আন্দোলন-নির্বাচন দুই প্রস্তুতিই নিচ্ছে বিএনপি
বিএনপি ধরেই নিয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে
রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে
দলকে তিন ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য নন, তবে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন,
এমন একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমত, বিএনপি তত্ত্বাবধায়কের দাবি
আদায়ের জন্য মধ্য আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জোরালো আন্দোলনের পথে যাওয়ার
কথা ভাবছে। দ্বিতীয়ত, এখন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে, যেন
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়া যায়।
তৃতীয়ত, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যেন
ওই নির্বাচন সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা যায়।
ওই নেতা বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপি এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচনকে। এরপর আন্দোলন। তিনি বলেন, তিন বিকল্পের প্রতিটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনটির মধ্যে কোনটিকে শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে, তা ওই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টামণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মনে করেন, পাঁচ সিটি করপোরেশনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে বিরোধী দলের দাবি মেনে নেওয়া কঠিন হবে। তাই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার আর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। ওই নেতাদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, লন্ডনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ না যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। এখন বিএনপি মনে করছে, আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় আলোচনা চাইছে না। মূলত ওই ঘটনা থেকেই দলটি মনে করছে, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার সুযোগ আপাতত নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম অবশ্য প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক, বিএনপি তা চায়। কিন্তু আলোচনায় সমাধান না হলে ঈদের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
আন্দোলন কর্মসূচিতে হরতালই থাকবে বেশি। এ ছাড়া সভা-সমাবেশ, মিছিল, দলীয় চেয়ারপারসনের কয়েকটি জেলা সফরও এই কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দিলে ওই সময় আর আন্দোলন থাকবে না বিএনপির। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেবে বিরোধী দল।
সংলাপ হবে না, এমন কেন ভাবছে বিএনপি? জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বারবার সরকারকে আলোচনায় বসতে আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছি না।’
বিএনপি মুখে বললেও মাত্র তিন-সাড়ে তিন মাসের মধ্যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব কি না, তা নিয়েও নেতাদের সংশয় আছে। এ জন্য শেষ অস্ত্র হিসেবে নির্বাচন প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত আছে তাদের। এখন থেকে সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে দলকে সংগঠিত করা হচ্ছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচনের পর এখন জাতীয় নির্বাচনের ফল কী হতে পারে, তা সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি তা প্রতিহত করবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সমান তালে: আন্দোলনের প্রস্তুতির পাশাপাশি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি। রমজান মাসকে সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করে দল গোছানোর কাছ চলছে। প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি বিভাগে স্থায়ী কমিটির একজন করে সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কমিটিতে একজন যুগ্ম মহাসচিব, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগের অধীন জেলাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে রাখা হবে। নির্বাচনের আগে স্লোগান পুনর্নির্ধারণ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। বর্তমানের ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত আছে। শুরু হয়েছে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি তাঁদের থাকছে। এ জন্য যা যা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী কাজ চলছে।
সর্বশেষ সংবাদ শুনতে আপনার মোবাইল ফোন থেকে ডায়াল করুন ২২২১
ওই নেতা বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপি এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচনকে। এরপর আন্দোলন। তিনি বলেন, তিন বিকল্পের প্রতিটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনটির মধ্যে কোনটিকে শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে, তা ওই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টামণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য বলেছেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মনে করেন, পাঁচ সিটি করপোরেশনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে বিরোধী দলের দাবি মেনে নেওয়া কঠিন হবে। তাই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার আর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। ওই নেতাদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, লন্ডনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ না যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। এখন বিএনপি মনে করছে, আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় আলোচনা চাইছে না। মূলত ওই ঘটনা থেকেই দলটি মনে করছে, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার সুযোগ আপাতত নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম অবশ্য প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক, বিএনপি তা চায়। কিন্তু আলোচনায় সমাধান না হলে ঈদের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
আন্দোলন কর্মসূচিতে হরতালই থাকবে বেশি। এ ছাড়া সভা-সমাবেশ, মিছিল, দলীয় চেয়ারপারসনের কয়েকটি জেলা সফরও এই কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দিলে ওই সময় আর আন্দোলন থাকবে না বিএনপির। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেবে বিরোধী দল।
সংলাপ হবে না, এমন কেন ভাবছে বিএনপি? জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বারবার সরকারকে আলোচনায় বসতে আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছি না।’
বিএনপি মুখে বললেও মাত্র তিন-সাড়ে তিন মাসের মধ্যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব কি না, তা নিয়েও নেতাদের সংশয় আছে। এ জন্য শেষ অস্ত্র হিসেবে নির্বাচন প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত আছে তাদের। এখন থেকে সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে দলকে সংগঠিত করা হচ্ছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচনের পর এখন জাতীয় নির্বাচনের ফল কী হতে পারে, তা সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি তা প্রতিহত করবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সমান তালে: আন্দোলনের প্রস্তুতির পাশাপাশি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি। রমজান মাসকে সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করে দল গোছানোর কাছ চলছে। প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি বিভাগে স্থায়ী কমিটির একজন করে সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কমিটিতে একজন যুগ্ম মহাসচিব, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগের অধীন জেলাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে রাখা হবে। নির্বাচনের আগে স্লোগান পুনর্নির্ধারণ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। বর্তমানের ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত আছে। শুরু হয়েছে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি তাঁদের থাকছে। এ জন্য যা যা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী কাজ চলছে।
সর্বশেষ সংবাদ শুনতে আপনার মোবাইল ফোন থেকে ডায়াল করুন ২২২১
No comments