযমের নিজ গ্রামের এক বৃদ্ধা আফসোস করে তাই বলছেন_ গেরামডা আর মনে হয় পাপমুক্ত হলো না...! গোলাম আযমের এমন রায় কখনোই চায়নি মানুষ।
য় মো. শরিফুল ইসলাম খান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ছিল রাজাকার পরিকল্পনাকারী। এ ছাড়া তার নেতৃত্বে রাজাকার আর আলবদররা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছিল। শুধু তাই নয়, তার নির্দেশে জেলা কারাগার থেকে অসংখ্য মুক্তিকামী জনতাকে বের করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গণহত্যা চালানো হয়। তার অপরাধে কয়েকবার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য ছিল। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? একজন খুনি, ধর্ষক, ব্যভিচারীর যদি ফাঁসি না হয় তাহলে এ দেশে এমন কী অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে? যদি সীমাহীন অন্যায় করেও এ দেশের কোনো ব্যক্তি চূড়ান্ত শাস্তি না পায়, তা হলে এ দেশে কোন অপরাধীর শাস্তি হবে? রাজাকারের ফাঁসি দেওয়া সম্ভব না হলে দেশে যে হাজার হাজার খুনি, ধর্ষক, লম্পট দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা তো এখন থেকে নিশ্চিত হয়ে গেল তাদের অন্তত ফাঁসি হবে না। কারণ তাদের চেয়ে বড় বড় অপরাধীরই তো শাস্তি হয় না।
মহামান্য আদালত, আমাকে মাফ করে দিন। অন্যায় করে এসে এমন কথাটি জোর গলায়ই কোর্টে বলতে পারবে বিকৃত মস্তিষ্কের একদল লোক।
এই রায় বিশ্লেষণ করে এখনও ভয় হয়_ রাজাকারের বিচার সঠিকভাবে হবে কি-না! কিন্তু বাঙালি জাতি এমন তো চায়নি। তারা চায়নি রাজাকারের জন্য কোনো বাঙালি মায়ের সন্তান হরতাল পালন করবে। অথচ রাজাকাররা তাদের আধ্যাত্মিক গুরু বলে গোলাম আযমকে তাদের গুরু হিসেবে ফলপ্রসূভাবে প্রমাণ করতে সফল হচ্ছে যে, দেশের প্রবীণতম নেতা, শিক্ষিত, বহু গ্রন্থের প্রণেতা, তার অজস্র সমর্থক যেন নির্দোষ। সে কোনো অন্যায় করেনি। ৪২ বছর আগে যা করেছিল, তা বাস্তবতার প্রেক্ষাপটেই করেছিল। কোনো ভুল করেনি। করলেও করেছে। তাই বলে একজন ইমানদার ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে কেন? এমন বাণীও শোনা গেছে বিবিসি ফোনালাপ অনুষ্ঠানে।
সরকার আসলে নিজেরা রাজাকারের শাস্তি চায় কিনা_ এ নিয়েও সংশয় এখন জনমনে। রায়ে আওয়ামী লীগ খুশি। রায়ে জনপ্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সরকারের তেমন সদিচ্ছা নেই। সরকার রাজাকার ইস্যু কাজে লাগিয়ে আবার ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। তা যেহেতু হচ্ছে না, কাজেই সরকারের সদিচ্ছা কেমন করে থাকবে! এখন জনগণের অনুমান সঠিক বলে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও প্রতিটি সরকার জনগণকে বরাবরই বোকা মনে করে।
গোলাম আযমের রায়ের কথা শুনে শাহবাগে হাসাহাসি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গোলাম আযমের নিজ গ্রামের এক বৃদ্ধা আফসোস করে তাই বলছেন_ গেরামডা আর মনে হয় পাপমুক্ত হলো না...! গোলাম আযমের এমন রায় কখনোই চায়নি মানুষ।
য় মো. শরিফুল ইসলাম খান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments