তানজানিয়ায় দুঃসহ দিন কাটিয়ে অবশেষে ফেরা
তানজানিয়ায় দীর্ঘদিন আটক থাকার পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন ২০ বাংলাদেশি। গতকাল শুক্রবার সকালে তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক (কল্যাণ) মোহসিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোরে তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁরা বিমানবন্দরে আসেন। পরে আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের একেকজনের কাছ থেকে দালালেরা পাঁচ থেকে সাড়ে নয় লাখ পর্যন্ত টাকা নেয়। পরে তাদের পর্যটক হিসেবে নেওয়া হয় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। সেখান থেকে সড়কপথে তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা তানজানিয়ায় আটক হন।’
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনিস খান, বিটু মিয়া, আলী নূর, ফারুক হাওলাদার, ওহিদ হাওলাদার, মোহাম্মদ রাসেল, কালা চান, জাহিনুর রহমান, আমানুল হক, ফজলুল হক, বিল্লাল, আবদুল মালেক, আলাউদ্দিন, জামাল হোসেন, আবু নাসের, রমজান মিয়া, শহীদ আহমেদ, মাসুম মিয়া ও কাবিল মিয়া নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তবে হেলালউদ্দিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তিনি দালাল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় লোক পাঠাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, দরিদ্র পরিবারগুলো ফেরত আনার খরচ দিতে না পারায় তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমজিএইচের আর্থিক সহায়তায় বিএমইটি ও কেনিয়া দূতাবাসের মধ্যস্থতায় এই বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে এসেছেন।
এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার স্বপ্নে বিদেশ গিয়ে আটক হয়ে ওই বাংলাদেশিরা দুঃসহ দিন কাটাচ্ছিল। এ অবস্থা জানতে পেরে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমরা ওই বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিই। এ কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
২০১১ সালের ১ অক্টোবর আটক ওই বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রথম আলোয় ‘অবৈধ পথে দক্ষিণ আফ্রিকা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক (কল্যাণ) মোহসিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোরে তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁরা বিমানবন্দরে আসেন। পরে আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের একেকজনের কাছ থেকে দালালেরা পাঁচ থেকে সাড়ে নয় লাখ পর্যন্ত টাকা নেয়। পরে তাদের পর্যটক হিসেবে নেওয়া হয় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। সেখান থেকে সড়কপথে তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা তানজানিয়ায় আটক হন।’
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনিস খান, বিটু মিয়া, আলী নূর, ফারুক হাওলাদার, ওহিদ হাওলাদার, মোহাম্মদ রাসেল, কালা চান, জাহিনুর রহমান, আমানুল হক, ফজলুল হক, বিল্লাল, আবদুল মালেক, আলাউদ্দিন, জামাল হোসেন, আবু নাসের, রমজান মিয়া, শহীদ আহমেদ, মাসুম মিয়া ও কাবিল মিয়া নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তবে হেলালউদ্দিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তিনি দালাল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় লোক পাঠাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, দরিদ্র পরিবারগুলো ফেরত আনার খরচ দিতে না পারায় তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমজিএইচের আর্থিক সহায়তায় বিএমইটি ও কেনিয়া দূতাবাসের মধ্যস্থতায় এই বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে এসেছেন।
এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার স্বপ্নে বিদেশ গিয়ে আটক হয়ে ওই বাংলাদেশিরা দুঃসহ দিন কাটাচ্ছিল। এ অবস্থা জানতে পেরে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমরা ওই বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিই। এ কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
২০১১ সালের ১ অক্টোবর আটক ওই বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রথম আলোয় ‘অবৈধ পথে দক্ষিণ আফ্রিকা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
No comments