শ নি বা রে র বিশেষ প্রতিবেদন কৃষকের বন্ধু by মো. আবদুর রহমান ঢালী
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর
গ্রাম। এই গ্রামে একটা নদ ছিল। নাম কালাডুমুর। নদটি ভরাট। বোরো মৌসুমে
সেচের জন্য হাহাকার উঠত গরিব কৃষকদের। ব্যাপারটি ছুঁয়ে গেল গ্রামেরই এক
ব্যক্তির। সেটা ২০০৭ সালের কথা।
তিনি কৃষকদের একত্র
করলেন। একদিন সকালবেলা নদ খনন শুরু হলো। কাটা হলো নদের দুই কিলোমিটার
এলাকা। নদের আশপাশের চাষের জমি এল সেচের আওতায়। উপকৃত হলো তিন উপজেলার
মানুষ।
যে মানুষটির নেতৃত্বে ভরাট নদে এল বান, তাঁর নাম মতিন সৈকত। অবশ্য এই মতিন আদমপুরের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন আরও এক দশক আগে। দাউদকান্দি উপজেলার ১৬টি গ্রামে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের আন্দোলন গড়ে তোলেন ১৯৯৭ সালে। প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পথ দেখান তিনি। এলাকায় গড়ে তোলেন পাঠাগার। বৃক্ষরোপণ অভিযান, অ্যাসিড-সন্ত্রাস প্রতিরোধ, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ, আর্সেনিকমুক্ত পানি পানের ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজের নেতৃত্ব তাঁর হাতে।
কৃষির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রদান করেন মতিনকে। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে দাউদকান্দিকে একটি মডেলে রূপ দেওয়াই তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় স্নাতকোত্তর মতিন শহরে ভালো চাকরি পেয়েছিলেন। করেননি। ছোটবেলার পড়া ‘গ্রামে ফিরে যাই’ রচনাটি তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় গ্রামে। ১৯৯৮ সালে গ্রামে ফিরে গিয়ে স্থানীয় তীরচর আতিকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
প্রেরণার উৎস: মতিনের বাবা এলাকার কৃষকদের পরামর্শ নিয়ে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছিলেন। নিজের শেখা কৌশল-পদ্ধতি আশপাশের অন্য কৃষকদের শিখিয়ে দিতেন। বাবার এসব কাজ খুব কাছ থেকে দেখেছেন মতিন। ১৯৯৮ সালে মারা যান বাবা। বাবার কাজগুলো ভুলতে পারছিলেন না। তাই সিদ্ধান্ত নেন কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর।
বিষমুক্ত আন্দোলন: সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মতিন উদ্যোগী হন বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে। কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে গ্রামবাসীকে বোঝান। মতিনের কথায় সাড়া দেয় গ্রামবাসী।
মতিন প্রতিবছর ফসলি জমিতে বিষ বা কীটনাশক ব্যবহারের বদলে ঝাঁটা-জিংলা পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করেন। এতে পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকর বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। বছরের শুরুতেই ঝাঁটা-জিংলা পুঁতে দেওয়ার জন্য ১৬টি গ্রামে ঢোল পিটিয়ে দেন তিনি। কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হন। কৃষকদের কীটনাশকের জন্য আর বাড়তি ব্যয় করতে হয় না। উৎসাহ দেন ক্ষতিকর পোকা দমনে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহারে। জমিতে রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার, খামারজাত সার, সবুজ সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন। প্রশিক্ষণ দেন কৃষকদের, দেন আর্থিক সহায়তাও।
এলাকার কৃষকদের অবদানে মতিন সৈকতের অবদানের কথা উল্লেখ করেন গ্রামবাসী। আদমপুর গ্রামের হারুন মিয়া বলেন, ‘মতিন সৈকত স্যার আমাদের বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের কৌশল শিখিয়েছেন।’ মতিন সৈকতকে ‘একজন দক্ষ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করলেন দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
সেচ-সুবিধা: কালাডুমুর নদ দুই কিলোমিটার পুনঃখননের পর এখন পুরো নদটি খননের জন্য কোদাল মিছিল, মানববন্ধন চলছে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), কৃষিসচিব, স্থানীয় সাংসদ বরাবর আবেদন করে আসছেন মতিন।
মতিন কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে শুধু জ্বালানি খরচ নিয়ে মাত্র ২০০ টাকায় সারা মৌসুমে (পৌষ থেকে বৈশাখ) সেচের ব্যবস্থা করেন। প্রায় ১০০ জন প্রান্তিক চাষির দেড় শ বিঘা বোরো জমিতে ১৯৯৮ সাল থেকে এভাবে সেচ দিয়ে আসছেন। অথচ গ্রামের অন্য কৃষকদের পার্শ্ববর্তী প্রকল্প থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় সেচের পানি কিনতে হয়।
২০০০ সালে আদমপুর গ্রামের মানুষকে নিয়ে মতিন সমান অংশীদারির ভিত্তিতে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে অংশীদারদের কাজের পরিধি ও ভূমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে এ কাজে গ্রামের বেকারদের যোগ করে দেখান বেঁচে থাকার নতুন দিশা।
এখন আদমপুরসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকেরা মতিন সৈকতের পদ্ধতিতেই চাষাবাদ করছেন।
সমাজবদলের আন্দোলন: মতিন সৈকত গ্রামবাসীকে নিয়ে ২০০১ সালে ফেয়ার কালচারাল মুভমেন্ট নামের একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অভিযান, অ্যাসিড-সন্ত্রাস প্রতিরোধ, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ, আর্সেনিকমুক্ত পানি পানের ব্যবস্থা, বন্যার্ত মানুষকে ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা, সুস্থ বিনোদন হিসেবে খেলাধুলার আয়োজন, সাহিত্য-সংস্কৃতি-বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সংগঠনের উদ্যোগে গরিব কৃষকের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এবং মেয়েদের বিয়েতে সহযোগিতা দেওয়া হয়।
গ্রামকে নিরক্ষরমুক্ত করতে ২০০৯ সালে ‘আলোর পথে’ নামের একটি বয়স্ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন মতিন। সেখানে তিনি বিনা পয়সায় গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের অক্ষরজ্ঞান দেন।
আমার বই আমার পাঠাগার: ‘একটি বই কিনে দেব, এক শ বই পড়তে নেব’ স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের স্কুলভিত্তিক পাঠাগার গড়ার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মতিন। ২০১১ সালে তিনি এলাকায় একটি পাঠাগার গড়ে তোলেন। তিনি মাঝেমধ্যে বাড়ির আঙিনায় শিশুদের জড়ো করে রূপকথার গল্প শোনান।
মতিনের আদমপুর গ্রামটি পড়েছে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে। এর চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বললেন, এলাকার কৃষকদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মতিন।
সর্বশেষ সংবাদ শুনতে আপনার মোবাইল ফোন থেকে ডায়াল করুন ২২২১
যে মানুষটির নেতৃত্বে ভরাট নদে এল বান, তাঁর নাম মতিন সৈকত। অবশ্য এই মতিন আদমপুরের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন আরও এক দশক আগে। দাউদকান্দি উপজেলার ১৬টি গ্রামে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের আন্দোলন গড়ে তোলেন ১৯৯৭ সালে। প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পথ দেখান তিনি। এলাকায় গড়ে তোলেন পাঠাগার। বৃক্ষরোপণ অভিযান, অ্যাসিড-সন্ত্রাস প্রতিরোধ, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ, আর্সেনিকমুক্ত পানি পানের ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজের নেতৃত্ব তাঁর হাতে।
কৃষির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রদান করেন মতিনকে। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে দাউদকান্দিকে একটি মডেলে রূপ দেওয়াই তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় স্নাতকোত্তর মতিন শহরে ভালো চাকরি পেয়েছিলেন। করেননি। ছোটবেলার পড়া ‘গ্রামে ফিরে যাই’ রচনাটি তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় গ্রামে। ১৯৯৮ সালে গ্রামে ফিরে গিয়ে স্থানীয় তীরচর আতিকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
প্রেরণার উৎস: মতিনের বাবা এলাকার কৃষকদের পরামর্শ নিয়ে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছিলেন। নিজের শেখা কৌশল-পদ্ধতি আশপাশের অন্য কৃষকদের শিখিয়ে দিতেন। বাবার এসব কাজ খুব কাছ থেকে দেখেছেন মতিন। ১৯৯৮ সালে মারা যান বাবা। বাবার কাজগুলো ভুলতে পারছিলেন না। তাই সিদ্ধান্ত নেন কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর।
বিষমুক্ত আন্দোলন: সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মতিন উদ্যোগী হন বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে। কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে গ্রামবাসীকে বোঝান। মতিনের কথায় সাড়া দেয় গ্রামবাসী।
মতিন প্রতিবছর ফসলি জমিতে বিষ বা কীটনাশক ব্যবহারের বদলে ঝাঁটা-জিংলা পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করেন। এতে পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকর বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। বছরের শুরুতেই ঝাঁটা-জিংলা পুঁতে দেওয়ার জন্য ১৬টি গ্রামে ঢোল পিটিয়ে দেন তিনি। কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হন। কৃষকদের কীটনাশকের জন্য আর বাড়তি ব্যয় করতে হয় না। উৎসাহ দেন ক্ষতিকর পোকা দমনে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহারে। জমিতে রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার, খামারজাত সার, সবুজ সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন। প্রশিক্ষণ দেন কৃষকদের, দেন আর্থিক সহায়তাও।
এলাকার কৃষকদের অবদানে মতিন সৈকতের অবদানের কথা উল্লেখ করেন গ্রামবাসী। আদমপুর গ্রামের হারুন মিয়া বলেন, ‘মতিন সৈকত স্যার আমাদের বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের কৌশল শিখিয়েছেন।’ মতিন সৈকতকে ‘একজন দক্ষ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করলেন দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
সেচ-সুবিধা: কালাডুমুর নদ দুই কিলোমিটার পুনঃখননের পর এখন পুরো নদটি খননের জন্য কোদাল মিছিল, মানববন্ধন চলছে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), কৃষিসচিব, স্থানীয় সাংসদ বরাবর আবেদন করে আসছেন মতিন।
মতিন কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে শুধু জ্বালানি খরচ নিয়ে মাত্র ২০০ টাকায় সারা মৌসুমে (পৌষ থেকে বৈশাখ) সেচের ব্যবস্থা করেন। প্রায় ১০০ জন প্রান্তিক চাষির দেড় শ বিঘা বোরো জমিতে ১৯৯৮ সাল থেকে এভাবে সেচ দিয়ে আসছেন। অথচ গ্রামের অন্য কৃষকদের পার্শ্ববর্তী প্রকল্প থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় সেচের পানি কিনতে হয়।
২০০০ সালে আদমপুর গ্রামের মানুষকে নিয়ে মতিন সমান অংশীদারির ভিত্তিতে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে অংশীদারদের কাজের পরিধি ও ভূমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে এ কাজে গ্রামের বেকারদের যোগ করে দেখান বেঁচে থাকার নতুন দিশা।
এখন আদমপুরসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকেরা মতিন সৈকতের পদ্ধতিতেই চাষাবাদ করছেন।
সমাজবদলের আন্দোলন: মতিন সৈকত গ্রামবাসীকে নিয়ে ২০০১ সালে ফেয়ার কালচারাল মুভমেন্ট নামের একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অভিযান, অ্যাসিড-সন্ত্রাস প্রতিরোধ, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ, আর্সেনিকমুক্ত পানি পানের ব্যবস্থা, বন্যার্ত মানুষকে ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা, সুস্থ বিনোদন হিসেবে খেলাধুলার আয়োজন, সাহিত্য-সংস্কৃতি-বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সংগঠনের উদ্যোগে গরিব কৃষকের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এবং মেয়েদের বিয়েতে সহযোগিতা দেওয়া হয়।
গ্রামকে নিরক্ষরমুক্ত করতে ২০০৯ সালে ‘আলোর পথে’ নামের একটি বয়স্ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন মতিন। সেখানে তিনি বিনা পয়সায় গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের অক্ষরজ্ঞান দেন।
আমার বই আমার পাঠাগার: ‘একটি বই কিনে দেব, এক শ বই পড়তে নেব’ স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের স্কুলভিত্তিক পাঠাগার গড়ার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মতিন। ২০১১ সালে তিনি এলাকায় একটি পাঠাগার গড়ে তোলেন। তিনি মাঝেমধ্যে বাড়ির আঙিনায় শিশুদের জড়ো করে রূপকথার গল্প শোনান।
মতিনের আদমপুর গ্রামটি পড়েছে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে। এর চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বললেন, এলাকার কৃষকদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মতিন।
সর্বশেষ সংবাদ শুনতে আপনার মোবাইল ফোন থেকে ডায়াল করুন ২২২১
No comments