অনুপ চেটিয়াকে নিতে ভারতের বিশেষ বিমান-সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদকে ফেরত পাঠাবে ভারত
একটি বিশেষ বিমানে ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে
বাংলাদেশের কারাগারে আটক ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সাধারণ
সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে। বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাঁকে দিল্লিতে নেওয়ার
ব্যবস্থা হচ্ছে।
আর ফিরতি ফ্লাইটেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো
হচ্ছে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ
হোসেনকে। দুই দেশের সরকার শিগগিরই এই বন্দি হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন
করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দিল্লির হোটেল তাজমানসিংহে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ মোশতাক আহমেদ। আর ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী। বৈঠকে দুই পক্ষ অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তরপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত দুই সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনের হস্তান্তর নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ করিম বলেন, উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারের মধ্যে 'অব্যাহত সহযোগিতা' বজায় রয়েছে। এই প্রত্যাবর্তনপ্রক্রিয়া কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে, তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি। সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে বারবার জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হস্তান্তর করা হলে সবাই জানতে পারবেন।'
এদিকে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে আগের দিন বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রাক-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) কামাল উদ্দিন আহমদ ও ভারতের পক্ষে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শম্ভু সিং নেতৃত্ব দেন। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি ছাড়াও ছিটমহল বিনিময়, অপদখলীয় ভূমি, সীমান্ত সন্ত্রাস, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সব ধরনের পাচার বন্ধে নিজেদের মধ্যে কৌশল নিয়ে এ সময় আলোচনা হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যেকোনো দিন অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিশেষ বিমানযোগে তাঁকে প্রথমে দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে। পরে তাঁকে আসামের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আসামে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সূত্র জানায়, অনুপ চেটিয়াকে নিয়ে আসা বিমানটির ফিরতি ফ্লাইটেই ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হবে বাংলাদেশি অপরাধী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনকে। এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলার মামলায় অভিযুক্ত। সুব্রত বাইন ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি। সাজ্জাদ বর্তমানে ভারতের তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উলফার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা রাখা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় তাঁকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে ২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিন দফা আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘেও চিঠি লেখেন তিনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দিল্লির হোটেল তাজমানসিংহে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ মোশতাক আহমেদ। আর ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী। বৈঠকে দুই পক্ষ অনুপ চেটিয়ার হস্তান্তরপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত দুই সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনের হস্তান্তর নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ করিম বলেন, উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারের মধ্যে 'অব্যাহত সহযোগিতা' বজায় রয়েছে। এই প্রত্যাবর্তনপ্রক্রিয়া কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে, তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি। সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে বারবার জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হস্তান্তর করা হলে সবাই জানতে পারবেন।'
এদিকে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে আগের দিন বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রাক-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) কামাল উদ্দিন আহমদ ও ভারতের পক্ষে সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শম্ভু সিং নেতৃত্ব দেন। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি ছাড়াও ছিটমহল বিনিময়, অপদখলীয় ভূমি, সীমান্ত সন্ত্রাস, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সব ধরনের পাচার বন্ধে নিজেদের মধ্যে কৌশল নিয়ে এ সময় আলোচনা হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যেকোনো দিন অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিশেষ বিমানযোগে তাঁকে প্রথমে দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে। পরে তাঁকে আসামের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আসামে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সূত্র জানায়, অনুপ চেটিয়াকে নিয়ে আসা বিমানটির ফিরতি ফ্লাইটেই ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হবে বাংলাদেশি অপরাধী সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনকে। এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলার মামলায় অভিযুক্ত। সুব্রত বাইন ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি। সাজ্জাদ বর্তমানে ভারতের তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উলফার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা রাখা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় তাঁকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে ২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে তিন দফা আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য ২০০৮ সালে জাতিসংঘেও চিঠি লেখেন তিনি।
No comments