মিসরে নিরাপত্তা রক্ষার অঙ্গীকার মনসুরের-আলোচনার ইঙ্গিত ব্রাদারহুডের
শেষ দিন পর্যন্ত দেশকে অরাজকতা ও সহিংসতার
হাত থেকে রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন মিসরের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি
মনসুর। ক্ষমতায় আসার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে
প্রথম ভাষণ দেন মনসুর।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ক্ষমতাচ্যুত
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থনে মুসলিম ব্রদারহুড এবং মুরিসবিরোধীরা
আলাদা আলাদা বিক্ষোভের ডাক দেয়। তবে প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারের
সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাদারহুড নেতারা।
গত ৩ জুলাই গণ-আন্দোলনের মুখে মুসরিকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। পরের দিন ৪ জুলাই সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারক আদলি মনসুরকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট করা হয়। তবে মুরসিকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভে নামে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা। মুরসিবিরোধী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্রাদারহুডের সমর্থকদের সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন মারা গেছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মুরসিকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে সেনাবাহিনী।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া মনসুরের প্রথম ভাষণটি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এটি আগেই ধারণ করা হয়। এতে তিনি বলেন, 'আমরা বেশ জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কেউ কেউ আমাদের অরাজকতার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমরা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চাই। কিছু মানুষ আমাদের সহিংসতার দিকে নিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য লড়াই করে যাব। বিপ্লবের অর্জনকে আমরা ধরে রাখব।'
কর্তৃপক্ষের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই গতকাল জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভের ডাক দেয় মুসলিম ব্রাদারহুড। এক বিবৃতিতে দলটি 'দেশের স্বাধীনচেতা সব নারী-পুরুষকে রক্তক্ষয়ী সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর' আহ্বান জানায়। মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানী কায়রোর রাবা আল-আদাউয়িয়া মসজিদের সামনে পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টাই বিক্ষোভ চালিয়ে যচ্ছে মুরসি সমর্থকরা। গতকাল তাদের ডাকা বিক্ষোভে লাখো মানুষ যোগ দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। গতকাল মুরসিবিরোধীরাও পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়।
এদিকে মিসরের চলমান সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারে সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাদারহুডের নেতারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে রাজি আছে বলে জানান তাঁরা। ব্রাদারহুডের মুখপাত্র গেহাদ এল-হাদ্দাদ বলেন, 'আমরা মুরসিকে পুনর্বহালের দাবি থেকে সরে আসব না। এই সরকার, এই প্রধানমন্ত্রী, এই মন্ত্রিসভা সবই অবৈধ। এই সরকারকে আমরা বৈধতা দেব না। তবে আমরা আলোচনার দ্বার বন্ধও করে রাখিনি।' ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে মিসর গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে বলে গত মঙ্গলবার সতর্কতা উচ্চারণ করে আফ্রিকান ইউনিয়ন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গত ৩ জুলাই গণ-আন্দোলনের মুখে মুসরিকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। পরের দিন ৪ জুলাই সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের প্রধান বিচারক আদলি মনসুরকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট করা হয়। তবে মুরসিকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভে নামে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা। মুরসিবিরোধী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্রাদারহুডের সমর্থকদের সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন মারা গেছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মুরসিকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে সেনাবাহিনী।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া মনসুরের প্রথম ভাষণটি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এটি আগেই ধারণ করা হয়। এতে তিনি বলেন, 'আমরা বেশ জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কেউ কেউ আমাদের অরাজকতার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমরা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চাই। কিছু মানুষ আমাদের সহিংসতার দিকে নিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য লড়াই করে যাব। বিপ্লবের অর্জনকে আমরা ধরে রাখব।'
কর্তৃপক্ষের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই গতকাল জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভের ডাক দেয় মুসলিম ব্রাদারহুড। এক বিবৃতিতে দলটি 'দেশের স্বাধীনচেতা সব নারী-পুরুষকে রক্তক্ষয়ী সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর' আহ্বান জানায়। মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানী কায়রোর রাবা আল-আদাউয়িয়া মসজিদের সামনে পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টাই বিক্ষোভ চালিয়ে যচ্ছে মুরসি সমর্থকরা। গতকাল তাদের ডাকা বিক্ষোভে লাখো মানুষ যোগ দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। গতকাল মুরসিবিরোধীরাও পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়।
এদিকে মিসরের চলমান সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারে সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রাদারহুডের নেতারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসতে রাজি আছে বলে জানান তাঁরা। ব্রাদারহুডের মুখপাত্র গেহাদ এল-হাদ্দাদ বলেন, 'আমরা মুরসিকে পুনর্বহালের দাবি থেকে সরে আসব না। এই সরকার, এই প্রধানমন্ত্রী, এই মন্ত্রিসভা সবই অবৈধ। এই সরকারকে আমরা বৈধতা দেব না। তবে আমরা আলোচনার দ্বার বন্ধও করে রাখিনি।' ইসলামপন্থীদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে মিসর গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে বলে গত মঙ্গলবার সতর্কতা উচ্চারণ করে আফ্রিকান ইউনিয়ন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments