মানবতাবিরোধী অপরাধ-অপরাধী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক
মানবতাবিরোধী অপরাধের সংগঠক দল হিসেবে
জামায়াতকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ও নিষিদ্ধের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু
আইনগত বাধার কারণে অনেক দিন এই জনদাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
আইন
সংশোধনের পর সে বাধা দূর হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে রায় দেওয়া হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট করেই সংগঠনটির
অপরাধের কথা বলা হচ্ছে। অথচ সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
না। সম্প্রতি গোলাম আযম ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধ মামলার
রায়েও আদালতের পর্যবেক্ষণ থেকে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। একাত্তরে
মানবতাবিরোধী অপরাধকারী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার বা দলটিকে
নিষিদ্ধের বিষয়টি তাই আবারও আলোচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাস দমন আইনে কোনো অপরাধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত দলটির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করলেও কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। ট্রাইব্যুনালের বেশ কয়েকটি রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী যে সব সময় প্রতারণামূলক রাজনীতি করেছে, আদালতের রায়ে তা স্পষ্ট হয়েছে। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল- এ বিষয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। দলটিকে এখনই নিষিদ্ধ করার উত্তম সময় বলে অনেকে মনে করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার নির্বাহী আদেশে এটি করতে পারে; যেভাবে হিযবুত তাহ্রীর, হরকাতুল জিহাদকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ জন্য আদালত বা নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে থাকার দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন অনেক বিশিষ্টজন। কিন্তু সরকারের পদক্ষেপ দেখে মনে হতে পারে, সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনেরও বিচার করা যাবে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়ে আন্দোলন করে আসা সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন থেকেই এই দাবি করে আসছিল। জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) বিল-২০১৩ সংশোধিত আকারে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর এখন সংগঠনের বিচারে কোনো বাধা থাকছে না।
এ ছাড়া সংগঠন বিচারের বাইরে থাকলে কিছু আশঙ্কাও থেকে যায়। কারণ যে রাজনীতি মানুষকে যুদ্ধাপরাধে, মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রবৃত্ত করে, সেই রাজনীতি যদি বহাল থাকে, তাহলে এ ধরনের অপরাধ ঘটতেই থাকবে। যে কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবি করে আসা বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারের দাবি করা হচ্ছে। তাদের দাবি জামায়াত, রাজাকার, আলবদর- সবারই বিচার হতে হবে। ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে ছয়টি সংগঠনের বিচার হয়েছিল। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনেরও বিচার করতে হবে।
আমরা আশা করব, জামায়াতকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি দলটি নিষিদ্ধের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাস দমন আইনে কোনো অপরাধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত দলটির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করলেও কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। ট্রাইব্যুনালের বেশ কয়েকটি রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী যে সব সময় প্রতারণামূলক রাজনীতি করেছে, আদালতের রায়ে তা স্পষ্ট হয়েছে। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল- এ বিষয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। দলটিকে এখনই নিষিদ্ধ করার উত্তম সময় বলে অনেকে মনে করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার নির্বাহী আদেশে এটি করতে পারে; যেভাবে হিযবুত তাহ্রীর, হরকাতুল জিহাদকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ জন্য আদালত বা নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে থাকার দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেছেন অনেক বিশিষ্টজন। কিন্তু সরকারের পদক্ষেপ দেখে মনে হতে পারে, সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনেরও বিচার করা যাবে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়ে আন্দোলন করে আসা সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন থেকেই এই দাবি করে আসছিল। জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) বিল-২০১৩ সংশোধিত আকারে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর এখন সংগঠনের বিচারে কোনো বাধা থাকছে না।
এ ছাড়া সংগঠন বিচারের বাইরে থাকলে কিছু আশঙ্কাও থেকে যায়। কারণ যে রাজনীতি মানুষকে যুদ্ধাপরাধে, মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রবৃত্ত করে, সেই রাজনীতি যদি বহাল থাকে, তাহলে এ ধরনের অপরাধ ঘটতেই থাকবে। যে কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবি করে আসা বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারের দাবি করা হচ্ছে। তাদের দাবি জামায়াত, রাজাকার, আলবদর- সবারই বিচার হতে হবে। ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে ছয়টি সংগঠনের বিচার হয়েছিল। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনেরও বিচার করতে হবে।
আমরা আশা করব, জামায়াতকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি দলটি নিষিদ্ধের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments