রোববার জেলায় অর্ধদিবস হরতাল- জামায়াতের অবরোধের ঘটনায় পুলিশের ছয়টি মামলা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। পাবনা সদর থানার তিনজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাগুলো করেন।
ছয়টি মামলায় জামায়াত ও শিবিরের ৫২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ প্রায় এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তার এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিক্ষোভ এবং কাল রোববার পাবনা জেলায় অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলা শাখা।
পাবনা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাতে সদর থানার এক এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই রমজান গাজী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগে দুটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই জামায়াত ও শিবিরের ১০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক ১০ জন নেতা-কর্মীকে এই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় আবদুস সুবহানকে পাবনায় নিয়ে আসার খবরে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে সদর উপজেলার জাফরাবাদ ও জালালপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে দুই দফায় অবরোধ সৃষ্টি করেন। এসব ঘটনায় সদর থানর এসআই আবদুল হাকিম ও আবদুস সালাম বাদী হয়ে চারটি মামলা করেন। চারটি মামলার প্রতিটিতেই আটজনের নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। ছয়টি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে পুলিশ আবদুস সুবহানের বাড়ি থেকে ২২ জনকে আটক করে। এঁদের ১৮ জনকে জাফরাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধের ঘটনায় করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম সিদ্দিকী মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি স্থানেই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর মারমুখী ছিলেন। তিনটি ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।’
এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো মামলা ছাড়াই আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। তাই আমরা কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছি।’ আবদুর রহীম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ এবং রোববার পাবনা জেলায় অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে পুলিশ আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তার করে। সুবহানকে গ্রেপ্তারের খবরে জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা পাবনায় বিক্ষোভ মিছল ও সড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তার এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিক্ষোভ এবং কাল রোববার পাবনা জেলায় অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলা শাখা।
পাবনা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাতে সদর থানার এক এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই রমজান গাজী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগে দুটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই জামায়াত ও শিবিরের ১০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক ১০ জন নেতা-কর্মীকে এই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় আবদুস সুবহানকে পাবনায় নিয়ে আসার খবরে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে সদর উপজেলার জাফরাবাদ ও জালালপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে দুই দফায় অবরোধ সৃষ্টি করেন। এসব ঘটনায় সদর থানর এসআই আবদুল হাকিম ও আবদুস সালাম বাদী হয়ে চারটি মামলা করেন। চারটি মামলার প্রতিটিতেই আটজনের নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। ছয়টি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে পুলিশ আবদুস সুবহানের বাড়ি থেকে ২২ জনকে আটক করে। এঁদের ১৮ জনকে জাফরাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধের ঘটনায় করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম সিদ্দিকী মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিটি স্থানেই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর মারমুখী ছিলেন। তিনটি ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।’
এ প্রসঙ্গে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো মামলা ছাড়াই আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। তাই আমরা কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছি।’ আবদুর রহীম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ এবং রোববার পাবনা জেলায় অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে পুলিশ আবদুস সুবহানকে গ্রেপ্তার করে। সুবহানকে গ্রেপ্তারের খবরে জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা পাবনায় বিক্ষোভ মিছল ও সড়ক অবরোধ করেন।
No comments