প্রশাসনে পদোন্নতি-যোগ্যতাই হোক মাপকাঠি
পদায়নের সুযোগ সীমিত হলেও পদোন্নতি থেমে
নেই জনপ্রশাসনে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৩২৬ জন উপসচিব যুগ্ম সচিব পদে
পদোন্নতি পেলেন। এর আগে সরকার কয়েক দফায় জনপ্রশাসনে পদোন্নতি দিয়েছে।
প্রতিবারই পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কেউ কেউ
প্রকাশ্যে প্রতিবাদমুখর হয়েছেন, কেউবা চুপচাপ সহ্য করেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ
হয়েছে পদোন্নতির প্রক্রিয়া, যা প্রতিটি সরকারের আমলেই হয়ে থাকে। সরকার
পরিবর্তনের পর দলীয় অনুগতদের কখনো অবৈধ উপায়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়, কখনো
ভিন্ন মতাবলম্বীদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। প্রশাসনকে দলীয়করণের এই
প্রচেষ্টা দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করলেও
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, এটা যেন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রায় সবাই। কিছু কর্মকর্তা আছেন ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ ব্যাচের। তাঁদের ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে। তাঁদের কথা, তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। দেখা গেছে, সহকর্মী ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়ে গেছেন; কিন্তু কেউ কেউ এখনো উপসচিব রয়ে গেছেন। এ ধরনের বৈষম্য প্রশাসনে স্থবিরতা ডেকে আনে। কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা জন্ম নেয়, যা প্রশাসনের গতিশীলতায় বাধা হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু যখন প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখন অবশ্যই ভাবতে হবে, কোনো ব্যাচের শতভাগ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে পারেন না। একটি ব্যাচে যোগদানকারী কর্মকর্তাদের সবাই সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পেতে পারেন না। এটা যেমন সত্য, আবার যোগ্যদের বাদ দিয়ে দলীয় আনুগত্যের কারণে প্রশাসনে যদি পদোন্নতির সংস্কৃতি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বে।
পদোন্নতি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যেসব প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসন হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনকে প্রজাতন্ত্রের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলীয়করণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে পদোন্নতি দেওয়া কিংবা বঞ্চিত করার মানসিকতা দূর করতে হবে।
বৃহস্পতিবার পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রায় সবাই। কিছু কর্মকর্তা আছেন ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ ব্যাচের। তাঁদের ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে। তাঁদের কথা, তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। দেখা গেছে, সহকর্মী ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়ে গেছেন; কিন্তু কেউ কেউ এখনো উপসচিব রয়ে গেছেন। এ ধরনের বৈষম্য প্রশাসনে স্থবিরতা ডেকে আনে। কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা জন্ম নেয়, যা প্রশাসনের গতিশীলতায় বাধা হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু যখন প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখন অবশ্যই ভাবতে হবে, কোনো ব্যাচের শতভাগ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে পারেন না। একটি ব্যাচে যোগদানকারী কর্মকর্তাদের সবাই সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পেতে পারেন না। এটা যেমন সত্য, আবার যোগ্যদের বাদ দিয়ে দলীয় আনুগত্যের কারণে প্রশাসনে যদি পদোন্নতির সংস্কৃতি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বে।
পদোন্নতি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যেসব প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসন হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনকে প্রজাতন্ত্রের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলীয়করণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে পদোন্নতি দেওয়া কিংবা বঞ্চিত করার মানসিকতা দূর করতে হবে।
No comments