চরম বার্তা কার প্রতি—সরকার না জনগণ?- বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি
আগামীকাল রোববার বিরোধী দল আহূত দেশের সড়ক-মহাসড়কে আট ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। একদিকে বিরোধী দলের নেতারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের কথা বলছেন, অন্যদিকে চরম বার্তার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন যেকোনো রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার প্রয়োগের নামে তারা অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
বিরোধী দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন করছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি না। প্রশ্ন উঠেছে দাবি আদায়ের উপায় নিয়ে। বিরোধীদলীয় নেতাদের নিশ্চয়ই জানা আছে, হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে কি না, সেটি নির্ভর করে সরকারের আচরণের ওপর। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে লাগাতার হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা সামনে কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
চরম বার্তা বলতে বিরোধীদলীয় নেতারা কী বোঝাতে চান? দেশের ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্পকারখানা এবং জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির করে দেওয়া? কোনো চরম বার্তা বা কঠোর কর্মসূচিতে সরকারের পতন হয় না। দেশ ও জনগণই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে, রুটিরুজির পথ বন্ধ হয়ে যায়। সেটি নিশ্চয়ই কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাম্য হতে পারে না। বিরোধী দল যদি মনে করে তাদের কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা আছে, তাহলে বিষয়টি তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। অবরোধের নামে গায়ের জোরে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা যাবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা যদি লন্ডনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, তাহলে দেশে সেই আলোচনা নয় কেন? সামনে জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনে গিয়ে আপনাদের বক্তব্য তুলে ধরুন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলুন। কিন্তু আন্দোলনের নামে দেশ অচল করার পথ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
বিরোধী দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন করছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করছি না। প্রশ্ন উঠেছে দাবি আদায়ের উপায় নিয়ে। বিরোধীদলীয় নেতাদের নিশ্চয়ই জানা আছে, হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে কি না, সেটি নির্ভর করে সরকারের আচরণের ওপর। এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে লাগাতার হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা সামনে কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
চরম বার্তা বলতে বিরোধীদলীয় নেতারা কী বোঝাতে চান? দেশের ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্পকারখানা এবং জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির করে দেওয়া? কোনো চরম বার্তা বা কঠোর কর্মসূচিতে সরকারের পতন হয় না। দেশ ও জনগণই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে, রুটিরুজির পথ বন্ধ হয়ে যায়। সেটি নিশ্চয়ই কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাম্য হতে পারে না। বিরোধী দল যদি মনে করে তাদের কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা আছে, তাহলে বিষয়টি তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। অবরোধের নামে গায়ের জোরে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা যাবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা যদি লন্ডনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, তাহলে দেশে সেই আলোচনা নয় কেন? সামনে জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনে গিয়ে আপনাদের বক্তব্য তুলে ধরুন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলুন। কিন্তু আন্দোলনের নামে দেশ অচল করার পথ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
No comments