সন্তোষজনক অর্জনে উচ্চারিত হলো বাংলাদেশের নাম by মানসুরা হোসাইন
বিশ্বে মাতৃদুগ্ধ পানের প্রবণতার ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা দ্য ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভস (ডব্লিউবিটিআই) পর্যালোচনায় বিশ্বের ৫১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সব মিলে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সন্তোষজনক। প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুটি দেশ আছে।
সন্তোষজনক এই অর্জনের কারণে প্রথম বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন অধিবেশনে উচ্চারিত হয়েছে বাংলাদেশের নাম। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হ্যাবিটেট সেন্টারে চার দিনের এই সম্মেলনে ৮৬টি দেশের প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদারসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলও সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (আইবিএফএএন) এশিয়া এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন (ডব্লিউএবিএ) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
গতকাল হ্যাবিটেট সেন্টারের সিলভার ওক মিলনায়তনে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো দলীয় আলোচনায় বসে নিজ নিজ দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস কে রায়, সম্মেলন আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সচিব জে পি দাদিচ এবং আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হুমায়ুন লুডিন। বড় দেশ হওয়ায় ভারত আলাদাভাবে নিজ দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। ৫১টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৩১তম। তালিকায় শ্রীলঙ্কা প্রথম এবং মালদ্বীপ তৃতীয় স্থানে আছে।
দলীয় আলোচনায় শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কারণ ব্যাখ্যা করেন জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমের পরিচালক এখলাছুর রহমান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ও তার বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা এর একটি উদাহরণ। তবে শিশুর ছয় মাস বয়সের পর থেকে দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি সম্পূরক খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে।
এস কে রায় শিশুর সম্পূরক খাবারের বিষয়টিতেও সমান নজর দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ পর্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি সুফিয়া খাতুন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১১ অনুযায়ী, ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ দেওয়ার হার আগের দশকের ৪৩-৪৫ শতাংশ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
দলীয় আলোচনায় শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা মায়ের বুকের দুধ ও সম্পূরক খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তাঁদের দেশের এগিয়ে থাকা বা পিছিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন। আলোচনায় আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বিকল্প শিশুখাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারজাতকরণ-সংক্রান্ত নীতি বাস্তবায়ন ও তদারকির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
স্টেইন মিলনায়তনে সকালের প্রথম অধিবেশনে আলোচকেরা শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়টিকে মা ও শিশুর মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। এই অধিবেশনে সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অরুণ গুপ্ত বলেন, বিকল্প শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো মায়ের দুধের বিপক্ষে শক্তিশালী প্রচারণা করছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সরকার বা গণমাধ্যমে মায়ের বুকের দুধের পক্ষে মনোযোগ কম থাকে।
হ্যাবিটেট সেন্টারের বিভিন্ন মিলনায়তনে সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত প্ল্যানারি সেশন, দলীয় আলোচনা, নাটক ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন আয়োজনে মায়ের বুকের দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (আইবিএফএএন) এশিয়া এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন (ডব্লিউএবিএ) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
গতকাল হ্যাবিটেট সেন্টারের সিলভার ওক মিলনায়তনে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো দলীয় আলোচনায় বসে নিজ নিজ দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস কে রায়, সম্মেলন আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সচিব জে পি দাদিচ এবং আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হুমায়ুন লুডিন। বড় দেশ হওয়ায় ভারত আলাদাভাবে নিজ দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। ৫১টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৩১তম। তালিকায় শ্রীলঙ্কা প্রথম এবং মালদ্বীপ তৃতীয় স্থানে আছে।
দলীয় আলোচনায় শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কারণ ব্যাখ্যা করেন জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমের পরিচালক এখলাছুর রহমান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ও তার বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা এর একটি উদাহরণ। তবে শিশুর ছয় মাস বয়সের পর থেকে দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি সম্পূরক খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে।
এস কে রায় শিশুর সম্পূরক খাবারের বিষয়টিতেও সমান নজর দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ পর্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি সুফিয়া খাতুন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১১ অনুযায়ী, ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ দেওয়ার হার আগের দশকের ৪৩-৪৫ শতাংশ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
দলীয় আলোচনায় শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা মায়ের বুকের দুধ ও সম্পূরক খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তাঁদের দেশের এগিয়ে থাকা বা পিছিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করেন। আলোচনায় আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বিকল্প শিশুখাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারজাতকরণ-সংক্রান্ত নীতি বাস্তবায়ন ও তদারকির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
স্টেইন মিলনায়তনে সকালের প্রথম অধিবেশনে আলোচকেরা শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়টিকে মা ও শিশুর মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। এই অধিবেশনে সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অরুণ গুপ্ত বলেন, বিকল্প শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো মায়ের দুধের বিপক্ষে শক্তিশালী প্রচারণা করছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সরকার বা গণমাধ্যমে মায়ের বুকের দুধের পক্ষে মনোযোগ কম থাকে।
হ্যাবিটেট সেন্টারের বিভিন্ন মিলনায়তনে সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত প্ল্যানারি সেশন, দলীয় আলোচনা, নাটক ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন আয়োজনে মায়ের বুকের দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
No comments