সনদ দিচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা by অমিতোষ পাল
ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ ভাগের বাসিন্দাদের নাগরিকত্বসহ সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সনদ দিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা। এত দিন কেবল কাউন্সিলর ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের এসব সনদ দেওয়ার এখতিয়ার ছিল।
সম্প্রতি এ ক্ষমতা তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদেরও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তারা বলছে, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে কোনো সনদ ইস্যুর নজির কোথাও নেই। ডিএসসিসি এই নজির স্থাপন করে নগরবাসীকে অপমান করছে। যাঁরা এসব সনদ দিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করছেন, ভবিষ্যতে তাঁদেরও বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ডিএসসিসির সচিব মো. মাহবুব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যাঁরা আগে সনদ ইস্যুর দায়িত্ব পালন করতেন, তাঁরা আর পেরে উঠছিলেন না। সনদ পেতেও অনেক সময় দেরি হচ্ছিল। তখন চিন্তা করা হলো- কিভাবে নাগরিকদের ভোগান্তি কমিয়ে তাড়াতাড়ি সনদ দেওয়া যায়। তাই এই আদেশ জারি করা হয়েছে।' জানা গেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) বিভক্তির আগে কেবল ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ডিসিসির প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারাই এসব সনদে স্বাক্ষর করতেন। বিভক্তির পর মেয়র ও কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে দুই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নগরবাসীকে নানা ধরনের সনদ নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিড়ম্বনা এড়াতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রধান, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাসহ নির্দিষ্ট কিছু প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের হাতে সনদ দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। কিন্তু গত ১০ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব মাহবুব হোসেন একটি অফিস আদেশ জারি করেন। আদেশে দেখা যায়, এসব কর্মকর্তার পাশাপাশি সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাদেরও জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব, ওয়ারিশানসহ বিভিন্ন সনদ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হলেও যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের মধ্যে অঞ্চল-৩-এ দায়িত্ব পালনকারী মো. রোকনুজ্জামানের মূল পদ কেয়ারটেকার। তাঁকেই দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব। তিনি এখন সনদ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন। একইভাবে অঞ্চল-৫-এর আফজালুল আজম রেজাও কেয়ারটেকার। তিনিও ভারপ্রাপ্ত সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে সনদ দিয়ে যাচ্ছেন। অঞ্চল-১-এ দায়িত্ব পালন করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু নাসের কচি। ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ এ দায়িত্ব না দিলেও অঞ্চল-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা তাঁকে এই দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। অবশ্য সেলিম রেজা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি আসার আগে থেকেই কচি সনদ ইস্যু করে যাচ্ছেন। আগের কোনো কর্মকর্তা তাঁকে এ দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।'
এ ছাড়া অঞ্চল-৪-এর মেহেদি হাসান ও অঞ্চল-২-এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীও কিছুদিন আগে কেয়ারটেকারই ছিলেন। পরে তাঁদের সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ দুজন ছাড়া অন্যরা সবাই এখনো তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী।
ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের সনদ ইস্যুর ক্ষমতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ আইন শাখা বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরও কোনো অনুমতি নেয়নি। এতে যেমন আইনের বরখেলাপ হয়েছে, তেমনি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে সনদ ইস্যু করে নগরবাসীকেও অপমান করা হচ্ছে। আইনগতভাবে এসব সনদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ফলে যারা এসব সনদ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করছে, ভবিষ্যতেও তারা নানাবিধ সমস্যায় পড়বে।
ডিএসসিসির সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, 'আইন শাখার কোনো মতামত নেওয়া না হলেও মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে তৃতীয় শ্রেণীর এসব কর্মচারীর স্বাক্ষর করা সনদ তো ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে কেউ সমস্যায় পড়েছে- এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। এর পরও আপনি বিষয়টি আমাদের গোচরে এনেছেন। এখন পর্যালোচনা করে দেখব কী করা যায়।'
ডিএসসিসির সচিব মো. মাহবুব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যাঁরা আগে সনদ ইস্যুর দায়িত্ব পালন করতেন, তাঁরা আর পেরে উঠছিলেন না। সনদ পেতেও অনেক সময় দেরি হচ্ছিল। তখন চিন্তা করা হলো- কিভাবে নাগরিকদের ভোগান্তি কমিয়ে তাড়াতাড়ি সনদ দেওয়া যায়। তাই এই আদেশ জারি করা হয়েছে।' জানা গেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) বিভক্তির আগে কেবল ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ডিসিসির প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারাই এসব সনদে স্বাক্ষর করতেন। বিভক্তির পর মেয়র ও কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে দুই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নগরবাসীকে নানা ধরনের সনদ নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিড়ম্বনা এড়াতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী, বিভাগীয় প্রধান, সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাসহ নির্দিষ্ট কিছু প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের হাতে সনদ দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। কিন্তু গত ১০ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব মাহবুব হোসেন একটি অফিস আদেশ জারি করেন। আদেশে দেখা যায়, এসব কর্মকর্তার পাশাপাশি সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাদেরও জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব, ওয়ারিশানসহ বিভিন্ন সনদ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হলেও যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের মধ্যে অঞ্চল-৩-এ দায়িত্ব পালনকারী মো. রোকনুজ্জামানের মূল পদ কেয়ারটেকার। তাঁকেই দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব। তিনি এখন সনদ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছেন। একইভাবে অঞ্চল-৫-এর আফজালুল আজম রেজাও কেয়ারটেকার। তিনিও ভারপ্রাপ্ত সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে সনদ দিয়ে যাচ্ছেন। অঞ্চল-১-এ দায়িত্ব পালন করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু নাসের কচি। ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ এ দায়িত্ব না দিলেও অঞ্চল-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা তাঁকে এই দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। অবশ্য সেলিম রেজা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি আসার আগে থেকেই কচি সনদ ইস্যু করে যাচ্ছেন। আগের কোনো কর্মকর্তা তাঁকে এ দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।'
এ ছাড়া অঞ্চল-৪-এর মেহেদি হাসান ও অঞ্চল-২-এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীও কিছুদিন আগে কেয়ারটেকারই ছিলেন। পরে তাঁদের সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ দুজন ছাড়া অন্যরা সবাই এখনো তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী।
ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের সনদ ইস্যুর ক্ষমতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ আইন শাখা বা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরও কোনো অনুমতি নেয়নি। এতে যেমন আইনের বরখেলাপ হয়েছে, তেমনি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে সনদ ইস্যু করে নগরবাসীকেও অপমান করা হচ্ছে। আইনগতভাবে এসব সনদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ফলে যারা এসব সনদ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করছে, ভবিষ্যতেও তারা নানাবিধ সমস্যায় পড়বে।
ডিএসসিসির সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, 'আইন শাখার কোনো মতামত নেওয়া না হলেও মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে তৃতীয় শ্রেণীর এসব কর্মচারীর স্বাক্ষর করা সনদ তো ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে কেউ সমস্যায় পড়েছে- এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। এর পরও আপনি বিষয়টি আমাদের গোচরে এনেছেন। এখন পর্যালোচনা করে দেখব কী করা যায়।'
No comments