বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেনের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ, অনিয়ম ও দুর্নীতির
অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি
বিদ্যালয় তহবিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ
ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য ১৫ জুলাই উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসকের কাছে
লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ২ জুন অশালীন আচরণের শিকার হয়ে এক শিক্ষিকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, গত বছর ২৫ জুলাই তিনি ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। নিয়োগের সময় তিনি বিদ্যালয়ে ডোনেশন বাবদ দুই লাখ টাকা দেন।
নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। ২৫ মে বিদ্যালয় ছুটির পর কাজের কথা বলে প্রধান শিক্ষক তাঁর নিজ কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ডেকে এনে অশালীন আচরণ করেন। ওই দিনই প্রধান শিক্ষক জোর করে সাদা কাগজে তাঁর স্বাক্ষর রাখেন। ওই শিক্ষিকার বাবাও প্রথম আলোর কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।
অভিভাবক সদস্য ওয়াজেদ আলী মুন্সি জানান, আরমান হোসেন ২০১০ সালের ২ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই আরমান হোসেন নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। প্রধান শিক্ষক এর মধ্যেই ১০ জন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী নিয়োগ দেন।
এমনকি নিয়োগপ্রাপ্ত আনিছুর রহমান ও মালতী লতা হোসেন মণ্ডল নামের দুই শিক্ষকের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র আদায় করেন। পরে তিনি ওই পদে পুনরায় শিক্ষক নিয়োগ দেন। বিদ্যালয় তহবিলে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দেওয়া ডোনেশনের ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন ও সভাপতি লিয়াকত আলী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দাতা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় তহবিলের প্রায় ১০ লাখ টাকা পরিচালনা কমিটির অনুমতি ছাড়াই খরচ করেন। এ ঘটনার তদন্তের জন্য তাঁকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই বিদ্যালয় সভাপতির যোগসাজেশে তাঁকে তদন্ত কমিটি থেকে অপসারণ করা হয়।
অভিভাবক সদস্য মুশফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে দিন দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও কমে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি লিয়াকত হোসেন জানান, একটি মহল বিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। যে শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁর সনদ জাল বলে তাঁর পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে বিদ্যালয়ের ফলাফল অনেক ভালো। বিদ্যালয়ের তহবিলেও জমাকৃত অর্থের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি। তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করতে না পেরে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ইউএনও মোছা. রোখছানা বেগম জানান, ঘটনা তদন্তে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।
গত ২ জুন অশালীন আচরণের শিকার হয়ে এক শিক্ষিকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, গত বছর ২৫ জুলাই তিনি ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। নিয়োগের সময় তিনি বিদ্যালয়ে ডোনেশন বাবদ দুই লাখ টাকা দেন।
নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। ২৫ মে বিদ্যালয় ছুটির পর কাজের কথা বলে প্রধান শিক্ষক তাঁর নিজ কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ডেকে এনে অশালীন আচরণ করেন। ওই দিনই প্রধান শিক্ষক জোর করে সাদা কাগজে তাঁর স্বাক্ষর রাখেন। ওই শিক্ষিকার বাবাও প্রথম আলোর কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।
অভিভাবক সদস্য ওয়াজেদ আলী মুন্সি জানান, আরমান হোসেন ২০১০ সালের ২ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই আরমান হোসেন নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। প্রধান শিক্ষক এর মধ্যেই ১০ জন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী নিয়োগ দেন।
এমনকি নিয়োগপ্রাপ্ত আনিছুর রহমান ও মালতী লতা হোসেন মণ্ডল নামের দুই শিক্ষকের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্র আদায় করেন। পরে তিনি ওই পদে পুনরায় শিক্ষক নিয়োগ দেন। বিদ্যালয় তহবিলে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দেওয়া ডোনেশনের ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন ও সভাপতি লিয়াকত আলী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দাতা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় তহবিলের প্রায় ১০ লাখ টাকা পরিচালনা কমিটির অনুমতি ছাড়াই খরচ করেন। এ ঘটনার তদন্তের জন্য তাঁকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই বিদ্যালয় সভাপতির যোগসাজেশে তাঁকে তদন্ত কমিটি থেকে অপসারণ করা হয়।
অভিভাবক সদস্য মুশফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে দিন দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও কমে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি লিয়াকত হোসেন জানান, একটি মহল বিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। যে শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁর সনদ জাল বলে তাঁর পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে বিদ্যালয়ের ফলাফল অনেক ভালো। বিদ্যালয়ের তহবিলেও জমাকৃত অর্থের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি। তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করতে না পেরে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ইউএনও মোছা. রোখছানা বেগম জানান, ঘটনা তদন্তে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।
No comments