বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, বিএনপি শিবির নেতাসহ আটক ২০-গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিশেষ সতর্কতা জারি
১৮ দলীয় জোটের ডাকা আগামীকাল রবিবারের অবরোধ কর্মসূচি সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাত ১২টা পর্যন্ত নগরীতে বিএনপি ও শিবির নেতাসহ ২০ জনকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে নাশকতার আশঙ্কায় ঢাকাসহ সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়কে সামনে রেখে জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক সহিংসতার পাশাপাশি নাশকতার আশঙ্কায় দেশব্যাপী নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্য জানায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সচিবালয়সহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বক্ষণিক তৎপর থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের বেশকিছু নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আগামীকালের অবরোধ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী এবং দলের সাবেক কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজারে অভিযান চালিয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার, লালবাগ থেকে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম বাবুল, কোতোয়ালি থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ অবস্থায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে গভীর রাতেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল।
ওয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কাপ্তানবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা আবুল বাশারের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছাড়াও নাশকতাকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ : গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করতে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ১৮ দলীয় জোট নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজধানীর সাবেক দুই কাউন্সিলরসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এভাবে গ্রেপ্তার করে অবরোধ কর্মসূচি ঠেকানো যাবে না। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালিত হবেই।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়কে সামনে রেখে জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক সহিংসতার পাশাপাশি নাশকতার আশঙ্কায় দেশব্যাপী নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্য জানায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সচিবালয়সহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বক্ষণিক তৎপর থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের বেশকিছু নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আগামীকালের অবরোধ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী এবং দলের সাবেক কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজারে অভিযান চালিয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার, লালবাগ থেকে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম বাবুল, কোতোয়ালি থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ অবস্থায় ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে গভীর রাতেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল।
ওয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কাপ্তানবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা আবুল বাশারের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছাড়াও নাশকতাকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ : গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি বানচাল করতে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ১৮ দলীয় জোট নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজধানীর সাবেক দুই কাউন্সিলরসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এভাবে গ্রেপ্তার করে অবরোধ কর্মসূচি ঠেকানো যাবে না। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালিত হবেই।
No comments