যানবাহনের গ্যাস পুড়ছে বাড়ি ও কলকারখানায় by মোহামঞ্চদ আলম
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি)
সিলিন্ডারের মাধ্যমে অবৈধভাবে শিল্পকারখানা ও বাসাবাড়িতে জ্বালানি হিসেবে
ব্যবহার করা হচ্ছে। কারখানা ও বাড়ির মালিকেরা ভ্যানে সিলিন্ডার স্থাপন করে
সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নিয়ে ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি
সরকারিভাবে গ্যাস সংযোগের ঘোষণা দেওয়া হলেও সিএনজি স্টেশনের মালিকদের
সহায়তায় গাজীপুরের টঙ্গীতে এভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। তা ছাড়া
অরক্ষিতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বহন করার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি টঙ্গীর আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত ১২টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে আলম, স্পিড ওয়েল, বেপকো, নির্ভানা, ওয়ান স্টপ, আফতাব, কাইয়ুম, আনুদিপ, সেরিনা, রহিমআফরোজ, ইনভাইরো ও রানা সিএনজি স্টেশন। এর মধ্যে রানা সিএনজি স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। বাকি ১১টির মধ্যে অধিকাংশ স্টেশন থেকে ভ্যানে স্থাপিত সিলিন্ডারে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাজারে বিভিন্ন আকারের গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত ৬০, ৯০ ও ১৩০ লিটার ধারণ ক্ষমতার সিলিন্ডার ভ্যানে স্থাপন করা হয়। বহনের সুবিধার জন্য ৯০ লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি বা তিনটি সিলিন্ডার স্থাপন করে ভ্যান তৈরি করা হয়। দুটি ৯০ লিটারের সিলিন্ডার দিয়ে প্রতিবারে ৪৫ ঘনমিটার সিএনজি ব্যবহার করা যায়। এ জন্য গ্যাসের মূল্য বাবদ খরচ পড়ে মাত্র এক হাজার ৩৫০ টাকা। ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস দিয়ে একটি পরিবার দুই চুলা ব্যবহার করে এক মাস রান্নার কাজ করতে পারে। একই পরিমাণ এলপি গ্যাস দিয়ে রান্না করতে গেলে প্রতি মাসে একটি পরিবারের তিন হাজার ৪০০ টাকা খরচ হবে।
সরকারিভাবে ২০১০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ ছিল। ওই সময় থেকে কারখানা বা বাড়ির মালিকেরা দক্ষ কারিগরের সহায়তায় সিএনজি ব্যবহার করছে।
১৬ জুলাই মাছিমপুর এলাকার সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় একজন ভ্যানচালকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকার এক বাড়ির মালিক তাঁর নিজের ফ্ল্যাট ও ভাড়াটেদের ১২টি গ্যাসের চুলা জ্বালানোর জন্য দুটি ৯০ লিটার ধারণ ক্ষমতার সিলিন্ডার দিয়ে ভ্যান তৈরি করেছেন। পাঁচ দিন পর পর তিনি সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস কিনে আনেন। এতে প্রতি মাসে তাঁর আট হাজার টাকা খরচ হয়।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, টঙ্গী বিসিক এলাকার রেডিসন ওয়াশিং প্ল্যান্ট লিমিটেড নামের একটি কারখানার ভবনের বাইরে গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। ওই সিলিন্ডার থেকে পাইপের মাধ্যমে কারখানার ভেতরে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারিগর জানান, সিএনজি স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় গ্যাসের চাপ ২০০ পিএসআই (গ্যাসের চাপ) থাকে। উন্নত প্রযুক্তির সিএনজি প্রেসার রিডিউসিং ভাল্ব ব্যবহারের মাধ্যমে পিএসআই চার ভাগ কমিয়ে আনা হয়। অল্প চাপের এ গ্যাস সহজেই রান্না বা কারখানায় আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
রেডিসন ওয়াশিং প্ল্যান্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক এস এম সুলতান হায়দার বলেন, ‘সিলিন্ডারের মাধ্যমে সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস কিনে ব্যবহার করছি। এভাবে গ্যাস ব্যবহার করা যে অবৈধ তা আমার জানা নাই।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী হাকিম রাজা মুহমঞ্চদ আবদুল হাই জানান, সিএনজি স্টেশন থেকে যানবাহন ছাড়া অন্য যেকোনোভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস বহন করে বাসাবাড়ি বা কারখানায় ব্যবহার করাও অপরাধ।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির টঙ্গীর আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সেলিম জানান, এভাবে সিএনজি বহন করা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বারবার গ্যাস সরবরাহের জন্য মুখ খোলার ফলে সিলিন্ডারের নিরাপত্তা ক্যাপ দুর্বল হয়ে যায়। এতে রাস্তায় চলাচলের সময় দুর্বল মুখ দিয়ে গ্যাস নির্গমনের ফলে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি টঙ্গীর আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত ১২টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে আলম, স্পিড ওয়েল, বেপকো, নির্ভানা, ওয়ান স্টপ, আফতাব, কাইয়ুম, আনুদিপ, সেরিনা, রহিমআফরোজ, ইনভাইরো ও রানা সিএনজি স্টেশন। এর মধ্যে রানা সিএনজি স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। বাকি ১১টির মধ্যে অধিকাংশ স্টেশন থেকে ভ্যানে স্থাপিত সিলিন্ডারে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাজারে বিভিন্ন আকারের গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত ৬০, ৯০ ও ১৩০ লিটার ধারণ ক্ষমতার সিলিন্ডার ভ্যানে স্থাপন করা হয়। বহনের সুবিধার জন্য ৯০ লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি বা তিনটি সিলিন্ডার স্থাপন করে ভ্যান তৈরি করা হয়। দুটি ৯০ লিটারের সিলিন্ডার দিয়ে প্রতিবারে ৪৫ ঘনমিটার সিএনজি ব্যবহার করা যায়। এ জন্য গ্যাসের মূল্য বাবদ খরচ পড়ে মাত্র এক হাজার ৩৫০ টাকা। ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস দিয়ে একটি পরিবার দুই চুলা ব্যবহার করে এক মাস রান্নার কাজ করতে পারে। একই পরিমাণ এলপি গ্যাস দিয়ে রান্না করতে গেলে প্রতি মাসে একটি পরিবারের তিন হাজার ৪০০ টাকা খরচ হবে।
সরকারিভাবে ২০১০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ ছিল। ওই সময় থেকে কারখানা বা বাড়ির মালিকেরা দক্ষ কারিগরের সহায়তায় সিএনজি ব্যবহার করছে।
১৬ জুলাই মাছিমপুর এলাকার সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় একজন ভ্যানচালকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকার এক বাড়ির মালিক তাঁর নিজের ফ্ল্যাট ও ভাড়াটেদের ১২টি গ্যাসের চুলা জ্বালানোর জন্য দুটি ৯০ লিটার ধারণ ক্ষমতার সিলিন্ডার দিয়ে ভ্যান তৈরি করেছেন। পাঁচ দিন পর পর তিনি সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস কিনে আনেন। এতে প্রতি মাসে তাঁর আট হাজার টাকা খরচ হয়।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, টঙ্গী বিসিক এলাকার রেডিসন ওয়াশিং প্ল্যান্ট লিমিটেড নামের একটি কারখানার ভবনের বাইরে গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। ওই সিলিন্ডার থেকে পাইপের মাধ্যমে কারখানার ভেতরে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারিগর জানান, সিএনজি স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় গ্যাসের চাপ ২০০ পিএসআই (গ্যাসের চাপ) থাকে। উন্নত প্রযুক্তির সিএনজি প্রেসার রিডিউসিং ভাল্ব ব্যবহারের মাধ্যমে পিএসআই চার ভাগ কমিয়ে আনা হয়। অল্প চাপের এ গ্যাস সহজেই রান্না বা কারখানায় আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
রেডিসন ওয়াশিং প্ল্যান্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক এস এম সুলতান হায়দার বলেন, ‘সিলিন্ডারের মাধ্যমে সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস কিনে ব্যবহার করছি। এভাবে গ্যাস ব্যবহার করা যে অবৈধ তা আমার জানা নাই।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী হাকিম রাজা মুহমঞ্চদ আবদুল হাই জানান, সিএনজি স্টেশন থেকে যানবাহন ছাড়া অন্য যেকোনোভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস বহন করে বাসাবাড়ি বা কারখানায় ব্যবহার করাও অপরাধ।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির টঙ্গীর আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সেলিম জানান, এভাবে সিএনজি বহন করা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া বারবার গ্যাস সরবরাহের জন্য মুখ খোলার ফলে সিলিন্ডারের নিরাপত্তা ক্যাপ দুর্বল হয়ে যায়। এতে রাস্তায় চলাচলের সময় দুর্বল মুখ দিয়ে গ্যাস নির্গমনের ফলে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে।
No comments