আপস-সমঝোতার বিকল্প নেই স্বদেশে সংঘাত, বিদেশে মতৈক্য
রাজপথে সহিংসতা চলতে থাকলে রাজনৈতিক
সংকটের সমাধান আসবে না, বরং তা আরও ঘনীভূত হতে হতে একটা সময় সমাধানের অতীত
পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী
লীগ ও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা যে এই সত্য উপলব্ধি করেন, তা জানা গেল
সুদূর লন্ডন থেকে আসা খবরে। সেখানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ানদের উদ্যোগে
আয়োজিত বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক এক সেমিনারে উভয় দল থেকে বেশ
কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা যোগ দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক
বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হলে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা প্রয়োজন। তাঁদের এই
উপলব্ধি যদি আন্তরিক হয়, তবে আলোচনায় বসতে আর দেরি কেন?
বিবদমান দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি সবচেয়ে বেশি করে এ দেশের জনসাধারণ। কারণ, কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে যা চলছে, তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া, পণ্য পরিবহন, আমদানি-রপ্তানি ও জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষের চলাফেরা ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাজপথের সহিংসতায় গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ; তাঁদের মধ্যে শুধু যে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা আছেন তা নয়; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্য, সাংবাদিক, সাধারণ নাগরিক, এমনকি শিশুরাও আছে। সর্বশেষ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা টানা চার দিনের হরতালে দেশের অর্থনীতি বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাও পর্যুদস্ত-প্রায়।
দেশের এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা লন্ডনে জড়ো হয়ে যদি আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতে পারেন, তবে দেশের ভেতরে আলোচনার টেবিলে বসা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না কেন? প্রধান কারণটি স্পষ্ট: কী পদ্ধতির সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এই প্রশ্নে কোনো রকমের বোঝাপড়ার আগ্রহ বা আভাস-ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দুই পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানেই অনড় রয়ে গেছে, যা জনসাধারণের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ, উভয় পক্ষের এই অনড় আপসহীনতা দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
যথাসময়ে নির্বাচন হতেই হবে। কারণ, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য পন্থা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সব পক্ষের অংশগ্রহণ একান্ত জরুরি। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে পুরো জাতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিত্ব ঘটবে না এবং সেই কারণে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই উভয় পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, আর সরকার ‘সংবিধান অনুযায়ী’ই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে—এই পরস্পরবিরোধী অনড় অবস্থান থেকে উভয় পক্ষকেই সরে আসতে হবে। ছাড় দিতে হবে, আপস করতে হবে, আলোচনায় বসে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। এ ছাড়া সামনে এগোনোর কোনো রাস্তা নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে, ততই মঙ্গল।
বিবদমান দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি সবচেয়ে বেশি করে এ দেশের জনসাধারণ। কারণ, কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে যা চলছে, তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া, পণ্য পরিবহন, আমদানি-রপ্তানি ও জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষের চলাফেরা ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাজপথের সহিংসতায় গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ; তাঁদের মধ্যে শুধু যে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা আছেন তা নয়; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্য, সাংবাদিক, সাধারণ নাগরিক, এমনকি শিশুরাও আছে। সর্বশেষ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা টানা চার দিনের হরতালে দেশের অর্থনীতি বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাও পর্যুদস্ত-প্রায়।
দেশের এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা লন্ডনে জড়ো হয়ে যদি আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতে পারেন, তবে দেশের ভেতরে আলোচনার টেবিলে বসা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না কেন? প্রধান কারণটি স্পষ্ট: কী পদ্ধতির সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এই প্রশ্নে কোনো রকমের বোঝাপড়ার আগ্রহ বা আভাস-ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দুই পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানেই অনড় রয়ে গেছে, যা জনসাধারণের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ, উভয় পক্ষের এই অনড় আপসহীনতা দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
যথাসময়ে নির্বাচন হতেই হবে। কারণ, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য পন্থা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সব পক্ষের অংশগ্রহণ একান্ত জরুরি। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে পুরো জাতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিত্ব ঘটবে না এবং সেই কারণে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই উভয় পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, আর সরকার ‘সংবিধান অনুযায়ী’ই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে—এই পরস্পরবিরোধী অনড় অবস্থান থেকে উভয় পক্ষকেই সরে আসতে হবে। ছাড় দিতে হবে, আপস করতে হবে, আলোচনায় বসে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। এ ছাড়া সামনে এগোনোর কোনো রাস্তা নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে, ততই মঙ্গল।
No comments