শ নি বা রে র বিশেষ প্রতিবেদন- বিষমুক্ত সবজিতে রাষ্ট্রীয় পদক by খলিল রহমান
সংসারে ছিল চরম অভাব। দুমুঠো খেয়ে না-খেয়ে কাটত দিন। সেই দিন আর নেই দেলোয়ারা খাতুনের। স্বামীর সঙ্গে বিষমুক্ত সবজি চাষ করে সংসারে এনেছেন সুদিন। পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষিপদক। তাঁদের দেখাদেখি ও পরামর্শে এলাকার ১৫ গ্রামের লোকজনও বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন।
দেলোয়ারার (৩৮) বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর গ্রামে।
যেভাবে শুরু: বছর পনেরো আগের কথা। বাড়ির পাশে চলতি নদী। সেখানে নৌকা নিয়ে বালু তুলতেন স্বামী বাচ্চু মিয়া (৪৭)। কাজ না থাকলে ঘরে চুলা জ্বলত না। এক রাতে বাচ্চুকে অন্য কিছু করার পরামর্শ দেন দেলোয়ারা। কী করবেন ভেবে পান না বাচ্চু। দেলোয়ারা বাড়ির পাশে সবজি চাষের পরামর্শ দেন। প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে মাত্র এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেন। পরিশ্রমে ফল মেলে। কিছু লাভ হয়। পরের বছর আরও কিছু জমিতে করলা, টমেটো, বেগুনের চাষ করেন। এভাবে প্রতিবছর সবজি চাষের জমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এগিয়ে যেতে থাকেন দেলোয়ারা। এ বছর প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে নানা জাতের সবজি চাষ করেছেন।
বিষমুক্ত আন্দোলন: দেলোয়ারা ও বাচ্চু সবজি চাষের জন্য জেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পান ২০০৫ সালে। পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে যান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার তৎকালীন কৃষি কর্মকর্তা এস এম আফসারুজ্জামান। সবজিখেত দেখে পরামর্শ দেন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বা বিষ ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করতে। বলেন ক্ষতিকর পোকা দমন ও উপকারী পোকা সংরক্ষণের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের কথা। ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য ব্যবহার করতে বলেন পানির জাদুর ফাঁদ বা সেক্স ফেরোমেন পদ্ধতি।
কৃষি কর্মকর্তার কথা মেনে চলেন দেলোয়ারা। বলেন, এর পর থেকে তিনি আর কখনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেননি। পাশাপাশি অন্যদেরও বিষমুক্ত সবজি চাষের পরামর্শ দেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, খেতে বিষ দিলে একদিকে জমির ক্ষতি, অন্যদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতি। জৈব সারে সবজির আকার আরও বড় এবং ফলন ভালো হয়। রাসায়নিক সার না দিলে ফলন কম হবে, এটা ভুল ধারণা।
জাতীয় পদক: বিষমুক্ত সবজি চাষ ও সেক্স ফেরোমেন পদ্ধতিতে ক্ষতিকর পোকা ধ্বংসে দেলোয়ারার সাফল্য দেখে ২০১০ সালের বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠান আফসারুজ্জামান। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জিনারপুর গ্রামে গিয়ে দেলোয়ারার বিষমুক্ত সবজি চাষ দেখে আসেন এবং তাঁকে অভিনন্দন জানান। ওই বছরই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক নেন দেলোয়ারা।
পানির জাদুর ফাঁদ: এ পদ্ধতিতে পোকা দমনের জন্য বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের ট্র্যাপ পাওয়া যায়। এ ছাড়া চেষ্টা করলে ঘরেও ফাঁদটি বানানো যায়। একটি ছোট বয়াম বা সাদা প্লাস্টিকের মধ্যের অংশ কেটে নিচে রাখা হয় সাবানের ফেনাযুক্ত পানি। পানির ওপরে ঝোলানো হয় স্ত্রী পোকার যৌন আবেদন ছড়ানো সুবাসের একটি ছোট্ট পুঁটলি। পুরুষ পোকারা মনে করে, গন্ধটি স্ত্রী পোকার। তারা ছুটে এসে বয়ামের ওপর ওড়াউড়ি করে। একসময় সেই বয়ামের ভেতরে ঢুকে ফেনাযুক্ত পানিতে পড়ে মারা যায়। এ ফাঁদে বেশি ধরা পড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির জন্য ক্ষতিকর মাছি পোকা।
দেলোয়ারা ওই পদ্ধতিতে ক্ষতিকর পোকা ধ্বংস করেন। পাশাপাশি জমিতে উপকারি পোকা ছেড়ে দেন।
সবজিভান্ডারে এক দিন: সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার জিনারপুর গ্রামে দেলোয়ারা ও বাচ্চুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী মিলে উঠানে আলুর বীজ তৈরি করছেন। বাড়ির চারদিকে নানা ধরনের সবজির বাগান। শসা, বেগুন, করলা, বরবটি, শিম, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি সবই আছে। বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে আছে আম, কাঁঠাল, আতাফল, পেঁপে, নারকেল, জলপাই, বরই, পেয়ারা, কলা, চালতা, কামরাঙা, লুকলুকি, লিচুসহ বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ।
দেলোয়ারা ও বাচ্চু জানান, জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর এলাকার লোকজন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রায়ই তাঁদের সবজি চাষ দেখতে আসেন। একসময় তাঁদের বাড়িতে একটি খুপরি ঘর ছিল। সবজি বিক্রির আয় থেকে এ বছর একটি বড় আধাপাকা টিনের ঘর করেছেন। গত বছর জমি কিনেছেন আরও আড়াই বিঘা। গরু আছে সাতটি।
দেলোয়ারা বলেন, গত বছর সবজি বেচে আয় হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল শিম বেচে আয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। তাঁর তিন ছেলেই বিদ্যালয়ে পড়ে।
১৫ গ্রামে সবজি চাষ: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিশ্বম্ভরপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, সলুকাবাদ ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। মাঝেরটেক গ্রামের মহরম আলী বলেন, দেলোয়ারা-বাচ্চুর সাফল্য দেখে এলাকার জিনারপুর, মাঝেরটেক, সোনারপাড়া, লতারগাঁও, নামপুর, বাঘবেড়, খরেরগাঁও, দীঘিরপাড়, মতুরকান্দি গ্রামসহ ১৫ গ্রামের লোকজন এখন সবজি চাষ করছেন।
জিনারপুরের শিমুল ইসলাম বলেন, দেলোয়ারা জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় এলাকায় তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। বাড়ি থেকেই পাইকার এসে নিয়ে যায়।
কৃষি বিভাগ যা বলে: বিষমুক্ত সবজি চাষে লোকজনকে উৎসাহিত করতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফসারুজ্জামান বর্তমানে জেলার উপপরিচালক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সবজি চাষ তো দেশের অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু দেলোয়ারা বেগম ও বাচ্চু মিয়ার উৎপাদিত সবজিতে কোনো বিষ নেই। এ ধারণা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। ওই এলাকায় প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ এখন বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এলাকাটিকে জৈব সবজিভান্ডার হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
দেলোয়ারা জাতীয় পদক পাওয়ার পর বেশ কয়েকবার তাঁর বাড়িতে গেছেন বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মোহাম্মদ সফিউল আলম। বিষয়টি এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘শুধু খাদ্যনিরাপত্তাই নয়, নিরাপদ খাদ্য নিয়েও সবাইকে ভাবতে হবে। আমরা যদি কম খাই এবং সেটি যদি নিরাপদ হয়, তবেই তা জনস্বাস্থের জন্য ভালো হবে।’
যেভাবে শুরু: বছর পনেরো আগের কথা। বাড়ির পাশে চলতি নদী। সেখানে নৌকা নিয়ে বালু তুলতেন স্বামী বাচ্চু মিয়া (৪৭)। কাজ না থাকলে ঘরে চুলা জ্বলত না। এক রাতে বাচ্চুকে অন্য কিছু করার পরামর্শ দেন দেলোয়ারা। কী করবেন ভেবে পান না বাচ্চু। দেলোয়ারা বাড়ির পাশে সবজি চাষের পরামর্শ দেন। প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে মাত্র এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেন। পরিশ্রমে ফল মেলে। কিছু লাভ হয়। পরের বছর আরও কিছু জমিতে করলা, টমেটো, বেগুনের চাষ করেন। এভাবে প্রতিবছর সবজি চাষের জমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এগিয়ে যেতে থাকেন দেলোয়ারা। এ বছর প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে নানা জাতের সবজি চাষ করেছেন।
বিষমুক্ত আন্দোলন: দেলোয়ারা ও বাচ্চু সবজি চাষের জন্য জেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পান ২০০৫ সালে। পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে যান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার তৎকালীন কৃষি কর্মকর্তা এস এম আফসারুজ্জামান। সবজিখেত দেখে পরামর্শ দেন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বা বিষ ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করতে। বলেন ক্ষতিকর পোকা দমন ও উপকারী পোকা সংরক্ষণের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের কথা। ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য ব্যবহার করতে বলেন পানির জাদুর ফাঁদ বা সেক্স ফেরোমেন পদ্ধতি।
কৃষি কর্মকর্তার কথা মেনে চলেন দেলোয়ারা। বলেন, এর পর থেকে তিনি আর কখনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেননি। পাশাপাশি অন্যদেরও বিষমুক্ত সবজি চাষের পরামর্শ দেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, খেতে বিষ দিলে একদিকে জমির ক্ষতি, অন্যদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতি। জৈব সারে সবজির আকার আরও বড় এবং ফলন ভালো হয়। রাসায়নিক সার না দিলে ফলন কম হবে, এটা ভুল ধারণা।
জাতীয় পদক: বিষমুক্ত সবজি চাষ ও সেক্স ফেরোমেন পদ্ধতিতে ক্ষতিকর পোকা ধ্বংসে দেলোয়ারার সাফল্য দেখে ২০১০ সালের বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠান আফসারুজ্জামান। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জিনারপুর গ্রামে গিয়ে দেলোয়ারার বিষমুক্ত সবজি চাষ দেখে আসেন এবং তাঁকে অভিনন্দন জানান। ওই বছরই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক নেন দেলোয়ারা।
পানির জাদুর ফাঁদ: এ পদ্ধতিতে পোকা দমনের জন্য বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের ট্র্যাপ পাওয়া যায়। এ ছাড়া চেষ্টা করলে ঘরেও ফাঁদটি বানানো যায়। একটি ছোট বয়াম বা সাদা প্লাস্টিকের মধ্যের অংশ কেটে নিচে রাখা হয় সাবানের ফেনাযুক্ত পানি। পানির ওপরে ঝোলানো হয় স্ত্রী পোকার যৌন আবেদন ছড়ানো সুবাসের একটি ছোট্ট পুঁটলি। পুরুষ পোকারা মনে করে, গন্ধটি স্ত্রী পোকার। তারা ছুটে এসে বয়ামের ওপর ওড়াউড়ি করে। একসময় সেই বয়ামের ভেতরে ঢুকে ফেনাযুক্ত পানিতে পড়ে মারা যায়। এ ফাঁদে বেশি ধরা পড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির জন্য ক্ষতিকর মাছি পোকা।
দেলোয়ারা ওই পদ্ধতিতে ক্ষতিকর পোকা ধ্বংস করেন। পাশাপাশি জমিতে উপকারি পোকা ছেড়ে দেন।
সবজিভান্ডারে এক দিন: সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার জিনারপুর গ্রামে দেলোয়ারা ও বাচ্চুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী মিলে উঠানে আলুর বীজ তৈরি করছেন। বাড়ির চারদিকে নানা ধরনের সবজির বাগান। শসা, বেগুন, করলা, বরবটি, শিম, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি সবই আছে। বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে আছে আম, কাঁঠাল, আতাফল, পেঁপে, নারকেল, জলপাই, বরই, পেয়ারা, কলা, চালতা, কামরাঙা, লুকলুকি, লিচুসহ বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ।
দেলোয়ারা ও বাচ্চু জানান, জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর এলাকার লোকজন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রায়ই তাঁদের সবজি চাষ দেখতে আসেন। একসময় তাঁদের বাড়িতে একটি খুপরি ঘর ছিল। সবজি বিক্রির আয় থেকে এ বছর একটি বড় আধাপাকা টিনের ঘর করেছেন। গত বছর জমি কিনেছেন আরও আড়াই বিঘা। গরু আছে সাতটি।
দেলোয়ারা বলেন, গত বছর সবজি বেচে আয় হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল শিম বেচে আয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। তাঁর তিন ছেলেই বিদ্যালয়ে পড়ে।
১৫ গ্রামে সবজি চাষ: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিশ্বম্ভরপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, সলুকাবাদ ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। মাঝেরটেক গ্রামের মহরম আলী বলেন, দেলোয়ারা-বাচ্চুর সাফল্য দেখে এলাকার জিনারপুর, মাঝেরটেক, সোনারপাড়া, লতারগাঁও, নামপুর, বাঘবেড়, খরেরগাঁও, দীঘিরপাড়, মতুরকান্দি গ্রামসহ ১৫ গ্রামের লোকজন এখন সবজি চাষ করছেন।
জিনারপুরের শিমুল ইসলাম বলেন, দেলোয়ারা জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় এলাকায় তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। বাড়ি থেকেই পাইকার এসে নিয়ে যায়।
কৃষি বিভাগ যা বলে: বিষমুক্ত সবজি চাষে লোকজনকে উৎসাহিত করতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফসারুজ্জামান বর্তমানে জেলার উপপরিচালক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সবজি চাষ তো দেশের অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু দেলোয়ারা বেগম ও বাচ্চু মিয়ার উৎপাদিত সবজিতে কোনো বিষ নেই। এ ধারণা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। ওই এলাকায় প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ এখন বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এলাকাটিকে জৈব সবজিভান্ডার হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
দেলোয়ারা জাতীয় পদক পাওয়ার পর বেশ কয়েকবার তাঁর বাড়িতে গেছেন বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মোহাম্মদ সফিউল আলম। বিষয়টি এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘শুধু খাদ্যনিরাপত্তাই নয়, নিরাপদ খাদ্য নিয়েও সবাইকে ভাবতে হবে। আমরা যদি কম খাই এবং সেটি যদি নিরাপদ হয়, তবেই তা জনস্বাস্থের জন্য ভালো হবে।’
No comments