বিরোধী নেতা নতুন ভবন খুলে দেশ ধ্বংস করবেন-মুগদা হাসপাতাল উদ্বোধনের পর জনসভায় হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা ক্ষমতায় যেতে পারলে হাওয়া ভবনের মতো নতুন
ভবন খুলে আবারও দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করবেন। নতুনভাবে দেশ
পরিচালনার নামে নতুনভাবে তিনি দেশ ধ্বংস করবেন।
গতকাল
শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মুগদাপাড়ায় নবনির্মিত ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট
সরকারি জেনারেল হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে হাসপাতাল-সংলগ্ন মাঠে
খিলগাঁও-সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ
হাসিনা এসব কথা বলেন। ক্ষমতায় গেলে নতুন ধারায় দেশ পরিচালনা করবেন,
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরো বলেন,
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন,
মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন।'
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা মোতাবেক তাঁর সরকার উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কাজ করা হয়েছে, কিছু চলমান রয়েছে। বাকি কাজ আগামীতে করতে হবে। ওই সব কাজের জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনলে অসমাপ্ত উন্নয়নকাজ শেষ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। যদি দুর্নীতি থাকত, তাহলে এত উন্নয়ন হতো না। এতো রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ২৭ কোটি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করতে পারতাম না। এখন জনগণই সব বিবেচনা করবে।'
সরকারের সাড়ে চার বছরের উন্নয়নকাজের বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের উন্নয়ন ও সেবা করার রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা এনেছি। এখন এর সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।' তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আলবদরদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাচ্ছে। আর কী চাই!' শেখ হাসিনা বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়- তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর যাতে দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে মুগদাপাড়া পৌঁছে নবনির্মিত ৫০০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে জনসভায় ভাষণ দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা মোতাবেক তাঁর সরকার উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কাজ করা হয়েছে, কিছু চলমান রয়েছে। বাকি কাজ আগামীতে করতে হবে। ওই সব কাজের জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনলে অসমাপ্ত উন্নয়নকাজ শেষ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। যদি দুর্নীতি থাকত, তাহলে এত উন্নয়ন হতো না। এতো রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ২৭ কোটি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করতে পারতাম না। এখন জনগণই সব বিবেচনা করবে।'
সরকারের সাড়ে চার বছরের উন্নয়নকাজের বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের উন্নয়ন ও সেবা করার রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা এনেছি। এখন এর সুফল জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।' তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আলবদরদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাচ্ছে। আর কী চাই!' শেখ হাসিনা বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়- তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর যাতে দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে মুগদাপাড়া পৌঁছে নবনির্মিত ৫০০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে জনসভায় ভাষণ দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
No comments